গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
সীমান্তের মিয়ানমার নিরাপত্তা বাহিনীর গোলা বর্ষণ ও মাইন দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন প্রধান আমীরে শরীয়ত আল্লামা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে দমন করার নামে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোলা বর্ষণ ও মর্টারসেল নিক্ষেপ করে হতাহতের ঘটনা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি এবং আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘনের শামিল।
মিয়ানমার বাহিনীর মর্টারসেল ও গোলা নিক্ষেপ এবং মাইন দুর্ঘটনার জন্য বাংলাদেশের দুর্বল ও নতজানু পররাষ্ট্র নীতিই দায়ী। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বারবার সতর্ক করার পরও এ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দেশবাসী খুবই উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশের স্থল ও আকাশ সীমা লঙ্ঘন করে হামলা চালানো দেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কোন ষড়যন্ত্র কিনা তা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় দেড় হাজার নাগরিক চরম আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে। নাগরিকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষার কেন্দ্রসহ গ্রামবাসীকে সরিয়ে আনতে হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোতে বিজিবি ও কোষ্টগার্ডের সাথে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা জরুরি। এর জেরে আবারো যাতে কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে কড়া নজরদারি বাড়াতে হবে। তাছাড়া জাতিসংঙ্ঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে বাধ্য করতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহবান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।