নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চলতি মৌসুমে বার্সালোনা ও ম্যানচেস্টার সিটির ম্যাচ মানেই রবার্ট লেভান্দোভস্কি আর আর্লিং হালান্ডের গোল। গত দশকে যে কাজটা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি করতেন সেটাই এখন করছেন লেভা ও হালান্ড। গতপরশু রাতেও ছিল একই চিত্র। লেভান্দোভস্কির জোড়া গোলে বার্সালোনা ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে এলচের বিপক্ষে। এই পোলিশ স্ট্রাইকারের সাবেক ক্লাব বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ যেন এখন অথৈ পাথারে। লিগে আগের তিন ম্যাচ ড্র করার পর এ রাতে ১-০ গোলে হেরেই বসল হুলিয়ান ন্যাগেলসম্যানের দল। ফলে বুন্দেসলিগায় ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বাজে শুরু হলো বাভারিয়ানদের। অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে ১৩ মিনিট ২১ সেকেন্ডের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূরণ করেছেন সন মিং ইউং। এই দক্ষিণ কোরিয়ানের হ্যাটট্রিকে লিস্টার সিটির বিপক্ষে প্রথমে পিছিয়ে পড়ার পরও ৬-২ ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে অ্যান্তোনি কন্তের টটেনহ্যাম।
ক্যাম্প ন্যুতে খেলা শুরুর ১৪ মিনিটের মাথায় দশ জনের দলে পরিণত হয় এলচে। অসাধারণ ছন্দে থাকা লেভান্দোভস্কি ৩৪ মিনিটের সময় আলেহান্দ্রো বাল্ডের এসিস্টে এগিয়ে দেন স্বাগতিকদের। প্রথমার্ধের নির্ধারিত সময়ের ৪ মিনিত আগে স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন ডাচ মেস্ফিস ডিপাই। বোলের যোগান দাতা সেই বাল্ডে। বিরতির ঠিক ৩ মিনিট পরেই লিগের ৮ নম্বর গোলটি পান পোলিশ স্ট্রাইকার। ফলে টানা পঞ্চম জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জাভির শিষ্যরা। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয় ও এক ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১৬। গত মধ্যরাতে হওয়া মাদ্রিদ ড্রাবিতে যদি রিয়াল জিতে থাকে তাহলে পুনঃরায় শীর্ষে চলে যাবে লস বø্যাঙ্কসরা। ম্যাচ শেষে বার্সা কোচ জাভি প্রশংসার সবটুকুই বরাদ্ধ রাখলেন তরুণ লেফট-ব্যাক বালদের জন্য, ‘দুর্দান্ত ফুটবলার সে, মানসিকতাও দারুণ। আমি ভেবে পাই না ১৮ বছর বয়সী একটা তরুণ কীভাবে এতটা ভালো খেলতে পারে। শারীরিকভাবে সে খুবই দক্ষ। একদম পাগলাটে। তার কাছ থেকে আমরা অনেক কিছু পাব।’
অন্যদিকে বুন্দেসলিগায় হতশ্রী বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। চার দিন আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার বিপক্ষে জয়ে যে দাপট ছিল তা উধাও লিগ ম্যাচে। মশেনগø্যাডবার্গ, ইউনিয়ন বার্লিন ও স্টুটগার্টের বিপক্ষে ড্র করার পর, অগসবার্গের মাঠে ১-০ ব্যবধানে হেরেই বসেছে গত ১০ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। ভয়ংকর তথ্য হচ্ছে গত দুই দশকের মধ্যে প্রথমবার টানা চার ম্যাচে জয়হীন বাভারিয়ানরা। ম্যাচটি জিতলেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে যেত বায়ার্ন। তবে ঠিক উল্টোটা হওয়ায় ৭ ম্যাচে একটি হার এবং তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ১২। টানা ৮৭ ম্যাচে গোল পাওয়ার পরে পরশু গোলহীন থাকল বায়ার্ন। রেলিগেশন থেকে এক পয়েন্ট ওপরে থেকে ম্যাচ শুরু করেছিল অগসবার্গ।
দলে একজন প্রথাগত স্ট্রাইকার না থাকাতাকেই পরক্ষোভাবে দুষলেন ম্যানেজার নাগেলসম্যান, ‘আমি যদি বলি পর্যাপ্ত বিকল্প (স্ট্রাইকার) আছে, তাহলে লোকেরা বলবে যে আমি সমস্যা স্বীকার করছি না। আর আমি যদি বলি সমস্যা আছে, তখন তারা বলবে যে আমি লেভান্দোভস্কিকে মিস করছি। সত্যটা হচ্ছে এক এরিক মাক্সিম ছাড়া আমাদের আর স্বীকৃত স্ট্রাইকার নেই। সবকিছু নিয়ে ভাবতে হবে। অনেক কিছুই পরিবর্তন করতে হবে এখন।’ এদিকে চার ম্যাচে জয় না পাওয়াতে বায়ার্ন ফরোয়ার্ড টমাস মুলারের মুখে যেন কথায় হারিয়ে গিয়েছে, ‘এমন ধারাবাহিক বাজে ফলাফলের পর, আমরা বিব্রত ও ভাষাহীন।’
অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ছন্দে ফিরেছেন স্পার্স ফরোয়ার্ড সন। গত মৌসুমে ছিলেন সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। অথচ এই মৌসুমে আট ম্যাচ খেলে ফেলেও ছিলেন গোলহীন। ঘরের মাঠ টটেনহ্যাম স্টেডিয়ামে লিস্টারের বিপক্ষে কোচ কন্তে একাদশের বাহিরে রাখেন সনকে। ম্যাচের ৫৯ তম মিনিটে রিচার্লিসনের বদলি হিসেবে যখন এই কোরিয়ান নামেন তখন ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে হ্যারি কেইনরা। এরপরের ২৭ মিনিটের মাঝে প্রথম স্পার্স ফুটবলার হিসেবে তুলে নিলেন বিরতির পরে নেমে হ্যাটট্রিক করার মাইলফলক। স্পার্সের হয়ে বাকি ৩টি গোল করেন কেইন, ডায়ার ও বেন্টাকুর। আগের ম্যাচগুলোয় গোলমুখে ১৭টি শট নিয়েও ব্যর্থ্য হয়েছিলেন সন, কিন্তু পরশু তিন শটে ৩ গোলের পর সন জানান, ‘আমি খুব হতাশার মধ্যে ছিলাম। দল খুব ভালো করলেও, আমি গোল পাচ্ছিলাম না। প্রথম গোলের পর সব নেতিবাচকতা যেন নিমেষেই উড়ে গেল। ফুটবলে মাঝেমধ্যে পাগলামী কান্ড ঘটে। কিছু সময় বল জালে যেতেই চায় না, আবার কখনো তিনবারও চলে যায়।’ এই ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড প্রথম দুই গোল করেন ডি-বক্সের বাহির থেকে কার্ভ শটে। উইক ফুটে (বাঁ-পা) করা গোলটি ছিল অবিশ্বাস্য। এই জয়ের ফলে ৭ ম্যাচ শেষে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৩ নম্বরে আছে কন্তের দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।