Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শিবলিঙ্গের কার্বন-ডেটিং আবেদন গ্রহণ আদালতের পরবর্তী শুনানি ২৯ সেপ্টেম্বর

জ্ঞানবাপী মামলা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদ কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে পাওয়া কথিত শিবলিঙ্গের কার্বন-ডেটিং চেয়ে একটি আবেদন গ্রহণ করেছে এবং পরবর্তী শুনানির তারিখের মধ্যে মসজিদ পরিচালনাকে তার আপত্তি দাখিল করতে বলেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারক এ কে স্পেশাল জ্ঞানবাপী মসজিদ-শ্রীঙ্গার গৌরী বিরোধ সংক্রান্ত মামলার শুনানির পরবর্তী তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ধার্য করেছে।
১২ সেপ্টেম্বর পিটিশনের রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আবেদনটি খারিজ করার পর আদালত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে পুনরায় শুনানি শুরু করে। আবেদনে প্রতিদিন মসজিদের বাইরের দেয়ালে অবস্থিত হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি পূজার জন্য আদালতের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বাদী মহিলাদের পক্ষে উপস্থিত হয়ে আদালতের সামনে ‘শিবলিঙ্গের কার্বন-ডেটিংয়ের দাবি তুলেছিলেন। জেলা সরকারের কৌঁসুলি রানা সঞ্জীব সিং বলেন, বিচারক আবেদনটি মঞ্জুর করেন এবং ২৯ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করেন।
তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর শুনানির শেষ তারিখের আট সপ্তাহ পর পরবর্তী শুনানি ঠিক করার জন্য মুসলিম পক্ষের আবেদন আদালত বিবেচনা করেনি।
হিন্দু পক্ষ এর আগে দাবি করেছিল যে, অজুখানার কাছে মসজিদ কমপ্লেক্সে শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে। তবে মসজিদ ব্যবস্থাপনার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটি ‘অজুখানা’র ঝর্ণা ব্যবস্থার অংশ।
মোট ১৫ জন বিরোধের পক্ষ হওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন। বিচারক বলেছেন, আদালতে হাজির হওয়া মাত্র আটজনের আবেদন বিবেচনা করা হবে, সিং বলেন। প্রতিদিন মসজিদের বাইরের দেয়ালে অবস্থিত হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তি পূজার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছেন পাঁচ নারী।
আঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি বলেছে, মসজিদ ওয়াকফের সম্পত্তি। এটি আগে পিটিশনের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। মসজিদটি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের পাশে অবস্থিত এবং মামলায় দাবি করা হয়েছে যে, মসজিদটি মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের নির্দেশে একটি হিন্দু কাঠামোর একটি অংশে নির্মিত হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্ট জেলা আদালতকে প্রথমে শিংগার গৌরী মূর্তির সামনে দৈনিক পূজা করার অনুমতি চেয়ে পাঁচ হিন্দু মহিলার দায়ের করা মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল এবং যুক্তি দিয়েছিল যে, তাদের আবেদন রক্ষণাবেক্ষণযোগ্য নয়, কারণ উপাসনার স্থান (বিশেষ বিধান) আইন ১৯৯১-এ বলা হয়েছিল যে, এ জাতীয় স্থানগুলোর চরিত্র স্বাধীনতার সময় যেমন ছিল তেমনই থাকা উচিত। ১৯৯১ আইন শুধুমাত্র রাম জন্মভ‚মি-বাবরি মসজিদ জমি বিবাদের জন্য ছাড় দিয়েছে। সূত্র : পিটিআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ