Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনৈতিক প্রভুরা বড়ই নির্মোহ

শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০১৯, ৮:১৫ পিএম

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মাঝে প্রথমবারের মতো শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে ১৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে শুদ্ধাচারের জন্য এ পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে মহাপরিচালক থেকে শুরু করে অফিস সহায়কও রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এই যে পুরস্কারটা দেয়া হলো আমি জানতামই না। আমরা যারা রাজনৈতিক ব্যক্তি এখানে আছি, আমাদের এখানে কোনো হস্তক্ষেপ ছিল না। এটাই প্রমাণ করে আপনার পলিটিক্যাল মাস্টার বা রাজনৈতিক প্রভুরা কত বড় নির্মোহ। আমাদের রাজনৈতিক প্রভু মাঠে-গঞ্জে বাস করে- এটাই হওয়া উচিত।

‘সরকার প্রধান আপনাদের কতটা বিশ্বাস করে, এটা তার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। আশা করি, সে বিশ্বাসের সম্মান-মর্যাদা আপনারা রাখবেন,’ যোগ করেন এম এ মান্নান।

আগামী সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে সামনে হুমকি আছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য সম্পর্কে যদি কোনো চিন্তার ফারাক থাকে, যদি কেউ মনে করে- হেথা নয় অন্য কোথাও, অন্য কোনো খানে/মন ঘুরে বেড়ায় বনে-জঙ্গলে/বা অন্য ভূমিতে।

এ ধরনের চিন্তা ভুল উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রষ্টা এ ভূমি আপনাকে দিয়েছেন। এ ভূমির জন্য আপনি শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। এখানে আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ামত খুঁজবেন, পাবেন।

এম এ মান্নান বলেন, মনে রাখবেন ২০-৩০ বছর আগে এ বাংলাদেশ ছিল না। আপনাদের পর্যায়ে আমরা যারা কাজ করেছি, কাছেও যেতে পারিনি। আরও ২০ বছর পরে যারা আসবে, তারা আরও অনেক ঊর্ধ্বে যাবে। আজকে যারা নবীন সহকারী সচিব বা কাজে যোগদান করেছে ২০ বছর পরে তারা কী বাংলাদেশ দেখবে, তারা চিন্তাও করতে পারছে না।

শুদ্ধাচার আগে ছিল না, বর্তমান সরকার শুরু করেছে উল্লেখ করে এমএ মান্নান বলেন, ‘এমনিতে আমরা শুদ্ধাচার করার কথা। জীব-জগতের যে শৃঙ্খল, তার মধ্যে আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছি। সুতরাং শুদ্ধাচার আমাদের স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কিন্তু দুর্ভাগ্য স্বাভাবিক নয়; এটা নিয়ে সমস্যা আছে অনেকের মধ্যে।

শুদ্ধাচারে পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আবুল কাসেম, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের যুগ্মপ্রধান মো. মনজুরুল আনোয়ার, আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের যুগ্মপ্রধান স্বপন কুমার ঘোষ, পরিকল্পনা বিভাগের উপসচিব ড. উত্তম কুমার দাশ, কার্যক্রম বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান বেগম সাবিনা রওশন, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান শিমুল সেন, শিল্প ও শক্তি বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান মো. নাজমুল হাসান, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর মো. রাসেল হাওলাদার, পরিকল্পনা বিভাগের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর রীতা রানী মন্ডল, কার্যক্রম বিভাগের ডাটা এন্ট্রি কন্ট্রোল অপারেটর মো. জুনাইদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের অফিস সহায়ক মো. মিজানুর রহমান, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের অফিস সহায়ক বেগম আলেখা আক্তার, শিল্প ও শক্তি বিভাগের অফিস সহায়ক মো. মাসুদুর রহমান এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের অফিস সহায়ক মো. নাসির উদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৯-২০ সই হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, সভাপতি ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিনসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ