Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়তে সম্মত ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলো

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

নিয়মতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক ফ্রেমওয়ার্কে যুক্ত দেশগুলো। সম্প্রতি দেশগুলোর মন্ত্রীরা দ্রুত বর্ধনশীল অঞ্চলটিতে এ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সম্মত হন। মাইনিচি প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আইপিইএফ) দুই দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠক শেষে জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা বলেন, আইপিইএফের ১৪টি সদস্য রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি এবং শ্রম ব্যবস্থার উন্নতি করার পাশাপাশি এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন ব্যবস্থা বজায় রাখতে নিয়মতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় যোগ দেবে জাপান। ন্যায্য বাণিজ্য অধিকার, সরবরাহ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা, কার্বন নিঃসরণ কমানোসহ বিশুদ্ধ জ্বালানি এবং অবকাঠামো এ চার খাতের বিষয়ে রাষ্ট্রগুলো মূলত আলোচনা করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত কর প্রদান এবং দুর্নীতি প্রতিরোধেও একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এটি একটি বড় অর্জন। আমাদের ১৪টি আইপিইএফের অংশীদার রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐকমত্য বজায় থাকা এবং প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের বহিঃপ্রকাশও এটি। আইপিইএফের সদস্যরা এ অঞ্চলে উচ্চাভিলাষী এবং উচ্চ মানের অর্থনৈতিক চুক্তি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে এ রাষ্ট্রগুলো আলোচনার জন্য কবে একত্র হবে সে বিষয়ে কিছু উল্লেখ করেননি তিনি। চলতি বছরের শেষ দিকে দেশগুলোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। আগামী বছরের শুরুতে আরেকটি মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও ইঙ্গিত দেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সচিব জিনা রাইমন্ডো। পাশাপাশি জাপানের বাণিজ্যমন্ত্রী ইয়াসুতোশি নিশিমুরা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বিশেষ করে জ্বালানিসহ অর্থনৈতিক নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত বিষয়গুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। আলোচনার পর মন্ত্রী পর্যায়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আইপিইএফের সদস্যরা বিশ্বব্যাপী মোট দেশজ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক পণ্য ও পরিষেবা বাণিজ্যের ২৮ শতাংশ অবদান রাখে। পাশাপাশি সদস্য দেশগুলো তাদের উদ্দেশ্যকে এগিয়ে নিতে, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জ্বালানি সহায়তা ও বিনিয়োগ সৃষ্টি করতে বাণিজ্য এবং প্রযুক্তিতে নতুন ও সৃজনশীল নীতি বিকাশের চেষ্টাও করবে। ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নিয়মতান্ত্রিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা উচ্চমানের, অন্তর্ভুক্তিমূলক, নায্য ও উন্মুক্ত বাণিজ্যে ভারত অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশটি মূলত বাজারে প্রবেশাধিকারের সুযোগ না পেয়ে বাণিজ্য নিয়মের অংশীদার হতে চায়নি। তবে ভারত ব্যতীত বাকি ১৩টি সদস্য দেশ এ উদ্যোগের চারটি খাতের আলোচনায় অংশ নেবে। আইপিইএফের নিয়মনীতির নমনীয়তার কারণে বিভিন্ন ফ্রেমওয়ার্কে অংশ নেয়া না নেয়ার বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এ নমনীয়তার কারণেই ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর অংশগ্রহণের প্রতিবন্ধকতা কমেছে বলে মনে করেন বাণিজ্য বিশ্লেষকরা। কভিড মহামারী এবং ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের কারণে সরবরাহ ব্যবস্থায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। সরবরবাহ ব্যবস্থায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সবার অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ বলে মত আইপিইএফের দেশগুলোর। মাইনিচি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়তে সম্মত ইন্দো-প্যাসিফিক দেশগুলো
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ