নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাহেদ খোকন , গৌহাটি (ভারত) থেকে : বিদায় গৌহাটি-শিলং, দেখা হবে নেপালের কাঠমান্ডুতে। ২০১৯ সালে এখানে হবে সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমস। গৌহাটি-শিলং এসএ গেমসের ভাঙ্গলো মিলন মেলা। ৫ ফেব্রæয়ারি গৌহাটির সরুসজল ক্রীড়া কমপ্লেক্সস্থ ইন্দিরাগান্ধী অ্যাথলেটিক্স স্টেডিয়ামে বাইচুং ভুটিয়া যে মশাল প্রজ্বলন করেছিলন, তা নিভে গেলো। বিদায় ঘন্টা বাজলো সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসের ১২তম আসরের।
গতকাল সরুসজলস্থ ইন্দিরাগান্ধী স্টেডিয়ামে ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টা ৪০ মিনিটে এবারের এসএ গেমসের সমাপ্তি হলো। কাল ১২তম এসএ গেমসের যবনিকা টানেন ভারতের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী এবং গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান সর্বানন্দ সেনওয়াল। তার সমাপ্তি ঘোষণার পরপরই আলোর মূর্ছনা ছড়িয়ে পড়ে স্টেডিয়ামের চারদিকে। সমাপ্তি ঘোষণার কিছুক্ষণ পরই নিভে যায় গমসের মশাল। এরপর শুরু হয় আতশবাজি। আতশবাজির পর পতাকা হস্তান্তর হয়। ইন্দিরা গান্ধী অ্যাথলেটিক্স স্টেডিয়ামের মঞ্চটি ছোট। গেমসের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান ও ভারতের যুব এবং ক্রীড়ামন্ত্রী সর্বানন্দ সানওয়াল গেমসের পতাকা ভারতীয় অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম রামচন্দনের হাতে তুলে দেন। তিনি সেই পতাকা তুলে দেন পরবর্তী আয়োজক দেশ নেপাল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি জীবন রাম শ্রেষ্ঠার হাতে। জীবন রাম নেপালের যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী সত্য নারায়ণ মন্ডলকে দেয়ার মধ্যদিয়ে গেমসের পতাকা হস্তান্তর পর্ব শেষ হয়। গেমসের শেষ দিকে এসে বাজানো আগামী আসরের স্বাগতিক নেপালের জাতীয় সংগীত। জাতীয় সংগীতের পর নেপালের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জীবন রামের কথা, ‘ আবার গেমসের স্বাগতিক হতে পেরে আমরা বেশ গর্বিত। ১৯৮৪ ও ’৯৯ সালে আমরা এসএ গেমসের সফল আয়োজন করেছি। দক্ষিণ এশিয়ান গেমসের ১৩তম আসরটিকে আরও সুন্দর ও আকর্ষণীয় গেমস হিসেবে উপহার দেবার প্রত্যাশা করছি।’ এরপর ভিডিওচিত্রের মাধ্যমে নেপালের দর্শনীয় স্থান দেখানো হয়। ২০১৯ সালে অনেক দূরে হলেও গেমসের স্বাগতিক হওয়ায় নেপালের সংগীত বাজানো হয় এবং তাদের স্থানীয় নৃত্যও প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে লেজার শো’র মাধ্যমে শেষ হয় এবারের এসএ গেমসের আসর। সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার এমপিসহ আট দেশের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন। সমাপনী অনুষ্ঠানের শেষে আট দেশের ক্রীড়াবিদ, কোচ ও ম্যানেজাররা মার্চ পাস্টে অংশ নেন। বাংলাদেশের পক্ষে সমাপনী মার্চ পাস্টে লাল সবুজের পতাকা বহন করেন জাতীয় কাবাডি দলের খেলোয়াড় ফাতেমা আক্তার পলি। ২০১০ সালে দেশের মাটিতে ১৮টি স্বর্ণ, ২৩ রুপা ও ৫৬টি ব্রোঞ্জ জিতে টেবিলের তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের দশা এবার করুণ ছিল। গৌহাটি ও শিলংয়ের গেমসে মাত্র চার স্বর্ণ, ১৫ রুপা আর ৫৬টি ব্রোঞ্জ জিতেই এবারের আসর শেষ করলো বাংলাদেশ। যা তাদেরকে টেবিলের পঞ্চম স্থানে নামিয়ে এনেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।