Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একটাই আওয়াজ ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

২০২২ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। দিনটি বাংলাদেশ নারী ফুটবলের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে জায়গা করে নিলো। যুগ যুগ ধরে দেশের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষরা এ দিনটিকে মনে রাখবেন। কারণ এই দিনেই যে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বে মুকুট মাথায় পড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। এ দিনেই প্রথমবারের মতো সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে সাবিনা খাতুন বাহিনী। কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে কৃষ্ণা রানী সরকার- শামসুন্নাহার জুনিয়ররা সেরাদের সেরা হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। সেমিফাইনালে ভুটানকে ৮-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে ওঠার পর থেকেই নেপাল-বাংলাদেশ শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। দেশের প্রতিটি স্তরের মানুষের দৃষ্টি নিমিষেই চলে যায় কাঠমান্ডুতে। সবাই এই ম্যাচ নিয়ে সাবিনাদের শুভকামনার পর শুভকামনা দিতে থাকেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নারী ফুটবলারদের ছবিতে সয়লাব হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা।

কাল দশরথ স্টেডিয়াম লাল-সবুজ পতাকা নিয়ে উপস্থিত হয়েছিল এক দল প্রবাসী বাংলাদেশি। যদিও তাদের সংখ্যা ছিল স্বাগতিক নেপালের সমর্থকদের তুলনায় অনেক কম। তবুও ম্যাচের ১৪ মিনিট পর থেকে স্টেডিয়াম উপচে পড়া নেপালী সমর্থকদের ‘নেপাল, নেপাল’ চিৎকার ছাপিয়ে কেবল শোনা যায় ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ আওয়াজ। লাল-সবুজের মেয়েরা গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পর যেন চওড়া চয়ে যায় স্টেডিয়ামে উপস্থিত কিছু সংখ্যক বাংলাদেশির কণ্ঠ। ‘বাংলাদেশ-বাংলাদেশ’ আওয়াজে মুখরিত হয়ে উঠে দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়াম। শুধু তাই নয়? বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টি-স্পোর্টস এর কল্যাণে এই ম্যাচটি সরাসরি দেখে পেরেছে দেশের ক্রীড়াপাগল মানুষরা। যদিও কারিগরি ত্রুটির কারণে ঠিক মতো খেলা দেখা যায়নি। তারপরও রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশের কোটি মানুষ এই ম্যাচের প্রতিটি মূহুর্ত দেখতে হাঁসফাঁস করেছেন। ফাইনালের আগে সব হিসেবেই ছিল বাংলাদেশ ফেভারিট। নেপাল এগিয়ে ছিল কেবল স্বাগতিক হওয়ার কারণে। তাতে কী? শেষ পর্যন্ত উপভোগ্য ফুটবল খেলে সাবিনা বাহিনী মাঠ ছেড়েছে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পড়ে।
২০০৩ সালে বাংলাদেশের ছেলেরা প্রথমবার জিতেছিল দক্ষিণ এশিয়ার সেরা এই টুর্নামেন্টের শিরোপা। তারপর বাংলাদেশ মাত্র আর একবার ফাইনাল খেলতে পেরেছিল। সর্বশেষ আসরগুলোতে গ্রুপ পর্বই টপকাতে পারেননি জামাল ভূঁয়ারা। ছেলেদের ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকার মধ্যেই মেয়েরা আনলো ঐতিহাসিক সাফল্য। প্রথমবারের মতো সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়লো তারা।
নেপালের এই দশরথ স্টেডিয়াম বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত হয়েই থাকলো। ১৯৯৯ সালে এই মাঠেই বাংলাদেশ প্রথম ধরেছিল সোনার হরিণ। জুয়েল রানার নেতৃত্বে তখন বাংলাদেশ সাফ গেমসে (বর্তমানে এসএ গেমস) স্বর্ণ জিতেছিল। সেবারও ফাইনালে নেপালকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: একটাই আওয়াজ ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ