নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়ায় লিটন দাস ও আফিফ হোসেন দেখালেন আশা। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর আর লড়াই করতে পারল না বাংলাদেশ। টপাটপ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারল তারা। শেষদিকে ইয়াসির আলি রাব্বি অপরাজিত ঝড়ো ইনিংসে কেবল হারের ব্যবধানই কমালেন। গতকাল নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ২১ রানে জিতেছে পাকিস্তান। হ্যাগলি ওভালের স্পোর্টিং উইকেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তারা তোলে ৫ উইকেটে ১৬৭ রান। জবাবে সাকিব আল হাসানবিহীন বাংলাদেশ পৌঁছাতে পারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রান পর্যন্ত।
হ্যাগলি ওভালের উইকেটে বাংলাদেশের পক্ষে তিনে নেমে লিটন ২৬ বলে ৩৫ রান করেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৪ চার ও ১ ছক্কা। চারে নামা আফিফ ২৩ বলে ২৫ রান করেন ১টি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে। তৃতীয় উইকেটে ৪০ বলে ৫০ রান যোগ করেন দুজনে। মোহাম্মদ নওয়াজ এই জুটি ভাঙার পর খেই হারায় দল। মাত্র ১৪ রানের মধ্যে ৪ উইকেট খুইয়ে টাইগাররা অনেক আগেই ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে। সাত নম্বরে নেমে ইয়াসির বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে ৪২ রান করেন। ২১ বল মোকাবিলায় ৫ চার ও ২ ছক্কা মারেন তিনি। পেসার হারিস রউফের করা ইনিংসের শেষ ওভারে বাউন্ডারির ফুলঝুরি ছুটিয়ে ২০ রান আনেন তিনি।
পরে ম্যাচসেরা মোহাম্মদ রিজওয়ানের সংবাদ সম্মেলনটা যে খুব একটা বড় হলো, তা নয়। সেটি চলল চার মিনিটের একটু বেশি সময় নিয়ে। আর সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের কথা দুই মিনিটও এগোল না। এর মধ্যে সোহান যা বললেন, তার সারাংশ আসলে এমন- মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট হারানো ভুগিয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে, উন্নতি করতে হবে কয়েক জায়গায়। ঠিক কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে, সেটি অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলেননি এই কিপার-ব্যাটার। হয়তো ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং- সবখানেই উন্নতি দরকার বলেই আলাদা করে কিছু বললেন না। হ্যাগলি ওভালের এমন উইকেটে পাকিস্তানকে ১৬৭ রানে আটকে রাখার পরও জিততে না পারা, এমন প্রসঙ্গে পুরস্কার বিতরণীতে সোহান বলেছিলেন, তিনি ‘হতাশ’, ‘উইকেট ভালোই ছিল, বোলাররা ভালোই করেছে। তবে আমাদের কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে।’
১৬৭ রান তাড়ায় শুরুটা আবারও নড়বড়েই হয়েছে এদিন বাংলাদেশের। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে লিটন দাস ও আফিফ হোসেন- বাংলাদেশের সেরা দুই ব্যাটসম্যানের জুটি আশাই জোগাচ্ছিল। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই, আউটও হয়েছেন অসময়ে। আর শেষদিকে ইয়াসির আলীর ২১ বলে ৪২ রানের ইনিংস তো শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। মেহেদী হাসান মিরাজের মতো বোলিং অলরাউন্ডারকে ওপরের দিকে খেলালে যা হয়, হয়েছে সেটিই- ইয়াসিরকে সঙ্গ দেওয়ার মতো কেউই ছিলেন না তাসকিন আহমেদরা ছাড়া। সোহান তবুও কৃতিত্ব দিলেন লিটন-ইয়াসিরদের, ‘লিটন ও (ইয়াসির) রাব্বি ভালো ব্যাটিং করেছে। বোলাররা ভালোই করেছে। তবে যা বলছি, কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে। ব্যাটিংয়ে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট হারিয়েছি, সেগুলো ভুগিয়েছে।’ ১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ৯১ রান। একই সময়ে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৮৪ রান জমা করে। অর্থাৎ দুই দলের মধ্যে খুব বেশি রানের পার্থক্য ছিল না। কিন্তু এরপর পাকিস্তানের বোলারদের তোপে উল্টো পথে যাত্রা শুরু হয় টাইগারদের। ম্যাচের আগে থেকে প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে বারবার। এদিন অবশ্য সোহান বললেন, ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী নিজেদের বদলানোর কথা, ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচ একইভাবে যাবে না। পরিস্থিতি অনুযায়ী, আমাদের উন্নতি করতে হবে, “প্রো-অ্যাক্টিভ” হতে হবে।’ বিশ্বকাপের আগে এ সিরিজটিকে দেখা হচ্ছে প্রস্তুতির ভালো একটি মঞ্চ হিসেবেই। তবে এদিন বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স যেমন দেখা গেল, তাতে বিশ্বকাপ নিয়েও হয়তো খুব একটা আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্বকাপে নিজেদের কেমন অবস্থানে দেখেন, এমন একটা প্রশ্নের জবাবে সোহানের কণ্ঠেও যেন অসহায়ত্বই ফুটে উঠল একটু, ‘দেখা যাক, আশা করছি, ভালো যদি করি, তাহলে গল্পটা ভিন্ন হবে।’ আগামীকাল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পরের ম্যাচে কি ভালো কিছু করতে পারবে বাংলাদেশ?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।