মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ যেন ভারতের রুটিনওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। একজন বিজেপি আধিকারিক জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে বিশেষজ্ঞ'। বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এই ধরনের উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে বলে ভারতকে দোষারোপ এবং অভিযোগগুলির নিন্দা ও খণ্ডন করেছে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর।–দ্য মুসলিম টাইমস
ভারতীয় সীমান্তের পাশাপাশি আইআইওজেকে-তে মুসলমানদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের মুখোশ উম্মোচন করে জাতিসংঘসহ বৈশ্বিক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় দেশটি। তারা জানান, বার বার ভারতীয় কর্মকর্তারা পাকিস্তানকে অপমান করে মিথ্যা দাবি করছে। আর এর নিন্দা করে শিরোনাম হয়। প্রতিবারই পাকিস্তান সরকার সদয় প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে এবং পরিস্থিতির বাস্তবতা তুলে ধরেছে যে, ভারত একটি ফ্যাসিবাদী দেশ, যে দেশ নিরপরাধ সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে তার শক্তি ব্যবহার করে।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের সাথে জড়িত বলে উল্লেখ করার দাবি যেন প্রমাণ করে, ভারতীয় রাজনীতিবিদরা শুধুমাত্র মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য নয় বরং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাদের সমস্ত কুসংস্কারকে নির্দেশ করার জন্য প্রশিক্ষিত। এটি এমন যার সাথে আমরা সবাই খুব পরিচিত এবং এমন পরিস্থিতি উল্লেখ করার মতো অনেকবার মোকাবিলা করেছি।
পররাষ্ট্র দপ্তর ঠিকই ইঙ্গিত করেছিল যে, এটি ছিল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভ্রান্ত করার জন্য ভারতের আরেকটি অপচেষ্টা। এটি ধারাবাহিক মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হিসাবে তার নিজের কর্ম থেকে সরে যাওয়ার চেষ্টা ছিল, বিশেষত যখন ভারত মুসলিম ও কাশ্মীরিদের বিরুদ্ধে তার নিপীড়ন এবং সহিংসতার বিষয়ে নির্লজ্জ আচরণ করেছে। বিজেপি সরকার কর্তৃক সংগঠিত 'জাফরান সন্ত্রাস' ছিল ভারতের সমস্ত মুসলমানদের নির্মূল করার জন্য একটি স্পষ্ট আহ্বান। সম্প্রতি অগাস্টে এক প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক ক্যামেরায় ধরা পড়েন। রাজস্থানে নিহত পাঁচজন মুসলমানের কথা। জম্মু ও কাশ্মীরের প্রতিও অনুরূপ মনোভাব গৃহীত হয়, যেখানে ভারত সরকার কমপক্ষে ৭২টি সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছে, যার ফলে ১৯১ জন নিহত হয়েছে।
এগুলি এমন ঘটনা, যা বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই মনে করিয়ে দিতে হবে। পাকিস্তান সরকার এটি সংবাদের মাধ্যমে বা বিভিন্ন কূটনীতিকের কাছে গিয়ে তুলে ধরতে হবে। পাকিস্তান যদি এই চ্যারেড থেকে কিছু শিখতে চায়, তবে ভারতের বিরুদ্ধে একই নিয়মে গতি বজায় রাখতে হবে বলে মনে করেন পাকিস্তান ও কাশ্মীরের ভুক্তভোগী মানুষেরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।