Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রেসিডেন্ট যে ইসি দেবেন তা মেনে নেব

সংসদে প্রধানমন্ত্রী

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি
স্টাফ রিপোর্টার : প্রেসিডেন্ট যে ইসি দেবেন তা মেনে নেব- জাতীয় সংসদে দেয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি। গতকাল শুক্রবার সকালে এক আলোচনা সভায় দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এই সাদুবাদ জানান।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে পূর্ণগঠন করার জন্য, নিরপেক্ষ করার জন্য এবং শক্তিশালী করার জন্য কিছু প্রস্তাব দিয়েছি। আমরা খুশি,
স্বাগত জানাই, যে সরকারও বলেছেন যে, তারা প্রেসিডেন্ট যেটা বলবেন, তারা সেটা মেনে নেবেন। এখন আমাদের প্রেসিডেন্টের উপরে অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমরা আশা করবো, তিনি (প্রেসিডেন্ট) এমন একটা উদ্যোগ গ্রহণ করবেন যাতে করে আমরা যেসব প্রস্তাব দিয়েছি বা অন্যান্যে রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তাব দিয়েছেন বা দেবেন- সব কিছু বিবেচনা করে একটি শক্তিশালী নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করার জন্য তিনি সুপারিশ করবেন।
নতুন নির্বাচন গঠন নিয়ে গত বৃহস্পতিবার সংসদের ১৩তম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মাননীয় প্রেসিডেন্ট উদ্যোগ নিয়েছেন। মহামান্য প্রেসিডেন্ট আলাপ আলোচনা করবেন। সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করে তিনি যেভাবে চাইবেন সেই ভাবে নির্বাচন কমিশন গঠন করবেন। মহামান্য প্রেসিডেন্ট কী করেন সেটা আমরা দেখব এবং সেইভাবে আমরা মেনে নেব।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভা হয়।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ফিরিয়ে আনার জন্য নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন হবে প্রথম পদক্ষেপ। এরপর আমাদেরকে দ্বিতীয় পদক্ষেপে যেতে হবে যে, কোন সরকারের অধীনে বা কী ধরণের সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ভাবে কাজ করতে পারবেন। প্রশাসন যদি দলীয় সরকারের অধীনে থাকে এবং সমস্ত আই্ন শৃঙ্খলাবাহিনী যদি তাদের অধীনে থাকে, তাহলে আমাদের অভিজ্ঞতা হলো, সেখানে নির্বাচন কমিশন অসহায় হয়ে যাবে, যতই নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করা হোক না কেনো তারা স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারবে না। সেজন্য আমাদের প্রস্তাবে একটা সহায়ক সরকারের কথা আমরা বলেছি। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে স্বাধীন নির্বাচন কমিশন যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য একটি সহায়ক সরকার থাকতে হবে।
লুই আই ক্যানের নকশা প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, পাকিস্তানের আদলে সেই পাকিস্তানের সেকেন্ড ক্যাপিটাল হিসেবে শেরে বাংলানগরে আইয়ুব খান একটা পরিকল্পনা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের যে পতাকা ক্রিসেন্ট এবং তারকা--এর ওপর ভিত্তি করে পুরো নকশাটা তৈরি করা হয়েছে। তাহলে আজকে কী আমরা বলতে চাই, বর্তমান সরকার কী নকসাটাকে আবার তারা পূণঃস্থাপন করতে চান। এটা ঠিক হবে না, দেশ বদলে গেছে, যুগ বদলে গেছে, সময় বদলে গেছে এবং সেখানে আশে-পাশে অনেক ছোট-খাটো স্থাপনা গড়ে উঠেছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র হয়েছে। আমি মনে করি এটা একটা হীনমন্যতা এবং নিচু মনে পরিচয় দিয়েছে সরকার।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, নকশাটা এনেছে একমাত্র কারণে যে, এই নকসার ওপর ভিত্তি করে যদি শহীদ জিয়ার মাজারটা সরানো যায়। আমি মনে করি এটা রাজনৈতিক একটা ভুল সিদ্ধান্ত হবে বর্তমান সরকারের জন্য। দেশের মানুষ এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ঘৃণা ভরে দেখবে, এটা জনগণ কখনোই গ্রহণ করবে না।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ‘র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, যুব দলের যুগ্ম মহাসচিব  সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেত্রী খালেদা ইয়াসমীন, নিপুন রায় চৌধুরী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইসি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ