পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা আরো বাড়াতে হবে। কারণ, রাজস্ব আয় না বাড়ানো গেলে সব ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড মুখ থুবড়ে পড়বে। এজন্য এনবিআরকে রাজস্ব আদায়ে আসন্ন অর্থ বছরে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে হোটেল শেরাটনে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশ আয়োজিত বাজেট পরবর্তী আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ এরশাদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবয়াক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হিসেবে নয়, দেশের একজন সচেতন সিনিয়র নাগরিক হিসেবে বলতে চাই- সামাজিক সুরক্ষা, স্থিতিশীলতা রক্ষা করা না গেলে দেশকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করা যাবে না। ফলে সরকারের সব অর্জন হুমকির মুখে পড়তে পারে। এ বিষয়ে মতবিরোধ তৈরি করা হলে নিজেদের পায়ে নিজেদেরই কুড়াল মারা হবে। তাই সবাইকে একসঙ্গে এ বিষয়ে কাজ করতে হবে।
ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেছেন, ২০২২-২০২৩ সালের প্রস্তাবিত বাজেটের টার্গেট গ্রহণযোগ্য হলেও বাস্তবায়ন কঠিন হবে, নানা চ্যালেঞ্জ-সমস্যায় পড়বে। এতে সামাজিক সুরক্ষার জন্য যে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে তা বাজেটের অনুপাতে খুবই কম। এছাড়াও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ওপর বড় অংকের রাজস্ব আদায়ের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জনগণের ওপর চাপ বাড়বে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এবারের বাজেট ব্যবসাবান্ধব। বাজেটে নতুন বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটা কীভাবে বাস্তবায়িত হবে তা বলা হয়নি। বৈশ্বিক এ সঙ্কটের সময়ে বাজেটে দরিদ্র মানুষের বাজেটে কিছু নেই। তিনি বলেন, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে সার্বজনীন পেনশনের কথা বলা হয়েছে, তবে তা বাস্তবায়ন করা হবে চ্যালেঞ্জিং। ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, দারিদ্র বিমোচনে বাজেটে আরেকটু বরাদ্দ বাড়ানোর দরকার ছিল। এখাতে কয়েক হাজার কোটি টাকা বাড়তি দিলে আমরা হয়তো বয়স্ক বাতা ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে সাতশ টাকায় উন্নীত করতে পারতাম। তহোলে এইসব মানুষের প্লেটে কিছু খাবার হয়তো দেখা যেত। এখন সেটা কমে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এখনো সময় আছে। আমি মনে করি, বাজেটে কিছু পরিবর্তন, পরিবর্ধন করা সম্ভব। সরকার ইচ্ছা করলে কয়েক হাজার কোটি টাকা এদিক-সেদিক করে দারিদ্র বিমোচনে যুক্ত করতে পারে। মূল্যস্ফিতির বিষয়ে এ গবেষক বলেন, মূল্যস্ফিতির লক্ষ ঠিকই আছে। কিন্তু লক্ষ অর্জনের সঠিক নির্দেশনা দেয়া হয়নি। অর্থমন্ত্রীর বাজেট বক্তব্যে বলা হয়নি। এবং মূদ্রানীতিতে কিভাবে ব্যবহার করা হবে তাও বলা হয়নি। প্রধানত, মূল্যস্ফিতিকে ম্যানেজ করা হয় মূদ্রনীতির মাধ্যমে। কিন্তু মুদ্রানীতির ব্যবহার ৬-৯ শতাংশ ফিক্সড করে দিলে মুদ্রানীতির ব্যবহার কিছু থাকে না, অচল হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে আগামীতে কি করবে এমন নির্দেশনা বাজেটে নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।