পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ সন্দেহভাজন পাঁচ অস্ত্র ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো: রুবেল শেখ, মো: সোহেল আহমেদ, মো: বাসেত শেখ, আব্বাস মিয়া ও আরিফুল ইসলাম আরিফ। তবে তাদের দলনেতা পালিয়ে গেছেন। তাদের কাছ থেকে চারটি অবৈধ বিদেশী পিস্তল, নয়টি ম্যাগাজিন ও ৩৮টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকে এক মহিলা অস্ত্র ব্যবসায়ীসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
র্যাব জানিয়েছে, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সহ-সভাপতি আবু তাহের আহমেদের ছেলে তারেক আহমেদ অনিক একজন অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী। সে ডিজে (ডিস্কো জকি) থেকে এখন অস্ত্র চালান মামলার মূল পলাতক আসামি। গতকাল সোমবার দুপুরে র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তুহিন মো: মাসুদ রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, রাজধানীর বাড্ডা ও আবদুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনিকের ৫ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হলেও অনিক পালিয়ে গেছেন। তুহিন মো: মাসুদ জানান, উত্তর বাড্ডার জিএম বাড়ির স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান অনিক। ঢাকার মানারাত স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র অনিক পেশায় একজন ডিজে। এ পেশায় জড়ানোর পর তিনি মাদক এবং নারীর সান্নিধ্যে আসেন। মাদকাসক্ত হওয়ার পর তিনি নিজেই মাদক ব্যবসা শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে তিনি বাড্ডা এলাকায় মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন। মোটা অংকের অবৈধ টাকার মালিকও বনে যান অনিক।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাদক সা¤্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য তিনি অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার শুরু করেন। অবৈধ অস্ত্র কেনার সূত্র ধরে বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তিনি মাদক ব্যবসার পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবসায়েও জডিয়ে পড়েন। ঢাকাসহ আশপাশ এলাকায় অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে থাকেন। খাবার পানির ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত অনিক। তার অন্যতম সহযোগী পলাতক আসামি বাদশা পেশায় নামমাত্র ইলেকট্রিশিয়ান। তিনি মূলত অনিকের অবৈধ অস্ত্রের চালান সংগ্রহ এবং ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজ করতেন।
র্যাব অধিনায়ক জানান, পলাতক আসামি বাদশা অবৈধ অস্ত্রের চালানগুলো সংগ্রহ করে অনিকের সহযোগী আরিফুল ইসলাম আরিফ ওরফে পানি আরিফের বাসায় লুকিয়ে রাখতেন। পানি আরিফ অনিকের খাবারের পানির ব্যবসার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
র্যাব জানায়, ধূর্ত অনিকের ১৫-২০ জন সহযোগী রয়েছে। যাদের মধ্যে মেহেদী, শাওন, রনি, মতিন ও বাবু উল্লেখযোগ্য। অনিক এরই মধ্যে ৪৫-৫০টি অবৈধ বিদেশী পিস্তল ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রয় করেছেন।
অনিকের সহযোগী রুবেল পেশায় একজন গাড়িচালক। তিনি গত ২-৩ বছর ধরে অস্ত্র ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। রুবেল রাজশাহীর প্রত্যন্ত এলাকায় অস্ত্র সংগ্রহ করত। এ কাজে তাকে সহায়তা করতেন সোহেল মোল্লা ও বাহেস শেখ।
তারা তাদের মহাজনের খালি পিকআপ ভ্যান নিয়ে রাজশাহীতে যেতেন। সেখান থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতেন। গাড়ির বিভিন্ন জায়গায় নিত্যনতুন কৌশলে লুকিয়ে অস্ত্রগুলো তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তুহিন মো: মাসুদ বলেন, রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থাকার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স হিসেবে পরিচয় দিতেন অনিক।
সীমান্ত থেকে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় অস্ত্র কিনে অনিক রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিটি অস্ত্র ৭৫ হাজার টাকা থেকে এক লাখ টাকায়ও বিক্রি করেন।
এদিকে রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ফারহানা আক্তার পপি (২২) শেখেরটেক এলাকায় ইয়াবা ও হেরোইন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দুপুরে এ তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মাসুদুর রহমান।
তিনি বলেন, রোববার রাত সোয়া ৯টায় আদাবর থানা এলাকার শেখেরটেকের একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ৪০০ পিস ইয়াবা ও ১৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে আদাবর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও আদাবর থানার উপ-পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী স্বীকার করেছে, সে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। আর মাদক বেচাকেনার সময় নিরাপত্তার জন্য সে পিস্তল সঙ্গে রাখত।
এদিকে রাজধানীর মিরপুর থেকে গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী থানার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ তিন ছিনতাইকারীকে আটক করেছে পল্লবী থানা পুলিশ। গতকাল ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটকের বিষয়টি জানান পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির। আটক তিনজন ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাই করে আসছিল বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।