মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সদ্য পরলোকগত হয়েছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সিংহাসনে বসেছেন তার ছেলে তৃতীয় চার্লস। রানি হয়েছেন চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা পার্কার।
ঠিক এ সময়ই ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ার বাসিন্দা সাইমন চার্লস ডোরান্ট ডে দাবি করেছেন, তিনি রাজা তৃতীয় চার্লস ও ক্যামিলার প্রেমজাত সন্তান। পাশাপাশি তৃতীয় চার্লস ও তার প্রথম স্ত্রীর বড় ছেলে উইলিয়ামকে প্রিন্স অব ওয়েলস হিসেবে দেখতে হচ্ছে, যা তার জন্য দুর্ভাগ্য।
পেশায় প্রকৌশলী সাইমন অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের বাসিন্দা। তার জন্ম ১৯৬৬ সালের ৫ এপ্রিল। বর্তমানে তার বয়স ৫৬ বছর। আট মাস বয়সে তাকে অস্ট্রেলিয়ার এক পরিবার দত্তক নেয়। সাইমন বলেন, তার দত্তক নেয়া দাদি মৃত্যুশয্যায় জানিয়ে যান তিনি চার্লস-ক্যামিলার গোপন সন্তান ও রাজপরিবারের সদস্য।
তিনি আরো জানান, রাজপরিবারের সদস্যদের কাছে নিজের সত্যতা প্রমাণ করার জন্য তিনি ডিএনএ পরীক্ষা করাতে রাজি। এমনকি, এ নিয়ে তিনি একবার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকে চিঠিও লেখেন। তবে এই চিঠির কোনো উত্তর তিনি পাননি।
সাইমন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উইলিয়ামকে প্রিন্স অব ওয়েলস হিসাবে ঘোষণা করেছেন চার্লস। তার এই সিদ্ধান্তের ‘মুখে লাথি’। কারণ তার মতে, এই পদ পাওয়ার কথা ছিল তার নিজের।
সাইমন বলেন, ‘আমি খারাপ ভাবতে চাই না, তবে আমার খারাপ লাগে। চার্লস চাইলে আমার চিঠির অন্তত একটা উত্তর দিতে পারতেন। চার্লসের ছেলে হিসেবে আমাকে মেনে নেয়া উচিত। উইলিয়ামকে নতুন উপাধিতে ভূষিত করা হচ্ছে। কিন্তু আমার উত্তর কোথায়? আমার ডিএনএ পরীক্ষার দাবির কি হবে? চার্লস যদি আমার বাবা না হন, তা হলে তা প্রমাণ করুন।’
তিনি বলেন, এ নিয়ে তার আইনজীবীর সাথে কথাও হয়েছে। রাজা আইনের ঊর্ধ্বে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি। চার্লসের পাশাপাশি মা ক্যামিলার ওপরেও ক্ষোভ উগরে দেন সাইমন।
তার দাবি, যাদের পালক দাদা-দাদি বলে জানতেন তারা এক সময় রাজ পরিবারে কাজ করতেন। তখনই তাদের হাতে সন্তানকে তুলে দেন চার্লস ও ক্যামিলা। ১৯৬৫ সালে চার্লস-ক্যামিলার গোপন সম্পর্কের সূত্রপাত। উইনস্টন চার্চিলের শেষকৃত্যে তাদের একে অপরের সাথে দেখা হয়। আর তার ঠিক এক বছর পরই জন্ম হয় তার।
সাইমন আরো দাবি করেন, ক্যামিলা সন্তানসম্ভবা হওয়ার পর তাকে ব্রিটেন থেকে দূরে রাখা হয়। চার্লসকেও নয় মাসের জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে পাঠানো হয়। ক্যামিলা তাকে আট মাস বয়স পর্যন্ত নিজের কাছে রাখেন। রাজপরিবার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে তাকে আগলে রাখেন। পরে তাকে দত্তক দেয়া হয়। দত্তকের সময় বিশেষ শর্ত দেয়া হয়। শর্ত ছিল যে, তার নামের প্রথমে থাকা সাইমন এবং মাঝে থাকা চার্লস বদল করতে পারবে না দত্তকে নেয়া পরিবার।
সাইমন মন্তব্য করেন, জন্মের শংসাপত্র ও নামই তাকে রাজ পরিবারের সদস্য বলে প্রমাণ করে। এর জন্য অন্য কোনো প্রমাণের দরকার নেই।
সম্প্রতি সাইমন অস্ট্রেলিয়ায় তার সদ্য পরলোকগত দাদি দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পাশাপাশি তিনি অঙ্গীকার করেন, পরিচয় ফিরে পেতে তিনি খুব শিগগিরই রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ে নামবেন।
সাইমন এত কিছু দাবি করলেও বিভিন্ন পুরনো প্রতিবেদন ও তথ্য অনুযায়ী, সাইমনের জন্মের প্রায় পাঁচ বছর পর চার্লস ও ক্যামিলার প্রথম দেখা হয়। ১৯৭০ সালে একটি পোলো ম্যাচ চলাকালীন চার্লস-ক্যামিলার প্রথম দেখা হয় বলেই বিভিন্ন জায়গায় উল্লেখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে চার্লস ও ক্যামিলার বিয়ে হয়। তখন তাদের দু’জনেরই প্রথম পক্ষের সাথে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। সূত্র : আনন্দবাজার
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।