পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তুমব্রু সীমান্তে স্থলমাইন বিষ্ফোরণ ও মটার শেলের আঘাতে একজন নিহত ও অপর ৬ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মিয়ানমার সরকার, তাদের বিদ্রোহী দমনে মুহুর্মুহূ গোলা, বোমা ও বন্দুকের গুলি ছুঁড়ে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত করে সীমান্তে ভীতিকর পরিস্তিতি সৃ্ষ্িট করেছে।
বাংলাদেশ সরকারের সীমান্ত রক্ষাবাহিনী, আইন শৃংখলা বাহিনী ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এই ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। গত ১৫ দিন ধরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে সীমান্ত এলাকায় অব্যাহতভাবে স্থলমাইন স্থাপন এবং গুলি ও মটার শেল নিক্ষেপ করে চলেছে তারা।
শুক্রবার রাতে নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা অন্যথোয়াই তংচংগ্যা ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে পা হারিয়েছে। নিহত হয়েছে ইকবাল নামের এক যুবক। এছাড়াও মটার শেলের আঘাতে আহত হয়েছেন আরো ৬ জন।
সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত ঘেঁষা হেডম্যান পাড়ার মৃত অংশে থোয়াইং’র ছেলে অন্যথোয়াইং তংচংগ্যা (২৪) সীমান্ত পিলার নং ৩৫ তারকাঁটা ঘেষা জায়গায় গরু আনতে গেলে স্থলমাইন বিষ্ফোরণে তার ডান পা উড়ে যায়।
ঘুমধুমের ২৭১ নং তুমব্রু মৌজার হেডম্যান তাইংচাপ্রু’র কাছে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দুপুরে একটি বিকট শব্দ শুনে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মুহূর্তে খবর আসে আমাদের পাড়ার অন্যথোয়াইং তংচংগ্যা নামের যুবকটি গরু আনতে গেলে উক্ত বিস্ফোরিত ল্যান্ড মাইনের কবলে পড়ে। তাৎক্ষণিক অবস্থায় (হেডম্যান পাড়া) কয়েক জন ছেলে গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে নিয়ে আসে। তখন দেখতে পাই তার বাম পা’র হাটুর নিচ পর্যন্ত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ঠিক ঐ মুহূর্তে স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য উখিয়ার কুতুপালং এম এস এফ হাসপাতালে নিয়ে যায়’।
এম এস এফ হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্তব্যরত এক চিকিৎসক বলেন, ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরিত অন্যথোয়ইং’র শারীরিক অবস্থা আশঙ্কজনক। তাই প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তৎক্ষণাৎ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা করা হয়।
ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার অভ্যন্তরে জান্তা ও বিদ্রোহীদের মাঝে যুদ্ধ চলমান থাকায় স্থানীয় সীমান্তে বসবাসকারী জনগনকে সর্বদা সতর্কতার সহিত চলাফেরা করতে বলা হয়েছে। যারা আমাদের তথা প্রশাসনের করা নিষেধ তোয়াক্কা না করে দেশের আইন লঙ্ঘন করে তাদের যে কোনো সমস্যার মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা আছে। যার কুফল মিলেছে ৩নং ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা অন্যথোইং তংচংগ্যার ভাগ্যে।
এদিকে গতরাত ৮টার দিকে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর গোলার আঘাতে আরো কয়েকজন আহত হবার খবর পাওয়া গেছে। সীমান্ত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের মাইন নিষিদ্ধকরণ চুক্তিতে যেসব দেশ স্বাক্ষর করেনি মিয়ানমার তার মধ্যে একটি। তাই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে সীমান্তে মাইন বসানো রাষ্ট্রের মধ্যে মিয়ানমারও অন্যতম একটি দেশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।