বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে দীর্ঘ পাঁচ দিন দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সোমবার বিকেলে কিশোর মিনারুল ওরফে মিনার বাবু’র (১৮) লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেল ৫ টার দিকে দাইনুর সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতিতে ভারতের গঙ্গারাম থানা পুলিশ বাংলাদেশের দিনাজপুর কোতয়ালী থানা পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। দীর্ঘ ৫ দিন অতিবাহিত হওয়ায় সন্ধার মধ্যেই খানপুর মোল্লাহার পুকুরপাড় গোরস্তানে লাশ দাফন করা হয়েছে। লাশ হস্তান্তরের সময় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকস্থলে বিজিবি সদস্যরা বাংলাদেশী কোন মিডিয়া কর্মীকে যেতে দেয়নি। এমনকি দূর থেকেও ছবি তুলতে বাধা দেয়া হয়। তবে ভারতীয় মিডিয়া কর্মীরা বিএসএফ সদস্যদের সাথে পতাকা বৈঠকে উপস্থিত ছিল। শুধু তাই নয় উপস্থিত বিজিবি সদস্যরা লাশ হস্তান্তরকালে ভারতীয় সদস্যদের নাম পদবিসহ কোন প্রকার তথ্য প্রদানে অস্বীকৃতি জানান। বিজিবি সদস্যদের এমন আচরনে বৃষ্টির মধ্যে নিউজ কভার করতে যাওয়া মিডিয়া কর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোস সৃষ্টি হয়েছে। দিনের বেলা পতাকা বৈঠকের সময় সংবাদকর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে না দেয়ার সঠিক কোন কারন জানাননি বিজিবি সদস্যরা।
খানপুর এলাকার বর্ষিয়ান সংবাদ কর্মী আবদুর রহমান জানান, বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় বাংলাদেশের দাইনুর সীমান্ত ফাঁড়ির ৩১৫ মেইন পিলারের অদূরে ৩১৪/৭ সাব পিলারের কাছে ভারতের ভাদরা হরিহরপুর বিএসএফ সীমান্ত ফাড়ির জোয়ানদের গুলিতে মিনারুল নিহত হয়। দীর্ঘ ৫ দিন পর দু’দফা পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আজ সোমবার বিকেলে লাশ হস্তান্তর করা হয়। লাশ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভীরুল ইসলাম, ৯ নং আস্করপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক ইউপি সদস্য মাজেদুর রহমান ও নিহত মিনারুলের পিতা। ভারতের পক্ষে ছিলেন গঙ্গারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা উভয়পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
মিনারুল নিহত হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তুলে। নবম শ্রেনীর একজন টগবগে তরুন যে কিনা পড়াশোনার পাশাপাশি কামলা (মুজুরী) খেটে গরীব পিতাকে সাহায্য করতো সে এক রাতেই হয়ে গেল চোরাকারবারী। তার বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা বাহিনীর খাতায় কোন খারাপ রেকর্ড নেই। এলাকায় ছিল সদালাপি। অথচ সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে অকাল মৃত্যুবরনের সাথেই হয়ে গেল দাগী চোরাকারবারী। বাংলাদেশ ভারতের বিভিন্ন সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে বাংলাদেশী নিহত হওয়ার ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। কিন্তু বিজিবি’র গুলিতে ভারতীয় নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে না বললেই চলে। তর্কের খাতিরে যদি চোরাপথের মাল আনার জন্য সীমান্তে বাংলাদেশীরাই যায় তবে চোরাপথের মাল দেয়ার জন্য ভারতীয়রা আসে না। বিএসএফ এর চোখে পড়ে আর বিজিবি’র চোখে পড়ে না !!!!
বুধবার দাইনুর সীমান্তে মিনারুল যেখানে গুলিবিদ্ধ হয়েছে সেই স্থানে মিনারুল বা সঙ্গিরা গেল কিভাবে। কারন ঐ এলাকায় যেতে হলে বিজিবি দাইনুর বিওপি (ক্যাম্প) সামনে দিয়ে যেতে হয়। তাহলে তারা গেল কিভাবে? এরকম হাজারো প্রশ্ন রয়েছে সচেতন মানুষের কাছে। বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিবি সদস্যদের ঘাফলাতি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে সীমান্তে হত্যা অনেকটাই কমে আসবে বৈকি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।