নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস ডেস্ক : আবারো ইতালিতে ফিরছেন জিদান! সেই ইতালি, যেখান থেকেই শুরু আজকের জিনেদিন জিদান হওয়ার। ক্যারিয়ারের ঊষালগ্নে ১৯৯৬ থেকে ২০০১- টানা ৫ বছর ইউরোপের অন্যতম সেরা ক্লাব জুভেন্টাসে কাটান তিনি। না, সাবেক এই ফিফা বর্ষসেরা আবার জুভেন্টাসে ফিরছেন না। ফিরছেন স্টেডিও ওলিম্পিকো স্টেডিয়ামে। আজ রাতে যেখানে তার দল রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে রোমার বিপক্ষে। তবে ম্যাচটা যতটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নক-আউট পর্বের, তার চেয়েও বেশি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোচ জিদানের যাত্রার শুরু। জানুয়ারিতেই রাফায়েল বেনিতেজের চেয়ারে তার স্থলাভিষিক্তর ঘটনা ফুটবলের বড় শিরোনাম গুলোর একটি।
প্রসঙ্গ যদি হয় জিদান আর ইতালি, তখন ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালের প্রসঙ্গ না এসে পারেই না। যে ম্যাচের হাত ধরেই জন্ম নেয় ফুটবলের অন্যতম আলোচিত ঘটনা ‘জিদানের ঢুঁস’। সেই ম্যাচে জিদানের সাথে তার দল ফ্রান্সের স্বপ্নযাত্রার করুন পরিসমাপ্তির গল্পটাও সবার জানা। ইতালিয়ানরা হয়তো সেটাকে ২০০০ সালের ইউরো ফাইনালের প্রতিশোধও বলতে পারেন। তবে ফরাসি মিডফিল্ডার জিদান আর এই জিদানে আজ কত ফারাক! সেদিন মাঠে জিদানের প্রতিপক্ষের তালিকায় ছিলেন ফ্রান্সিসকো টট্টির নাম। ১৬ বছরের ব্যাবধানে আজও তারা প্রতিপক্ষ। সময়ের আবর্তে একজনের অবস্থান বদলেছে এই যা। ৪৩ পেরুনো জিদান যেখানে কোচের ভুমিকায়, সেখানে টট্টি ৩৯ বছর বয়সেও মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বয়সকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।
ইউরোপ সেরার লড়াইটা অবশ্য মাঠে ফিরেছে গতরাতেই। প্যারিসে অনুষ্ঠিত পিএসজি-চেলসি লড়ায়ের ফলও হয়তো এতক্ষনে ফুটবল প্রেমিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে প্রযুক্তি। তবে কোচ জিদানের শুরুটা কেমন হবে এজন্য আজ মধ্যরাতের অপেক্ষা। তবে পরিসংখ্যান তত্তে¡ ঢের এগিয়ে ইতালিয়ান ক্লাবটি। এ অবধি দু’দল মুখোমুখি হয়েছে ৮ বার। রিয়ালের ৪টি জয়ের বিপরীতে রোমার ৩টি, ১টি ড্র। মেলবোর্নে সর্বশেষ সাক্ষাত হয়েছিল তাদের। নির্ধারীত সময়ে কোন গোল না হওয়ায় ম্যাচটি পেনাল্টি শুট আউটে ৭-৬ গোলে জিতেছিল রোমা। অফিসিয়াল স্বীকৃতি বিচারে তাদের সর্বশেষ মুখোমুখি হওয়া ২০০৭/০৮ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলয়। সেখানেও হোম ও এ্যওয়ে দুই ম্যাচেই রোমা জিতেছিল ২-১ গোলে। স্প্যানিশ জায়ান্টদের সর্বশেষ ইতালি সফরেও একই গল্প। গেল মৌসুমে জুভেন্টারে কাছে ২-১ গোলে হেরে আসরের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়। সবচেয়ে বড় হিসাব হল ইতালিয়ান দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ৮ এ্যাওয়ে ম্যাচে রিয়ালের জয় নেই একটিও (৪টি করে ড্র ও হার)! এই রোমার বিপক্ষেই তো গ্রæপ পর্বের প্রথম ম্যাচে ১-১ ড্র করেছিল আরেক স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। আর হিসাবটা যদি দুই লেগ মিলে করা হয় তাহলে হতাশা আরো বাড়ারই কথা রিয়াল স্বমর্থকদের। সেক্ষেত্রে জয়ের জল্পটা প্রায় ২৯ বছরের পুরোনো! দুই লেগ মিলে সেবার নাপোলিকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছিল রিয়াল। এছাড়া বার্নাব্যুতে গোল বন্যা তৈরি করলেও প্রতিপক্ষের মাঠে কোথায় যেন একটা ছন্দ পতন হচ্ছে জিদানের দলের। ওদিকে চোটের কারণে দলের বাইরে গ্যারেথ বেল ও পেপে। বার্নাব্যু ভক্তদের হয়তো মনে আছে যেখানে তাদের দল শেষ ষোলয় পৌঁচেছে গ্রæপ সেরা হয়ে, সেখানে মাত্র একটি জয় নিয়ে টেনে হিঁচড়ে ওঠে রোমা। গ্রæপ পর্বের সেই ফর্ম যদি ১০ বারের চ্যাম্পিয়নরা ধরে রাখতে পারে তহলে পরিসংখ্যানের পাতায় নতুন পৃষ্ঠা যোগ হওয়া খুবই সম্ভব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।