নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশেষ সংবাদদাতা : টুয়েন্টি-২০ বিশ্বকাপে কঠিন গ্রæপে পড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। ‘বি’ গ্রæপে বাংলাদেশ নারী দলের প্রতিপক্ষ আইসি’র নারী র্যাংকিংয়ে ২ এ থাকা ইংল্যান্ড, ছাড়াও ৪ নম্বর র্যাংকিং ধারী ভারত, ৫ নম্বর র্যাংকিং ধারী নারী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং ৭ নম্বরে থাকা পাকিস্তান। যে ৪টি দলের একটির সাথেও জয়ের কোন অতীত নেই বাংলাদেশ নারী দলের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬ টি-২০ ম্যাচের সব ক’টিতে, ভারতের বিপক্ষে ৭ ম্যাচের সব ক’টিতে, এবং ইংল্যান্ডও ওয়েস্টইন্ডিজের বিপক্ষে ১ বার মোকাবেলায় হতাশ হতে হয়েছে বাংলাদেশ নারী দলকে। দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরে (২০১৪ টি-২০) শ্রীলংকাকে হারানোর মতো গর্ব থাকলেও ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে গ্রæপ পর্বের বাধাটা বড় কঠিনই মনে হচ্ছে বাংলাদেশ নারী দলের। গত ডিসেম্বরে থাইল্যান্ডে টি-২০ বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব শেষে একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচেও খেলার সুযোগ পায়নি জাহানারারা। খুলনায় গত জানুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ আয়োজন এবং দেশের ৮টি ভেন্যুতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজনে মেয়েদের অনুশীলন সিটি ক্লাব মাঠ এবং বিকেএসপিতেই থেকেছে সীমাবদ্ধ। এমনকি প্রতিদ্ব›দ্বীতাপূর্ণ কোন ক্রিকেট ম্যাচেও নারী দলকে নামিয়ে দিতে পারেনি ওম্যান্স উইং। তারপরও আগামী ১৫ মার্চ থেকে অনুষ্ঠেয় নারী বিশ্বকাপ ক্রিকেটে একটা আপসেটের স্বপ্ন নারী দলের অধিনায়ক জাহানারার। র্যাংকিংয়ে নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী শ্রীলংকার পয়েন্ট যেখানে ৭১, সেখানে বাংলাদেশ নারী দলের ৪৭। তারপরও র্যাংকিংয়ে বর্তমান অবস্থান ৯ থেকে ৭ এ উন্নীত হওয়ায় লক্ষ্য জাহানারার। গতকাল টি-২০ বিশ্বকাপে নারী দলেল জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে এ লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছেন জাহানারাÑ ‘গতবার আমরা স্বাগতিক হিসেবে খেলেছিলাম, এবার বাছাই পর্ব পেরিয়ে নিজেদের যোগ্যতা বলেই খেলছি। আমরা সবাই দারুণ গর্বিত। বিশ্বকাপে আমরা ভালো কিছু করতে চাই। আমাদের লক্ষ্য মেয়েদের র্যাংকিংয়ে সাত-আটের মধ্যে থাকা।’ তাহলে তো টি-২০ বিশ্বকাপে আপসেট চাই-ই-চাই।
মাশরাফিদের পারফরমেন্সে বাংলাদেশের প্রতিটি দলের উপর প্রত্যাশা বেড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রেমীদের। বাংলাদেশ নারী দলের টি-২০ বিশ্বকাপকে তাই শুধু অংশগ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ দেখতে চায় না বাংলাদেশের মানুষ। তা ভাল করেই জানেন জাহানারা। টি-২০ বিশ্বকাপ থেকে দারুন কিছু অর্জনে তাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জাহানারাÑ‘বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা পুরো ক্রিকেট দলকে নিয়েই। আলাদা করে পুরুষ কিংবা মহিলা বলে কথা নয়। আমাদের কাছে সবার প্রত্যাশা হয়তো একটাই, ভালো ক্রিকেট খেলে আসা। ভালো কিছু যেন অর্জন করে নিয়ে আসি। আমাদের বিশ্বাস, আমরা এবার অনেক ভালো ক্রিকেট খেলবো এবং অনেক ভালো কিছু অর্জন করতে পারবো।’
৮ মার্চ বেঙ্গালুরুর উদ্দেশে দেশ ছাড়ার কথা মেয়েদের। টি-২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার আগে আগামী ১০ মার্চ শ্রীলংকা এবং ১২ মার্চ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে। আপাততঃ টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি বলতে আইসিসি’র কল্যানে পাওয়া এই দু’টি অনুশীলন ম্যাচ পাচ্ছে নারী দল। তারপরও অনুশীলন এবং ম্যাচ প্র্যাকটিসের ঘাটতি নিয়ে আক্ষেপ বা অসন্তোষ নেই তারÑ ‘বিসিবি চেষ্টা করেছিল ম্যাচ আয়োজনের, কিন্তু আর কোনো দেশ এখন ফ্রি নেই। বিশ্বকাপে গিয়ে তো আমরা দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবই। আশা করি সেটাই যথেষ্ট হবে। আমরা চেষ্টা করব বিশ্বকাপে ভালো ক্রিকেট খেলে দেশের জন্য কিছু করতে।’
এদিকে আইসিসি’র ইভেন্ট বলে টি-২০ বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ নারী দল পেয়েছে নুতন স্পন্সর। টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ নারী দলের স্পন্সর হয়েছে প্রসাধনী পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পণ্য কিউট। মঙ্গলবার মিরপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মহিলা দলের স্পন্সর হিসেবে কিউটের নাম ঘোষনা করে বিসিবি। স্পন্সর ঘোষণার পর কিউটের লোগো সম্বলিত জার্সি জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল চৌধুরী ভুলু, বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন, মৌসুমী ইন্ডাস্ট্রিজের সিএমও কাজী নেওয়াজ ইবনে মাহতাব ও বিজ্ঞাপনী সংস্থা টপ অব মাইডের সিইও জিয়াউদ্দিন আদিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।