পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
![img_img-1720436066](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678437663_IMG-20230310-WA0005.jpg)
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শরীয়তপুরের ইদ্রিস আলী সরদারের মৃত্যুদন্ডের রায় ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন। অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো: সোহরাওয়ার্দী। সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করা হয়। মোট ৪৮৬ পৃষ্ঠার রায়ে ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের ৪টি অভিযোগই প্রমাণিত হয়। দুইটি অভিযোগে তাকে মৃত্যুদ- এবং অপর একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদন্ড এবং অপর অভিযোগে ৭ বছরের কারাদন্ডের রায় ঘোষণা করা হয়। অবশ্য মামলা দায়েরের পর থেকেই ইদ্রিস আলী পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর পলাতক ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতারে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশ মহাপরিদর্শককে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম। অপরদিকে আসামির আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম বলেন, এই রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ চার অভিযোগে ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা। গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ট্রাইব্যুনাল তা আমলে নিয়ে চলতি বছর মে মাসে অভিযোগ গঠন করেন।
চারটি অভিযোগ হলো : ১৯৭১ সালের ২২ মে শরীয়তপুর জেলার পালং থানা এলাকায় কয়েকটি গ্রামে হামলা চালিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কৃষক আব্দুস সামাদসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় ২০০ মানুষকে গুলি করে হত্যা ও বাড়ির মালামাল লুট করেন। ২৬ মে পালং থানার মালোপাড়া ও রুদ্রকর গ্রামে হামলা চালিয়ে মঠের পুরোহিতকে গুলি করে হত্যা ও গ্রামগুলো থেকে মালামাল লুট ও আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন আসামিরা। ২৬ জুন একই থানার শৈলেন্দ্র কৃষ্ণ পালের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুইজনকে হত্যা করে ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের নির্যাতন করে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেন আসামিরা। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিরা দখলদার বাহিনীর সহায়তায় এলাকায় হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।