পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে এক নবদম্পতি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত ১১টার দিকে ওই ভবনের তিন তলার ফ্ল্যাট থেকে নোমান (২৮) ও তার স্ত্রী শামীমার (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়। সউদী আরব প্রবাসী নোমান ১৬ দিন আগে দেশে এসে স্ত্রী শামীমাকে নিয়ে ঢাকায় এক বন্ধুর বাসায় ওঠেন গত ১১ সেপ্টেম্বর। ভোলার লালমোহন থানার চরবুতা গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্ত্রীকে ঢাকা ঘুরিয়ে দেখাবেন বলে নিয়ে আসেন। কিন্তু কী এমন হয়েছিল যে দেশে এসে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করলেন? ঘটনার কারণ খুঁজছে পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বামীর লাশ সিলিংয়ের সঙ্গে ঝুলন্ত এবং স্ত্রীর লাশ ছিল মেঝেতে। এটি হত্যার পর আত্মহত্যার ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর পুরো ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে মনে করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের এসি মুজিব পাটোয়ারী বলেন, দিনের যেকোনো সময় প্রথমে স্ত্রীকে গলা টিপে বা বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার পর নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে মনে হয়েছে। রাতে আলামত সংগ্রহের জন্য সিআইডির ফরেনসিক টিম গিয়েছিল। নোমান চাদর পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ও শামীমাকে ফ্লোরে তোষকের ওপর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ঘটনাটি দিনে যেকোনো সময় ঘটে থাকতে পারে। রুমের লাইটও বন্ধ ছিল।
নোমানের ফুফা কামাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নোমান সউদী আরব থাকত। তার বাবা অসুস্থ হলে নোমানকে দেশে এসে বিয়ে করার জন্য বলেন। পরে সে দেশে এসে পারিবারিকভাবে শামীমাকে গত বছরের নভেম্বরে বিয়ে করেন। বিয়ের পর নোমান আবার সউদী আরবে চলে যান। এর মাঝে নোমানের সঙ্গে তার বাবার কোনো যোগাযোগ ছিল না। চার মাস আগে নোমান আবার সউদী আরবে চলে যায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সউদী আরব থেকে দেশে আসেন। এসে সরাসরি তার শ্বশুরবাড়ি থেকে শামীমাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন। গত রোববার রাতে খবর পেয়ে এসে দেখি নোমান ও শামীমার লাশ। পুলিশ জানায়, শামীমাকে হত্যা করার পর নোমান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত শামীমার ভাই শামীম হোসেন বলেন, আমার বোনের সঙ্গে প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয়। আমার বোন আগামী বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিবে। পড়ালেখার কারণে তাকে তুলে নেয়া হয়নি। সে আমাদের বাড়িতেই থাকত। নোমান দেশে এসে আমার বোনকে ঢাকা ঘুরিয়ে দেখানোর কথা বলে হত্যা করে নিজেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নোমান বিদেশ থাকাকালীন বোনের সঙ্গে কোনো ধরনের মনোমালিন্য হয়নি। কী কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সে বিষয়ে কিছু বুঝতে পারছি না। আমাদের আত্মীয়দের মাধ্যমেই দুজনের বিয়ে হয়েছিল। কাউকে না জানিয়ে কি কারণে তিনি দেশে এসে আমার বোনকে ঢাকায় নিয়ে গেলেন বুঝতে পারলাম না। যদি জানতাম তার সঙ্গে কোনো মনোমালিন্য বা ঝগড়া হয়েছে তাহলে কিছু আঁচ করতে পারতাম।
তিনি আরও বলেন, বিদেশ থেকে এমন কোনো চিন্তা-ভাবনা করে এসেছিলেন কিনা সে বিষয়েও কিছু বুঝতে পারছি না। এইচএসসি পরীক্ষার পর তাকে তুলে নেয়ার কথা ছিল। দুজনের একজনও বেঁচে নেই। কী ঘটনা ঘটেছিল জানতে পারছি না। আমাদের কারো প্রতি কোনো অভিযোগ নেই।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একজন জানান, স্বামী বিদেশ স্ত্রী দেশে থাকলে বিভিন্ন রকমের সন্দেহের সৃষ্টি হয়। নোমান হয়তো এমন কোনো সন্দেহের বশে দেশে এসে তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে হত্যার পর নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফ্ল্যাট থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।