পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
টাঙ্গাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গণতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তন করার একমাত্র পথ নির্বাচন। সরকার আমরাও হটিয়েছি। সেটা যখন কোন উপনিবেশী সরকার হয়, বিদেশি সরকার হয় তাদেরকে আমরা হটিয়েছি। পাকিস্তানী সরকারকে আমরা সংগ্রাম করে হটিয়েছি, তার দরকার ছিল।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার গালা ইউনিয়নের আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত চার তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নিজের দেশের আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কোন সরকার যে কোন দলের হোক তাকে আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত সরকারকে মানুষের ভোটে নির্বাচিত সরকারকে হটাবার মত ফৌজদারী অপরাধ কেউ করবে না। আমরা আইন ও সংবিধানে বিশ^াস করি। আমরা মনে করি এ দেশের দায়িত্বে জনগণ। তারা যাকে ইচ্ছা তাকে বসাবে নামাবে।
আহসান উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজহার আলী তালুকদারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন টাঙ্গাইল সদর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ড. মো. আতাউল গনি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থীসহ এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু রেল সেতু
চলতি মাসেই দ্বিতীয় স্প্যান বসানো হচ্ছে সৈয়দ শামীম শিরাজী, সিরাজগঞ্জ থেকে
স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে প্রথম স্প্যান বসানোর কাজ শেষ। দ্বিতীয় স্প্যানের কাজ শুরু। সূচনা হচ্ছে নব দিগন্তের। সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর উপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যেই ওই সেতুর উপর প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছে। আরো একটি স্প্যান চলতি মাসের শেষের দিকে বসানো হবে এবং আগামী মাসে ৩ নম্বর স্প্যান বসানো হবে। তবে এ সেতু নির্মাণ কাজ এখন দৃশ্যমান হয়েছে।
জানা গেছে, সরকার ২০১৬ সালে যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয় এবং সেতুর জরিপ ও অন্যান্য কাজ শেষে দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ দরপত্রে নির্বাচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালের আগস্ট মাসে রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের কাজ শুরু করে এবং ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। এ প্রকল্প কাজের ৪৫ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৩৪.৬১ শতাংশ। গত ২০ আগস্ট একটি স্প্যান বসানো হলেও প্রকল্পে পৌঁছেছে ১০টি স্প্যান। আরো ২০টি স্প্যান নির্মাণ পর্যায়ে রয়েছে এবং এ সেতুর স্প্যানগুলো ভিয়েতনামে তৈরি করা হচ্ছে। সেতুর মোট ৫০টি খুঁটির মধ্যে ৮টির কাজ শেষ। আরো ৩০টির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেতুর ৫০টি খুঁটির মধ্যে ২৩টি পশ্চিমাঞ্চলে, বাকি ২৭টি পূর্বাঞ্চলে পড়েছে।
এ প্রকল্পের আওতায় নদী শাসনের কাজ চলছে। ৪৩১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে এ পর্যন্ত। সেতুর দুই পাশের সংযোগ বাঁধের নির্মাণসহ অনান্য কাজও চলছে। এ সেতুটির ব্যয়ধরা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা এবং প্রথম সংশোধনীর পর সেতুর প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। এরমধ্যে দেশীয় অর্থায়ন থাকবে ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ দেবে ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা। এ সেতুটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪.৮০ কিলোমিটার। তবে দুই পাশে .০৫ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়াল সেতু), ৭.৬৭ কিলোমিটার রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ সড়ক (সংযোগ বাঁধ) থাকবে। আর লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০.৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
এ রেল সেতু চালু হলে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের আরো পরিবর্তন ঘটবে। বঙ্গবন্ধু সেতুতে বর্তমানে এক লাইনের রেল ট্র্যাক আছে। এ লাইন দিয়ে ধীরগতিতে ট্রেন চলাচল করে। বঙ্গবন্ধু রেল সেতুতে ডুয়েল গেজ রেল সেতু নির্মাণ কাজ চলছে। এ সেতুতে ব্রড গেজ ও মিটার গেজ দুই ধরনের ট্রেনই চলাচল করতে পারবে। এ বঙ্গবন্ধু রেল সেতু চালু হলে অবাধে ট্রেন চলাচল করতে পারবে। এ সেতুতে ব্রড গেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার এবং মিটার গেজ ট্রেন ১০০ কি. মিটার গতিতে চলবে এবং উভয় অঞ্চলে আরো অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
উল্লেখ্য, যমুনার উপর রেল সেতুটি নির্মাণ কাজ হলে একদিকে যেমন গোটা দেশে একটি নেটওয়ার্কের সংযুক্ত হবে। অপরদিকে উত্তারঞ্চলের যোগাযোগ খাতে সড়ক পথের পাশাপাশি রেল যোগাযোগের নবদিগন্তের সূচনা হবে। খুলবে অপার অর্থনৈতিক সম্ভাবনার দ্বার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।