পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের ‘পরকীয়া প্রেম’ চলছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, উনারা (আওয়ামী লীগ সরকার) জামায়াতের নিবন্ধন ক্যানসেল করেন কিন্তু বেআইনি ঘোষণা করেন না। তা হলে কী আমি বলব, উনাদের পরকীয়া প্রেম চলছে? আওয়ামী লীগের কাছে বুলি হয়ে গেছে, সস্তায় ব্যবসা হয়ে গেছে। কী? বিএনপি-জামায়াত, বিএনপি-জামায়াত। আমি বলছি, এখন সময়ে এসেছে আওয়ামী-জামায়াত, আওয়ামী-জামায়াত বলার জন্য। জামায়াতও উর্দু, আওয়ামীও উর্দু- দুইটার সাথে মিলবে ভালো।
গতকাল সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিন বিএনপির ধানমন্ডি জোন-৪ এর উদ্যোগে ধানমÐির হাজারীবাগে জ্বালানি তেল, দ্রব্যমূল্যের ঊধর্বগতি, ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির কর্মসূচি হামলা ও নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ করে সমাবেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসার পথে বিভিন্ন মোড়ে আওয়ামী লীগের কর্মীদের বিএনপির সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
ইকবাল হাসান বলেন, জামায়াতকে যুদ্ধ বিদ্রোহী বলে, নিবন্ধন বাতিল করলেন, তাদেরকে বেআইনি ঘোষণা করলেন না কেনো। তার অর্থ আওয়ামী লীগ জামায়াতের ফাঁদে পড়েছে। আজকে থেকে আওয়ামী-জামায়াত হবে, বিএনপি-জামায়াত আর হবে না।
আওয়ামী লীগের হামলা প্রসঙ্গে টুকু বলেন, যে ঝড়-ঝাপটা গেছে, অলি-গলি থেকে ওরা (আওয়ামী লীগ) আমাদের ওপরে গুপ্ত হামলা করেছিলো। পুলিশ যদি আমাদের জনগণের কষ্টার্জিত টাকায় বেতনভুক্ত না হয়ে ওদের দলীয় কর্মী হতো তাহলে আমরা এখানে সভা করতে পারতাম না। এজন্য আমি পুলিশ ভাইদের ধন্যবাদ দেই।
তিনি বলেন, বিএনপি কেনো লাঠি নিয়ে এসেছে? বিএনপির ভালো কর্মীদেরকে মারতে মারতে এমন একটায় জায়গায় নিয়ে গেছে তারা আজকে আত্মরক্ষার জন্য লাঠি হাতে নিয়েছে। টেলিভিশনের টক শোতে বিএনপির লাঠি নিয়ে আলোচনা কইরেন না। লাঠি আপনারা তুলে দিয়েছেন। বিএনপির কর্মীরা নিজ ইচ্ছায় করে লাঠি তোলেনি। বলতে হবে কেনো বিএনপির কর্মীরা লাঠি হাতে মিছিল করছে? একবার বলবেন ওখানে, আরেকবার বলবেন এখানে, আগামীদিন বলবেন ওখানে, আবার বলবেন হবে না। একবার পারমিশন দেবেন, আবার বাতিল করবেন, আবার এমন সময় উনারা পারমিশন দেবেন ওরা অস্ত্র-সশ্বস্ত্র নিয়ে আসবে।
টুকু বলেন, দেশে গণতন্ত্র নেই। আজকে আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জনসভা করছি না, আমরা এই জনসভা করছি, আন্দোলন করছি জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য।
মহানগর দক্ষিনের যুগ্ম আহŸায়ক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, আবদুল খায়ের ভুঁইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মীর সরাফত আলী সপু, শেখ রবিউল আলম রবি, মহানগর দক্ষিনের রফিকুল আলম মজনু প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।