মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ আফ্রিকার খুচরা পোশাক বিক্রেতারা চীনা আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাচ্ছেন। দেশজুড়ে পোশাকে তারা নিজেদের পতাকাকেই ক্রমবর্ধমানভাবে সজ্জিত করে চলেছে। বিশেষ করে খুচরা সরবরাহে এটি বেশি হচ্ছে। যেটিকে দেশের পোশাক ও বস্ত্র খাতকে শক্তিশালী করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারের তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ আফ্রিকার খুচরা বিক্রেতারা যে পরিমাণ বস্ত্র বিক্রি করে থাকেন তার অর্ধেকেরও বেশি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। সেই আমদানির প্রায় ৬০ শতাংশ চীন থেকে আসে।
স্থানীয় ব্যবসাকে সহায়তা করতে সরকারের একটি মাস্টার প্ল্যানে স্বাক্ষর করেছেন খুচরা বিক্রেতারা। তারা বলছেন, যে এতে কেবল চাকরি সৃষ্টি নয়, তার চেয়ে আরও বেশি সুবিধা রয়েছে।
খুচরা বিক্রেতা পিক এন পে ক্লোথিংয়ের জেনারেল ম্যানেজার হাজেল পিল্লাই বলেন, পণ্যটি স্থানীয়ভাবে তৈরি করতে সক্ষম হওয়ার অর্থ হলো আপনি আসলে গ্রাহকের যা প্রয়োজন সে বিষয়ে আরও দক্ষতার সঙ্গে সাড়া দিতে পারেন, যা প্রকৃতপক্ষে প্রতিটি খুচরা বিক্রেতা চান। যেটি আরও দ্রুততার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
ওলওর্থ’স, মি. প্রাইস, ট্রুওর্থ’স এর মতো পিক এন পেও খুচরা বিক্রেতা। তারা তাদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পণ্যের সরবরাহ ৪০ শতাংশে নিয়ে গেছেন। যা ২০১৯ সালে ছিল ২৮ শতাংশ। করোনা মহামারির ফলে রেকর্ড বেকারত্বের কারণে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য বিঘ্নিত হওয়ায় এখন সেটি গতি পাচ্ছে।
তরুণ ডিজাইনার কাতেকানি মোরেকু দেশের এমন প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটি আমাকে অনেক মনোযোগ দিয়েছে এবং আমাকে অনেক জনপ্রিয়তা দিয়েছে৷’
‘আমরা এমন সময়ে বাস করছি যখন বেকারত্বের হার খুব বেশি। আমি মনে করি যে সব প্রজন্মের জন্য আরও চাকরি তৈরি করতে এটি বড় প্রভাব ফেলবে।’
মোরেকুর অনুমান, ২০২০ সাল থেকে তিনি পিক এন পে’র সঙ্গে রয়েছেন। তার সহযোগিতার ফলে উৎপাদন থেকে শুরু করে ডিজিটাল বিপণন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার চাকরি সৃষ্টি হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে বস্ত্রখাতে ১ লাখ ২১ হাজার চাকরি সৃষ্টির যে লক্ষ্যমাত্রা, দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার সেটাই দেখতে চায়।
কিন্তু পিক এন পে’র ব্যবস্থাপকসহ খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, যে এটির জন্য দক্ষতার প্রশিক্ষণ এবং উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য আরও বিনিয়োগের প্রয়োজন হবে।
খুচরা বিক্রেতাদের লক্ষ্য, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সমস্ত টেক্সটাইল পণ্যের ৬০ শতাংশ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, যে শুধুমাত্র কোটা এবং লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা শিল্পের পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।