পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : শেরেবাংলা নগরে চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর সরকারের ‘ষড়যন্ত্র’ যেকোনো মূল্যে প্রতিরোধ করার আগাম ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গতকাল সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই হুঁশিয়ারি দেন।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, লুই আই কানের নকশা বাস্তবায়ন কোনোভাবে সম্ভব নয়। তবু এই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকার কেবলমাত্র মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের মাজারটি সরানোর চক্রান্তের নীলনকশা করছে। আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, জনগণ সরকারের এই নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে দেবে না। জাতীয়তাবাদী শক্তি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার সরানোর ষড়যন্ত্র সব শক্তি দিয়ে রুখে দেবে। মাজার নিয়ে ষড়যন্ত্রে সরকার নিজেদের পতনের দলিলে স্বেচ্ছায় স্বাক্ষর করবে।
মাজার সরানোর উদ্যোগ নিলে কর্মসূচি কী হতে পারে জানতে চাইলে রিজভী বলেন, এখন যে ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছি সেটাই আমরা বলছি। ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করলে তখন আমাদের দলের নীতিনির্ধারকরা কর্মসূচি কী হবে, তা ঠিক করবেন।
মার্কিন স্থপতি লুই আই কানের নকশা ভেঙে সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের মাজারসহ বেশ কয়েকটি স্থাপনা বিভিন্ন সময়ে নির্মিত হয়। মূল নকশা পাওয়ার পর সেগুলো সরানো হবে বলে জানিয়েছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সম্প্রতি ওই নকশার অনুলিপি যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে আনা হয়েছে।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সরকার প্রায় ৪ লাখ মার্কিন ডলার তিন কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা সংগ্রহ করেছে। এটাই যে, লুই আই কানের তৈরি মূল নকশা তাও আমরা জানি না, জনগণও জানে না। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের করা এই নকশা নিয়ে সরকার কেন টানাটানি করছে দেশবাসীর তা অজানা নয়।
রিজভী বলেন, এই মূল নকশার বাইরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নির্মাণ করেছে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, বিশ্ববিদ্যালয় ও সংসদ ভবনের বাসভবন অর্থাৎ ন্যাম ভবন, সংসদ ভবনের চার দিকে লোহার সীমানা প্রাচীর, মানিক মিয়া এভিনিউতে রুট আইল্যান্ড, র্যাবের কার্যালয়, স্কুলসহ আরো অনেক মূল্যবান স্থাপনা। এছাড়াও মেট্রোরেল প্রকল্পও লুই আই কানের নকশার ভেতর দিয়ে স্থাপন করা হবে বলে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এটা দেশবাসীর অজানা নয় যে, মূল নকশার বহির্ভূত স্থাপনা অপসারণের নামে সরকারের মূল লক্ষ্যই হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার কমপ্লেক্স এখান থেকে উচ্ছেদ করা।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, পাকিস্তানের নাম শুনলেই সরকারের গা রি-রি করে ওঠে। অথচ সেই পাকিস্তানের জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি জাতীয় সংসদ ও এর সংলগ্ন পরিসর। সুতরাং তারা (সরকার) এ বিষয়টি এড়িয়ে যায়। আসলে প্রধানমন্ত্রীর টার্গেটই হচ্ছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার। লুই আই কানের নকশা নিয়ে সরকারের দৌড়-ঝাঁপ প্রধানমন্ত্রীর হিংসাশ্রয়ী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি দেশকে অশুভ পরিণতির দিকে ঠেলে দিতে চান। মেরুকরণের বিপজ্জনক খেলায় গোটা জাতিকে তিনি ধ্বংসের কিনারায় পৌঁছে দিয়েছেন।
এই প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, জাতীয় সংসদ ভবনের বাইরে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনও রয়েছে। রয়েছে চীন-মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র। এগুলো তো তাদের আমলেই করা। তারা কখনো এসব নিয়ে কথা বলেনি। এখন বারবার তারা (সরকার) ইঙ্গিত করে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়ার মাজার। এটা বুঝতে হবে তাদের চক্রান্তটা কী?
সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শামা ওবায়েদ, কেন্দ্রীয় নেতা গৌতম চক্রবর্তী, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, মুনির হোসেন, রুমিন ফারহানা, হারুনুর রশীদ, সাহাবুদ্দিন মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।