Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাছাইয়ে অরুচি ধরে গেছে সালমাদের

আয়ারল্যান্ডকে নিয়েই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে বাংলাদেশ ফিরে পায় অভিজ্ঞ ব্যাটার ফারজানা হককে। তবে কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা এই ওপেনার ছিলেন মন্থর। বাকিদের যাওয়া-আসার মাঝে রুমানা আহমেদের চমৎকার ইনিংস ও রিতু মনির ক্যামিওর পরও পুঁজি খুব একটা বড় হলো না। তবে সেটাই যথেষ্ট বানিয়ে দিলেন সানজিদা আক্তার মেঘলা, সালমা খাতুনরা। তাদের দারুণ বোলিংয়ে থাইল্যান্ডকে হারিয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা করে নিল বাংলাদেশ।
গতপরশু রাতে আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ার ম্যাচে ১১ রানে জিতেছে নিগার সুলতানার দল। ১১৩ রান তাড়ায় ১০২ রানে থেমেছে থাইল্যান্ড। বাংলাদেশের ব্যাটারদের লম্বা একটা সময় পর্যন্ত হাত খুলতে দেননি থাইল্যান্ডের বোলাররা। তবে শেষ চার ওভারে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দলকে ১২০ রানের কাছে নিয়ে যান রুমানা ও রিতু। রান তাড়ায় একাই লড়াই করেন নাথাকান চেনথাম। ৪৩ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে করেন ৬৪ রান। তার ৫১ বলের অসাধারণ ইনিংসটি গড়া তিন ছক্কা ও চারটি চারে। দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্রেফ ৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন সানজিদা। সালমা ৩ রান নেন ১৮ রানে।
বাছাইপর্বে বাকিদের থেকে বেশ এগিয়ে থাকা দল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা নিয়ে তাই শঙ্কা তেমন ছিল না। তবে রুটিন কাজটাও করতে হয় পেশাদার মনোভাবে। তা করতে পেরে দল নিয়ে বেশ গর্বিত নিগার সুলতানা জ্যোতি। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি ভিডিও বার্তায় বলেন, নিজেদের অগ্রগতি দুনিয়াকে দেখাতে চান তারা, ‘আমরা এখানে এসেছিলাম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করতে এবং আমরা তা পেরেছি। এত বছর ধরে আমরা একসঙ্গে খেলছি, এখন সময় হয়েছে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দেওয়ার যে আমরা কতটা ভালো, দল হিসেবে কতটা উন্নতি করেছি। পুরো টুর্নামেন্টে আমার মেয়েরা যেভাবে খেলেছে, অধিনায়ক হিসেবে আমি গর্ব অনুভব করি। আজকে যদিও একটু ক্লোজ ম্যাচ ছিল। তার পরও আমার বিশ্বাস ছিল সবার প্রতি। দলের সবারও বিশ্বাস ছিল যে আমরা ম্যাচটা বের করে আনতে পারব। মেয়েরা দারুণ বোলিং ও ফিল্ডিং করেছে।’
দলের সাফল্যের পেছনে বড় ভূমিকা ছিল সালমা খাতুনের। অভিজ্ঞ এই এই ক্রিকেটার প্রতি ম্যাচেই বল হাতে ছিলেন দারুণ। আনন্দ লাগলেও আর বাছাইপর্ব খেলতে না চাওয়ার ইচ্ছাও জানিয়েছেন এই তারকা, ‘আনন্দ লাগছে বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পেরে। তবে বারবার এই বাছাই আমরা খেলতে চাই না। পরেরবার যেন এত কষ্ট করে, এসব ম্যাচ খেলে যেতে না হয়, ওই চেষ্টাই করব।’
বিশ্বকাপ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও এক ম্যাচ বাকি আছে। বাছাইয়ের ফাইনালে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ একই দিনে অন্য কোয়ালিফায়ারে জিম্বাবুয়েকে ৪ রানে হারিয়ে চূড়ান্ত পর্ব নিশ্চিত করা আয়ারল্যান্ড। যাদের গ্রুপ পর্বেই অনায়াসে হারিয়েছেন জ্যোতিরা। অপরাজিত থেকে পুরো আসরটা শেষ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ জ্যোতি, ‘এখন অবশ্যই আমাদের নজর চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে। আশা করি আমরা ফাইনালে আমাদের সেরাটা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েই ফিরব।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাছাইয়ে অরুচি ধরে গেছে সালমাদের
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ