Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কক্সবাজারে হচ্ছে পার্ক

হোটেল-মোটেলে এসটিপি-ইটিপি না থাকলে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বিশ্বের একমাত্র দীর্ঘতম ১২০ কিলোমিটার বালুকাময় সমুদ্রসৈকতের শহর কক্সবাজার। সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের প্রায় ৫৫ শতাংশত জমি গণপূর্ত অধিদপ্তরের মালিকানা থাকলেও গত ২০১৭ সাল তা কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নামে দেয়া হয়। এছাড়া কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশ রক্ষার সকল তারকামানের হোটেল, মোটেল, হ্যাচারি, গেস্টহাউজ ও কটেজ এবং অন্যান্য এসটিপি/ইটিপি না থাকলে জরিমানা। এ জন্য হোটেল, মোটেল, হ্যাচারি, গেস্টহাউজ ও কটেজ মালিকদের সময় বেঁধে দেয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এ ছাড়া অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ করার জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে নিদের্শনা দেয়া হচ্ছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থানীয় কমিটির সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সভায় বলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন প্রায় ৫৫ শতাংশ জায়গা ভ‚মি দস্যুরা অবৈধভাবে দখল করে মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করছে। এ গুলো উচ্ছেদ করা জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসব জমি উদ্ধার করা হলে সরকারিভাবে উন্নয়ন কাজ করা হবে। এসব সমস্যার পাশাপাশি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকায় প্রতিনিয়ত দখল হচ্ছে সরকারি মূল্যবান জমি। কোটি কোটি টাকার জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক পড়েছে পর্যটন এলাকার একাধিক পয়েন্টে। ইনানী, হিমছড়ি ও শহরের সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট, সি-ইন পয়েন্ট, বালিকা মাদ্রাসা পয়েন্ট ও ডায়াবেটিক পয়েন্টে চলছে সরকারি খাসজমি দখলের প্রতিযোগিতা। এ বেপরোয়া দখল কাজে সহযোগিতা করছেন প্রশাসনের একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তা।

এদিকে মামলার রায় নিয়ে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গত মঙ্গলবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যৌথ অভিযান চালিয়ে দেড় শতাধিক দোকানঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এবার দখলমুক্ত হওয়া মাঠে পার্ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান।

দীর্ঘতম সৈকত, পাহাড়-ঝরনা আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভ‚মি কক্সবাজারের সম্ভাবনা যেমন, সমস্যাও অনেক। বিভিন্ন দেশের সমুদ্রসৈকতের চেয়ে এ সমুদ্রসৈকত আলাদা বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হওয়ায় এখানে পর্যটকদের সমাগম বেশি। এর রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তবে শুধুই সমুদ্রসৈকত দিয়ে এ জেলার পর্যটনশিল্প সীমাবদ্ধ নয়। রয়েছে পাথুরে বিচ ইনানি, পাহাড়ি ঝরনা হিমছড়ি, প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাহাড় আর সমুদ্রের বুকে মেরিন ড্রাইভ সড়ক, মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ, আদিনাথ মন্দির, রামু বৌদ্ধবিহার, ডুলাহাজারা সাফারি পার্কসহ জেলার পর্যটন স্পটগুলো যে যার সৌন্দর্যে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে। এ পর্যটন স্পট ঘিরে রয়েছে ৭টির মতো তারকামানের হোটেলসহ পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউজ ও কটেজ। রয়েছে ঐতিহ্যবাহী মার্কেট, শুঁটকির দোকান ও উৎপাদনকেন্দ্র।

এ জেলার অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে বিশ্বের বুকে অনন্য পর্যটন স্থান হিসাবে গড়ে তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করছেন একের পর এক মহাপরিকল্পনা। কক্সবাজার বিমানবন্দর রানওয়ে সম্প্রসারণ করে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীতকরণের কাজ অনেকটা শেষের পথে। এছাড়া কক্সবাজারকে রেল সংযোগের সঙ্গে যুক্ত করার কাজও চলছে জোরেশোরে। চলছে পর্যটন শহরের হলিডে মোড় থেকে বাজারঘাটা হয়ে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন সড়ক সংস্কার কাজ।

বর্তমানে কক্সবাজার পর্যটনশিল্পে নতুন করে আশার সঞ্চার করছে কয়েকটি মেগা প্রকল্প। যার মধ্যে অন্যতম ‘সাবরাং ট্যুরিজম অর্থনৈতিক অঞ্চল’ নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে টেকনাফ সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক উন্নয়নকাজ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যোগাযোগব্যবস্থা ও অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি সরকার হাত দিয়েছে ট্যুরিজমেও। টেকনাফে অর্থনৈতিক অঞ্চল সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক জোনে ১ হাজার ১৬৫ একর জমি রয়েছে। পাহাড় ও সাগরের বৈচিত্র্যময় দৃশ্য, সুদীর্ঘ বালুকাময় সৈকত এ স্থানকে সৌন্দর্যের লীলাভ‚মিতে পরিণত করেছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটি বিনোদনপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হবে। পার্কটি বাস্তবায়ন হলে দেশের পর্যটন খাতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এখানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে বাস্তবায়ন সংস্থা বেজা কর্তৃপক্ষ। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কটিতে পাঁচতারকা হোটেল, ইকো ট্যুরিজম, মেরিন অ্যাকুয়ারিয়াম, বিদেশি পর্যটকদের জন্য বিশেষ সংরক্ষিত এলাকা, সেন্টমার্টিনে ভ্রমণের বিশেষ ব্যবস্থা, ভাসমান জেটি, শিশুপার্ক, ইকো কটেজ, ওশানেরিয়াম, আন্ডার ওয়াটার রেস্টুরেন্ট, ভাসমান রেস্টুরেন্টসহ নানা বিনোদনের সুবিধা রাখা হবে। এছাড়া টেকনাফে নাফ ট্যুরিজম পার্ক ও মহেশখালী উপজেলায় সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজারের সম্ভাবনা যেমন রয়েছে, তেমনই ছোট-বড় মিলিয়ে প্রচুর সমস্যাও রয়েছে। এখানে পর্যটনের বিকাশে অন্যতম বাধা হলো অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও রোহিঙ্গাসহ আরও বেশ কয়েকটি সমস্যা। এখানে যেখানে-সেখানে গড়ে উঠছে ইট-পাথরের স্থাপনা। বাধা দিয়ে কিংবা আইন প্রয়োগ করেও তা দমানো যাচ্ছে না। অনেক সময় পাহাড় কেটে প্রকৃতির ক্ষতি করে এসব অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। নদী ভরাট করে এবং ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট নিধন করে চলছে দখলের মহোৎসব। সেন্টমার্টিনেও চলছে স্থাপনা নির্মাণের কাজ, যা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করছে। এসব অনিয়ম বন্ধে পরিবেশবাদীরা দেশের সর্বোচ্চ আদালতে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বর্তমানে কক্সবাজারের ১২০ কিলোমিটার সৈকতের মধ্যে খÐ খÐভাবে মাত্র তিন কিলোমিটার পর্যটন এলাকা হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

আরেকটি বড় বাধা রোহিঙ্গা সমস্যা। নতুন-পুরোনো মিলিয়ে এদেশে তাদের বসবাস প্রায় ১৩ লাখের বেশি। পাশাপাশি তাদের কারণে জেলার আইনশৃঙ্খলাও চরম হুমকির মুখে রয়েছে। ক্যাম্প থেকে পালিয়ে প্রতিদিন কক্সবাজারসহ দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এদেশের মানুষের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে তারা। চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ব্যবহৃত হচ্ছে ভাড়াটে সন্ত্রাসী হিসাবে। পাশাপাশি জেলার শ্রমবাজারও অনেকটা তাদের দখলে বললেই চলে। ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকত ঘিরে কিছুদূর পরপর রয়েছে রোহিঙ্গাদের একাধিক ঝুপড়ি। এ ভাসমানদের ঝুপড়ির কারণে একদিকে যেমন পরিবেশের চরম বিপর্যয় ঘটছে, তেমনই প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয বিলীন হচ্ছে। পাশাপাশি যৌন ও মাদক ব্যবসাসহ সন্ত্রাসী কর্মকাÐ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

রোহিঙ্গা সমস্যার পাশাপাশি পর্যটন এলাকায় স¤প্রতি ব্যাপক হারে বেড়েছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। এ কারণে পর্যটকসহ স্থানীয়রা অনেকটা ভীতির মধ্যে থাকেন। প্রতিদিন পর্যটন এলাকাসহ শহরের ১৫-২০ পয়েন্টে হরদম ছিনতাইয়ের ঘটনা লেগেই রয়েছে। পাশাপাশি ঘটছে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনাও। ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারি খাতে পরিশোধ করেন, তার চেয়ে বেশি ভ্যাট কর্মকর্তাদের পকেটে ঢোকে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগ দীর্ঘসময় ধরে চলে এলেও তা সমাধানে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। কক্সবাজারে যেসব ভ্যাট কর্মকর্তা আসেন, তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য ছয় মাসের মেয়াদ দেয়া হয়। কারণ ছয় মাস অন্তর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়। তবে এ মেয়াদকালেই তারা মোটা অঙ্কের সঞ্চয় নিয়ে কক্সবাজার ছাড়েন বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক হোটেল ব্যবসায়ী। টাস্কফোর্স গঠন করে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করা হলে রাজস্ব আদায় অন্তত ১০ গুণ বাড়বে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। সুশীল সমাজ ও পরিবেশবাদীদের অভিমত, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে অদূর ভবিষ্যতে কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। আর এ লক্ষ্যে কঠোরভাবে সরকারের সব ধরনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

গণপূর্ত সূত্রে জানা গেছে, কলাতলী সড়কে আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য প্লট বরাদ্দের পর ওই এলাকায় ৩টি স্থানে ১ দশমিক ৫০ একর করে জমি খেলার মাঠ হিসাবে রাখা হয়। ২০১৭ সালে তিনটি মাঠেই পার্ক তৈরি করতে বরাদ্দ দেয় সরকার। এরমধ্যে দুটি মাঠে পার্ক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু লংবীচের বিপরীত পাশের জমিটি গিয়াসের নেতৃত্বে প্রভাবশালীদের দখলে থাকায় সেটিতে এতদিন পার্ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। গণপূর্তের কক্সবাজারস্থ নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহাজাহান ইনকিলাবকে বলেন, ১৯৬৩-৬৪ সালে অধিগ্রহণ করা জমি ব্যক্তি মালিকানা দাবি করে গিয়াস উদ্দিন আদালত থেকে স্থিতাবস্থা এনেছিল। কিন্তু তিনি সেখানে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে এতদিন জোর দখল করে রাখে। মালিকানার পক্ষে নিম্ন বা উচ্চ আদালতের কোথাও যথাযথ কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় উচ্চ আদালত জমিটি মালিকানা গণপূর্তের বলে রায় দেন। একইসাথে সেখানে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাঁধা নেই বলেও অ্যাটার্নি জেনারেলকে লিখিতভাবে অবহিত করেছে আদালত। এই রায়ের পরেই মঙ্গলবার অভিযানটি চালানো হয়েছে। প্রকল্প তদারক কর্মকর্তা কক্সবাজার গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ওমর ফারুক বলেন, আদালতের আদেশ পেয়ে আমরা কউকের সহযোগিতা চাই। পরে কউক, বিদ্যুৎ অফিস, আনসার বাহিনী ও পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে ওই মাঠের চারপাশে নির্মিত দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করি।

কউক চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কলাতলী সড়কের পূর্ব পাশের আবাসিক এলাকার বøক-এ ও বি এর মধ্যকার মাঠটির মালিক গণপূর্ত। তাদের নামে বিএস খতিয়ান ও গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু সেই মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে দখলে ছিল প্রভাবশালীদের। ২০১৮ সালে গণপূর্ত সেই মাঠে পার্ক নির্মাণ করতে গেলে গিয়াসউদ্দিন ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি দাবি করে কক্সবাজার যুগ্ম জেলা জজ আদালতে একটি মিথ্যা আবেদন করেন। পরে ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ সেই আবেদন খারিজ করে দেন আদালত। কিন্তু সেই আবেদনের তথ্য লুকিয়ে ফের উচ্চ আদালত থেকে ৬ মাসের স্থিতাবস্থা আনেন গিয়াস উদ্দিন। সেটিও ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট উচ্চ আদালত একটি আদেশে তুলে নেন এবং একইসাথে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে চলমান মামলাটি বাতিল করেন। এছাড়া স্থিতাবস্থা তুলে নেয়ায় অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদে কোন ধরনের আইনি বাঁধা নেই বলেও আদালত লিখিতভাবে জানিয়েছেন। আদালতের এমন আদেশ পেয়েই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। কউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, সবুজায়নের মাধ্যমে পরিকল্পিত সমুদ্র নগরী নির্মাণে কক্সবাজারের সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কউকের উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কক্সবাজার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ