Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খুন করতে এমপি লিটনকে দীর্ঘদিন নজরদারিতে রেখেছিল চন্দন: র‌্যাব

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২:১৮ পিএম

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে চন্দন কুমার রায় ও সুবল রায় নজরদারিতে রেখেছিল বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলায় গ্রেফতার চন্দনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর জন্য আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য দেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার মঈন বলেন, ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জে নিজ বাড়িতে সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যার ঘটনায় তার বোনের করা মামলা তদন্ত করে আটজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। বিচারকাজ চলাকালীন আসামি সুবল রায় অসুস্থ হয়ে মারা যান। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বরে লিটন হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কাদেরসহ অভিযুক্ত আটজনের সাতজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। সাতজনের মধ্যে ছয়জন গ্রেফতার হন, তবে চন্দন পলাতক ছিলেন।

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, ‘চন্দন রায় দেশত্যাগ করে পালিয়ে যান। তাকে গ্রেফতার করতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছিল চন্দনকে। অবশেষে তাকে সাতক্ষীরা বর্ডার থেকে গ্রেফতার করা হয়।’

গতকাল (রোববার) সাতক্ষীরা ভোমরা এলাকা থেকে চন্দনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য লিটন ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাসভবনে অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন।

এরপর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। তিন বছর পর ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর মামলাটিতে জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাত আসামির সবার ফাঁসির রায় দেয় আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে প্রধান আসামি অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ডা. আবদুল কাদের গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে লিটনের আগে সংসদ সদস্য ছিলেন। অন্যরা তার ঘনিষ্ট লোকজন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন আবদুল কাদের খানের পিএস শামছুজ্জোহা, গাড়িচালক হান্নান, ভাতিজা মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া, রানা ও চন্দন কুমার রায়। এদের মধ্যে চন্দন কুমার রায় পলাতক ছিলেন।

মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত অপর আসামি কসাই সুবল চন্দ্র রায় কারাগারে অসুস্থ হয়ে মারা যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ