নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন বরাবরই পেসারদের জন্য সহায়ক। সেখানেই হতে যাচ্ছে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। কিন্তু বৈশ্বিক আসরের জন্য ভারত কিনা দল সাজিয়েছে কেবল চার বিশেষজ্ঞ পেসার নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক ফাস্ট বোলার মিচেল জনসন বলেছেন, অনেক বড় ঝুঁকি নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে এশিয়ার দলটি। ভারতের বিশ্বকাপ দলে বিশেষজ্ঞ পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ, ভুবনেশ্বর কুমার, হার্শাল প্যাটেল ও আর্শদিপ সিং। সঙ্গে আছেন পেস বোলিং অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। এদের মধ্যে আবার আর্শদিপ আন্তর্জাতিক আঙিনায় একেবারেই নতুন। গত জুলাইয়ে হয়েছে তার টি-টোয়েন্টি অভিষেক। মোহাম্মদ শামি ও দিপক চাহারকে দলে রাখা নিয়ে আলোচনা চললেও শেষ পর্যন্ত সুযোগ পাননি অভিজ্ঞ এই দুই পেসার। তবে বিশ্বকাপের রিজার্ভ দলে তাদেরকে রেখেছে ভারত।
সাবেকদের টুর্নামেন্ট লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেট খেলতে এখন ভারতে আছেন জনসন। দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ জয়ী বোলার তুলে ধরেছেন, বিশ্বকাপ দল গঠনে কোথায় ভুল করেছে ভারত, ‘দলে যদি একজন পেস বোলিং অলরাউন্ডার, কয়েকজন স্পিনার ও চার জন ফাস্ট বোলার রাখা হয়, তাহলে এটা একটু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। তবে ভারত সম্ভবত দুইজন পেসার, একজন অলরাউন্ডার (হার্দিক পান্ডিয়া) ও দুই জন স্পিনার খেলানোর ভাবনায় আছে। অস্ট্রেলিয়ায় নিশ্চিতভাবে তিন জন ফাস্ট বোলার খেলাতে হবে, কিছু কিছু কন্ডিশনে সম্ভব হলে চার জন, যেমন পার্থে। আমার ধারণা, তাদের পরিকল্পনা আছে। তবে যদি চার পেসার নিয়ে যাওয়া হয়, তাহলে কাজটা একটু ঝুঁকির।’ অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে গতি অনেক বড় ব্যাপার। কিন্তু সব সময় যে গতিই সাফল্য এনে দেয় তা মনে করেন না জনসন। দুইবার আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার হওয়া এই পেসার বললেন, বোলিং করতে হবে জুটি বেঁধে, ‘এই বিষয়গুলো মজার (সবারই ১৪৫ এর বেশি গতিতে বল করতে হবে)। কেউই যদি ১৪৫ কিমি এর বেশি গতিতে বল করতে পারে, একই গতিতে বল করার জন্য আরেকজনকে দরকার নেই। প্রয়োজন এমন বোলারের যারা পরস্পরকে সহায়তা করবে, একসঙ্গে কাজ করবে।’
এই কথা বলতে গিয়ে জনসন উদাহরণ টানলেন ঘরের মাঠের ২০১৩-১৪ অ্যাশেজের। ওই সিরিজে গতির ঝড় তুলে ইংলিশ ব্যাটিং লাইন আপ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই ফাস্ট বোলার। ইনিংসে ৩ বার পাঁচ উইকেটসহ ৫ ম্যাচ খেলে তার শিকার ছিল সর্বোচ্চ ৩৭ উইকেট। ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনিই। এই সাফল্য যে শুধু নিজের অসাধারণ বোলিংয়ের জন্য পেয়েছেন জনসন, তা নয়। বললেন, দুর্দান্ত বোলিংয়ে তার সাফল্যের পথ করে দিয়েছিলেন দলে থাকা বাকি দুই পেসার পিটার সিডল ও রায়ান হ্যারিস। ওই সিরিজে সিডল নিয়েছিলেন ১৬ উইকেট, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ উইকেট শিকারি ছিলেন হ্যারিস, ‘২০১৩-১৪ অ্যাশেজে আমার গতিময় বোলিং নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, যা ছিল দারুণ। তবে অন্যদিকে আমার সঙ্গে ছিল পিটার সিডল ও রায়ান হ্যারিস, যাদের ছিল নিজস্ব সামর্থ্যরে জায়গা এবং তারাও ১৪০ গতিতে বল করতে পারে। তাই এটা ছিল পুরোপুরি দলের ভারসাম্যের বিষয়। অস্ট্রেলিয়ায় মূল জিনিস হলো বাড়তি বাউন্স ও গতি এবং লেংথ ঠিক রাখা।’
বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে ভারত। প্রোটিয়াদের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডেও খেলবে তারা। আগামী ২৩ অক্টোবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে পথচলা শুরু করবে ভারত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।