পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভাইবায় এসে জালিয়াতি ধরা
জাবি সংবাদদাতা : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীসহ তিন ছাত্রকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা তিনজনই প্রক্সি দিয়ে চান্স পায়। মৌখিক পরীক্ষায় এমন প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ও ‘ই’ ইউনিটের মৌখিক পরীক্ষা থেকে তাদেরকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।
অভিযুক্ত পরীক্ষার্থীরা হলেনÑ সি-ইউনিটের (কলা ও মানবিক অনুষদ) দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী নাটোরের রেজাউল করিমের পুত্র কাদিরাবাদ ক্যান্টনমেন্ট সাফার কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম (রোল-৩৩১১০৯)। একই ইউনিটে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী টাঙ্গাইল জেলার বাজিদপুর থানার রনজিৎ সাহের পুত্র ও মাহমুদুল হাসান কলেজের তপু সাহ (রোল-৩১৪৮১৭)। এ ছাড়াও ব্যবসা শিক্ষা অনুষদের (ই-ইউনিট) ১৭৭ স্থান অর্জনকারী কুমিল্লার নেয়ামত উল্লার পুত্র ও সোনার বাংলা কলেজের শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান (রোল- ৫১০৯৩৬) একই অভিযোগে আটক হন।
মৌখিক পরীক্ষা বোর্ডের সদস্য সহকারী অধ্যাপক মো: মিজানুর রহমান জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌখিক পরীক্ষার নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে তার স্বাক্ষর মূল উত্তরপত্রের সাথে মিলিয়ে দেখা হয়। কিন্তু এ তিনজনের স্বাক্ষর ও পরীক্ষার উত্তরপত্রের লেখার সাথে কোনো মিল নেই।
পরে ডিন অফিসে সাংবাদিকদের সামনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছেন, ভর্তি পরীক্ষায় সময় তাদের স্থলে অন্যরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে রাকিবুল ইসলাম (সি-দ্বিতীয়) বলেন, দুই লাখ টাকা চুক্তির বিনিময়ে আমার পরীক্ষা অন্য আরেকজন দিয়ে দিয়েছিল।
কলা ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো: মোজাম্মেল হক বলেন, ‘এসব জালিয়াতির সাথে বড় একটি চক্র জড়িত আছে। আমি আশা করি এ তিনজনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ মূল হোতাদের ধরে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযুক্ত তিনজনকে আমারা পুলিশে দিয়েছি। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনুষদে কখনোই ভর্তি হতে পারবে না। তাদের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছি, আর পরবর্তী ব্যবস্থা রাষ্ট্রের আইন দ্বারা পরিচালিত হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।