Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পুলিশের উপ-পরিদর্শক থেকে পরিদর্শক পদে ৪১৬ জনের পদোন্নতি

| প্রকাশের সময় : ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) থেকে পরিদর্শক পদে ৪১৬ জনকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে বিষয়টি জানানো হয়। পদোন্নতি প্রাপ্তদের দেশের বিভিন্ন স্থানে পদায়ন করা হয়েছে।
পুলিশ সদরদফতর জানায়, বর্তমান সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক এসআইর পদোন্নতির ঘটনা এটাই প্রথম। পদোন্নতি পাওয়া পরিদর্শকদের পুলিশের নবগঠিত বিভিন্ন ইউনিটে পদায়ন করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা অন লাইনে দেখুন।


‘সনাতনী’ ব্যানারে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হামলা   
শাস্তি না দিলে সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে যাবে
চট্টগ্রাম ব্যুরো : প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ কখনোই মেনে নেবে না। প্রেসক্লাবে হামলাকারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনা না হলে সাংবাদিক সমাজ কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে। ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে দোষীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে আইনের  আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে যাবে।  ‘সনাতনী’ সংগঠনের ব্যানারে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে ও সাংবাদিকদের ওপর দফায় দফায় হামলার প্রতিবাদে গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সাংবাদিক সমাজের প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) যৌথ আয়োজনে উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী। প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ৫৪ বছরের ইতিহাসে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আর কখনোই ঘটেনি। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের দ্বিতীয় আবাসস্থল। এই প্রেসক্লাব সবসময়ই নির্যাতিতদের পক্ষে কথা বলে। নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হলে বা যেকোন দুর্যোগে মানুষ প্রেসক্লাবে ছুটে আসেন। আর সাংবাদিকরা এসব নির্যাতন ও মানুষের দুর্দশার খবর তুলে ধরেন। আর সেই প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়না। বক্তারা বলেন, ‘সচেতন সনাতন সমাজ’ নামের এই সংগঠনের কতিপয় উচ্ছৃংখল যুবককে কারা ইন্ধন দিয়েছে তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
প্রতিবাদ সমাবেশে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, বিএফইউজে’র সহ সভাপতি শহীদ  উল আলম, সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অঞ্জন কুমার সেন, এজাজ ইউসুফী, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী আবুল মনসুর, সাংবাদিক ই্উনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী,  সিইউজের সহ-সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত, একুশে টিভির আবাসিক সম্পাদক রফিকুল বাহার, উজ্জ্বল ধর প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের সাথে কারো বিরোধ নেই। বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের প্রতি সাংবাদিকরা সবসময় সংবেদনশীল। এখানে ভুল বোঝাবুঝির কোন অবকাশ নেই। এ সমাবেশ কোন সংগঠনের বিরুদ্ধে নয়। এই সমাবেশ উচ্ছৃংখল যুবকরা যারা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে তাদের শাস্তি দাবি করছে। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা করার সাহস না দেখায়। সাংবাদিক নেতারা প্রশাসনের কাছে ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে দোষীদের ধরে আইনের  আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর আন্দোলনে যাবে। সমাবেশ পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। এদিকে সাংবাদিক নেতাদের সর্বসম্মত যৌথ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল উক্ত হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।  
উল্লেখ্য ‘সনাতনী সমাজে’র ব্যানারে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বন্দরনগরীর প্রাণকেন্দ্র জামাল খান সড়কস্থ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এবং সাংবাদিকদের ওপর দফায় দফায় হামলা, ভাঙচুরের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক, পথচারী, স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ অসংখ্য মানুষের সামনে দিয়েই ‘ঐক্যবদ্ধ সনাতন সমাজ’ নামক হিন্দু সম্প্রদায়ের সংগঠনটি অতর্কিতে প্রেসক্লাবে ঢুকে পড়েই এই হামলা চালায়। এ সময়  লাঠিসোটা সমেত সংগঠনটির উগ্রবাদী ৪ জন যুবককে হাতেনাতে আটক করে পুলিশ। ঘটনায় আহত হন ৪ সাংবাদিক ও একজন পুলিশ কর্মকর্তা। ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ৫৪ বছরের ইতিহাসে ক্লাবে ঢুকেই এবারই প্রথম জঙ্গি স্টাইলে হামলার ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটলো।
এদিকে হামলায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে), চট্টগ্রাম ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। হামলায় জড়িত সবাইকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর। ইসলামী ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের রুবেলসহ নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসক্লাব ও জাতির বিবেক সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীরা দেশ ও মানবতার শত্রু। সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পুলিশের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ