মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশঃ বিচ্ছিন্ন একটি ভগ্ন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে মসৃণ করার জন্য দ্রুতগতিতে এগিয়েছে। মার্কিন সরবরাহকৃত এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আপগ্রেড করে পাকিস্তানকে সমর্থন করার ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তে নয়াদিল্লি স্পষ্টতই নাখোশ হয়েছিল। এখন পাকিস্তানকে এফ-১৬ দেয়ার সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের দিকে মুখ ফেরানোর প্রমাণ হিসেবে মনে করা হচ্ছিল।
কিন্তু জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আনীত প্রস্তাবে ভারতের ভোটদানে বিরত থাকা স্বল্পকালীন ঘনিষ্টতায় ছেদ ঘটবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রাহ্মণ্যম জয়শঙ্কর সোমবার বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি যে এফ-১৬ প্যাকেজটি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সহায়তা করার জন্য ছিল ‘কাউকে বোকা বানানো হচ্ছে না’। সেই ভয়ঙ্কর পর্যবেক্ষণের পর, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি বিøঙ্কেন সেদিন সন্ধ্যায় ওয়াশিংটনে তার প্রতিপক্ষের জন্য একটি ওয়ার্কিং ডিনারের আয়োজন করেন।
একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই ব্যক্তি বর্তমান সহযোগিতার স্তর সম্পর্কে উৎসাহী ছিলেন। জয়শঙ্কর বলেন, ‘আজকের বৈঠকে আমরা আমাদের রাজনৈতিক সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করেছি, বহুপাক্ষিক এবং বহুপাক্ষিক ফরমাটে একসঙ্গে কাজ করা এবং গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সমস্যা এবং বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের বিষয়ে সহযোগিতার মূল্যায়ন বিনিময় করেছি। আমি সে ক্ষেত্রে বিশেষ। আমি বিশেষভাবে ইউক্রেন সঙ্ঘাত এবং ইন্দো-প্যাসিফিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করব।
তার মন্তব্যে, বিøঙ্কেন এফ-১৬ নিয়ে মার্কিন সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়েছেন : ‘এগুলো নতুন বিমান, নতুন সিস্টেম, নতুন অস্ত্র নয়। তাদের যা আছে তা বজায় রাখতে হবে। এটি রক্ষণাবেক্ষণ এবং টেকসই নিশ্চিত করা। আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এবং একটি বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার জন্য যে, আমরা এটিকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করি।
কণ্টকাকীর্ণ বিষয়টিকে স্থগিত করা হয়েছে এবং দুই মন্ত্রী ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট অস্থিরতা এবং এর বৈশ্বিক ভ‚-অর্থনৈতিক এবং ভ‚-রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়াসহ ভারতের পরিস্থিতির ওপর এর প্রভাবসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। জয়শঙ্কর বলেন যে, ইউক্রেন সঙ্ঘাতের অনেকগুলো পরিণতি রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা, কারণ, আজ এশিয়া এবং ইন্দো-প্যাসিফিক বিশ্ব বাণিজ্যের খুব কেন্দ্রবিন্দু এবং বিশেষ করে কিছু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে’।
ভারত-মার্কিন সম্পর্কের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সৌহার্দ্যরে এ সর্বশেষ প্রকাশ্য প্রদর্শন থেকে কিছু প্রাথমিক সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। প্রথমত, মনে রাখবেন যে, বিশ্বের দুটি প্রাচীন এবং বৃহত্তম গণতন্ত্র এ দুটি দেশ শীতল যুদ্ধের সময় প্রায় চার দশক ধরে তিক্ত এবং বিচ্ছিন্ন ছিল।
পারমাণবিক অস্ত্র এবং পাকিস্তান ও ইরানের মতো আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিষয়কসহ কৌশলগত ইস্যুতে তাদের ভিন্ন এবং অমিলিত মতামত ছিল। ভারত-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে পাকিস্তান একটি পুরানো, অসামঞ্জস্যপূর্ণ নোট হিসাবে রয়ে গেছে এবং চীনের ফ্যাক্টরটি নয়াদিল্লি এবং ওয়াশিংটন উভয়ের জন্য মার্কিন এবং চীনের মধ্যে জটিল এবং প্রায়শই বিরোধপূর্ণ ভ‚-রাজনৈতিক জ্যামিতির একটি মূল উপাদান।
ওয়াশিংটন বেল্টওয়ের অভ্যন্তরে পাকিস্তান দীর্ঘকাল ধরে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মার্কিন নীতি পেশাদারদের মধ্যে একটি ব্যাপকভাবে শেয়ার করা বিশ্বাস রয়েছে বলে মনে হচ্ছে যে, হোয়াইট হাউস পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর দ্বৈততার সাথে বসবাস করে যাতে ইসলামাবাদ পুরোপুরি চীনা কক্ষপথে চলে না যায়, যার ফলে পাকিস্তান, ইরান, চীন ও রাশিয়ার ‘রেড কোয়াড’ গ্রæপিং তৈরি হয়। সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।