Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাখাইনে গিয়ে পরিস্থিতি দেখুন

সুচি’র প্রতি সংকট অনুধাবনের আহ্বান জাতিসংঘের

| প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে রাখাইন প্রদেশে গিয়ে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি দেখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওই প্রদেশের বিশেষ করে মংডু ও বুথিডংয়ে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের ওপর দেশটির সামরিক বাহিনী বর্বরোচিত নির্যাতন চালাচ্ছে। মিয়ানমার-বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে শান্তিতে নোবেলজয়ী সুচির প্রতি এ আহ্বান জানান।
রাখাইনের পরিস্থিতিতে সুচির হস্তক্ষেপ চেয়ে বিজয় নামবিয়ার বলেন, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযানে যাওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আমি সু চিকে রাখাইনের মংডু ও বুথিডং পরিদর্শনের অনুরোধ করছি। সেখানকার বেসামরিক লোকজনকে তাদের সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে বলেছি।
রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনা ও পুলিশ সহিংস অভিযান চালাচ্ছে। রোহিঙ্গাবিরোধী এই অভিযান বন্ধে কার্যত কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচিত হচ্ছেন সু চি।
বিজয় নামবিয়ার বলেন, রাখাইনে রোহিঙ্গারা ব্যাপক হারে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ আছে। তাদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালানো হচ্ছে, আগুন দেয়া হচ্ছে। দমন-পীড়নের মুখে হাজারো রোহিঙ্গা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা পাশর্^বর্তী দেশগুলোতে অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশের লক্ষ্যে অনেকে সীমান্তে জড়ো হয়েছে। অথচ, রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করছে মিয়ানমার সরকার।
গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের কয়েকটি সীমান্ত চৌকিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় পুলিশের নয়জন সদস্য নিহত হওয়ার পর রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে দেশটির সেনা-পুলিশের সহিংস অভিযান শুরু হয়। রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনেছে মালয়েশিয়া। এই গণহত্যা বন্ধ করতে দেশটির নেত্রী অং সান সু চির প্রতি সম্প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।
নাজিব রাজাকের নেতৃত্বে কুয়ালালামপুরে গত রোববার বড় ধরনের বিক্ষোভ হয়। ওই বিক্ষোভে তিনি সু চির প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অবিলম্বে এ গণহত্যা বন্ধ করুন। তা না হলে আপনার শান্তি পুরস্কার পাওয়ার মানে কি দাঁড়ায়?
২০১২ সালে রাখাইন প্রদেশে সেনা বর্বরতা শুরু হওয়ার পর থেকে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে মানবেতর জীবনযাপন করছে। পাশর্^বর্তী দেশে গিয়ে তারা ভিক্ষাবৃত্তিতে জড়িয়ে পড়ছে।
তীব্র সমালোচনার মুখে সুচি দাবি করেছেন, রাখাইনের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই তার সরকার নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত হওয়ার পথে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতিবাচক কথা না বলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে সহযোগিতার অনুরোধ জানান তিনি। এএফপি, ওয়েবসাইট।



 

Show all comments
  • নাঈম জামান ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:৫১ এএম says : 0
    লিপ সার্ভিসে কোন কাজ হবে না। পারলে কোন পদক্ষেপ নিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ