Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংলাপের প্রথম দিনই ডাকা হচ্ছে বিএনপিকে

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রেসিডেন্টের সংলাপ বিজয় দিবসের পর

| প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হাবিবুর রহমান : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে চলতি মাসের দ্বিতীয়ার্ধেই সংলাপে বসতে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট মো: আবদুল হামিদ। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। সংলাপের প্রথম দিনই বিএনপিকে আলোচনার জন্য ডাকা হতে পারে বলে বঙ্গভবন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিজয় দিবসের পরপরই এ সংলাপের আয়োজন করা হচ্ছে বলে প্রেসিডেন্টের  প্রেস সচিব মো: জয়নাল আবেদীন গতকাল মঙ্গলবার ইনকিলাবকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের আগে সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবেন প্রেসিডেন্ট। প্রেস সচিব কোনো তারিখ না বললেও বঙ্গভবনের একজন কর্মকর্তা জানান, আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করার কথা ভাবা হচ্ছে। প্রথম দিনই বিএনপিকে আলোচনার জন্য ডাকা হতে পারে। ২০১২ সালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই ‘সার্চ কমিটির’ মাধ্যমে কাজী রকীবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমান। আগামী ফেব্রুয়ারিতে বর্তমান কমিশনের মেয়াদ শেষে নতুন যে ইসি দায়িত্ব নেবে, তার অধীনেই ২০১৯ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচন হবে। এবারও ‘সার্চ কমিটি’ করে প্রেসিডেন্ট নতুন কমিশন নিয়োগ দেবেন বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আগেই জানিয়েছেন। নতুন ইসি ও সার্চ কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির বক্তব্য জানাতে গত নভেম্বর মাসে সংবাদ সম্মেলনে আসেন সংসদের বাইরে থাকা দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।  সেখানে যে ১৩ দফা প্রস্তাব তিনি তুলে ধরেন। তার মূল কথা ছিলÑ ‘সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল, অথবা স্বাধীনতার পর প্রথম জাতীয় সংসদ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে এমন সব রাজনৈতিক দলের’ মতৈক্যের ভিত্তিতে নতুন ইসি গঠন করতে হবে। দীর্ঘ দিনের শরিক জামায়াতে ইসলামীকে সংলাপে রাখতেই খালেদা ওই প্রস্তাব দিয়েছেন বলে সে সময় দু’টি সংবাদত্রে বিশ্লেষণ প্রকাশ করা হয়।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামী ইসির শর্ত পূরণ না করায় রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন হারিয়েছে। তবে বিভিন্ন সময়ে জাতীয় সংসদে তাদের প্রতিনিধিত্ব থাকায় জামায়াতেরও সংলাপে যাওয়ার সুযোগ হবে খালেদার প্রস্তাব মানা হলে। আওয়ামী লীগের নেতারা খালেদা জিয়ার ওই অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। বিএনপিনেত্রীর প্রস্তাব সম্পর্কে গত শনিবার গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, উনার প্রস্তাব উনি দিয়েছেন। প্রেসিডেন্টকে বলুক। এটা প্রেসিডেন্ট ভালো বুঝবেন, উনি কী পদক্ষেপ  নেবেন। প্রেসিডেন্ট যে পদক্ষেপ নেবেন সেটাই হবে। আমাদের বলার কিছু নেই এখানে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিএনপি

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ