Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শোকে মূহ্যমান ব্রিটেন

রানি এলিজাবেথের ১০ দিনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া প্রক্রিয়া শুরু সমাধিস্থ করা হবে ১৮ সেপ্টেম্বর : রানীর ৩৭ কোটি পাউন্ডের সম্পদ নিয়ে রহস্য

মুহাম্মদ সানাউল্লাহ | প্রকাশের সময় : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

দীর্ঘ ৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথম ব্রিটিশরা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে ছাড়াই তাদের দ্বিতীয় রাত কাটিয়েছে। রানীর প্রতি তাদের ভালোবাসার শেষটুকু উগরে দিতে বাকিংহাম প্রাসাদে ভিড় করছেন। শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে ভরে উঠছে প্রাসাদের সম্মুখভাগ। ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ৯৬ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এর আগে মধ্য লন্ডনে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে শ্রদ্ধা জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে জড়ো হতে থাকেন সাধারণ মানুষ। শোকের মধ্যেই সড়কে দাঁড়িয়ে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে দেখা দেখা যায় তাদের। রানীর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শীর্ষ নেতারা এবং ক’ওয়েলথভুক্ত দেশের নেতৃবৃন্দ। বাংলাদেশ ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে। শোকবার্তা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া শোকবার্তা পাঠিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনসহ বিশ্বনেতারা।
এদিকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর রাজা হয়েছেন তার পুত্র তৃতীয় চার্লস। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘোষণা দেয়া হবে আজ শনিবার। রীতি অনুযায়ী রানীর মৃত্যুর সাথে সাথেই সিংহাসনে আসীন হয়েছেন তার পুত্র ও উত্তরাধিকারী চার্লস - যিনি এতদিন ছিলেন প্রিন্স অব ওয়েলস। মনে করা হচ্ছে, লন্ডনের সেন্ট জেমসেস প্রাসাদে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি সরকারিভাবে রাজা বলে ঘোষিত হবেন। অ্যাকসেশন কাউন্সিল নামে একটি আনুষ্ঠানিক পরিষদের সামনে এ অনুষ্ঠান হবে। ৭৩ বছর বয়স্ক রাজা তৃতীয় চার্লস নাম গ্রহণ করেছেন এবং তিনি এখন ১৪টি কমনওয়েলথ রাষ্ট্রেরও প্রধান।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, প্রিয় মায়ের মৃত্যু ছিল তার জন্য এক ‘বড় দুঃখের মুহূর্ত’। রাজা বলেন, ‘একজন প্রিয় রানী এবং প্রিয়তম মায়ের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমি জানি সারা দেশ, রাজ্য ও কমনওয়েলথ এবং সারা বিশ্বের অগণিত মানুষ তার মৃত্যুকে গভীরভাবে অনুভব করবেন’।
রাজপরিবার এখন শোক পালন করছে এবং রাজা তৃতীয় চার্লস এখন স্কটল্যান্ডে ব্যালমোরাল প্রাসাদ ত্যাগ করে লন্ডন ফিরে এসেছেন। বাকিংহাম প্রাসাদের সামনে তিনি সেখানে সমবেত জনতার সাথে হাত মেলান। অন্যদিকে রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এক বিশেষ অধিবেশন গতকাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাজা চার্লস এবং রাজপত্নী বাকিংহাম প্রাসাদে উঠবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে তারা লন্ডনের ক্ল্যারেন্স হাউজ এবং গ্লস্টারশায়ারের হাইগ্রোভে থাকতেন। রানীর জন্য শোক পালন শেষে নতুন রাজার আনুষ্ঠানিক অভিষেক অনুষ্ঠান হবে। এতে অ্যাংলিকান খ্রিস্টধর্মের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের পর চার্চ অব ইংল্যান্ডের আধ্যত্মিক প্রধান আর্চবিশপ অব ক্যান্টারবারি নতুন রাজার মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দেবেন। সোনার তৈরি এই মুকুট ১৬৬১ সালে তৈরি এবং শুধু অভিষেকের সময়ই রাজা এ মুকুট পরেন। তার পুত্র যুবরাজ উইলিয়াম এবং তার স্ত্রী ক্যাথরিন, যারা এখন ডিউক ও ডাচেস অব কর্নওয়াল অ্যান্ড ক্যাম্ব্রিজ, তারা সম্প্রতি লন্ডনের কেনসিংটন প্রাসাদ ছেড়ে রানীর উইন্ডসর প্রাসাদের অ্যাডিলেইড কটেজে থাকছেন।
ব্রিটিশ ইতিহাসের দীর্ঘতম রাজত্বের পর বৃহস্পতিবার ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। সাত দশকের সময়কালে তিনি ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের শেষ শাসনের তত্ত্বাবধান করেন, বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যে পড়েন এবং গার্হস্থ্য কেলেঙ্কারি, পনের জন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তিনি রাজতন্ত্রকে উল্লেখযোগ্যভাবে আধুনিক করেছিলেন।
শুক্রবার পার্লামেন্টে রানীকে শ্রদ্ধা জানানোর সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস বলেন যে, রানী এলিজাবেথ ‘বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নেতাদের একজন’। ট্রাস দেশটিকে নতুন রাজার চারপাশে সমাবেশ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, তিনি আমাদের ‘আনুগত্য এবং উৎসর্গের’ প্রাপ্য কারণ তিনি ব্রিটেনকে ‘নতুন ক্যারোলান যুগে’ নিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্বজুড়ে বিশ্ব নেতারা এলিজাবেথের জীবনকে সম্মান জানিয়ে বিবৃতি জারি করেছেন, তার ৭০ বছরের শাসনামলে তিনি যে বিশ্বব্যাপী প্রভাব তৈরি করেছিলেন তা তুলে ধরেছেন। এলিজাবেথ শুধুমাত্র যুক্তরাজ্যের নয়, অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডাসহ অন্যান্য ১৪টি কমনওয়েলথ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন এবং ৫৪-সদস্যের কমনওয়েলথের প্রধান ছিলেন যার বেশিরভাগই ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রাক্তন ঔপনিবেশিক অঞ্চল।
দিনটি শুক্রবার শুরু হওয়ার সাথে সাথে যুক্তরাজ্য শোকের প্রথম পূর্ণ দিবসে প্রবেশ করে, রানীর সম্মানে গির্জার ঘণ্টা বেজে ওঠে সারাদেশে, তার স্মরণে রয়্যাল গার্ডেনে বন্দুকের স্যালুট দেওয়া হয় এবং লন্ডনের বাকিংহাম প্যালেসের বাইরে লোকজন জড়ো হয়।
সেলফ্রিজ সুপারমার্কেট চেইনসহ কিছু স্টোর সম্মানের চিহ্ন হিসাবে বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং প্রিমিয়ার লিগের সপ্তাহান্তের ম্যাচগুলো স্থগিত করা হয়েছে। রাজা তৃতীয় চার্লস ট্রাসের সাথে দেখা করার পর শুক্রবার বিকেলে জাতির উদ্দেশে একটি টেলিভিশন ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং লন্ডনের সেন্ট পলস ক্যাথেড্রাল স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় রানীর মৃত্যুর স্মরণে সন্ধ্যায় একটি গণভোজ করবে, যা চ্যাপেলের সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
রানী হিসাবে এলিজাবেথের স্বয়ংক্রিয়ভাবে সরকারি অর্থায়নে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া দেওয়া হবে, যা আগামী দিনে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে।
স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেল থেকে তাকে লন্ডনে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে, যেখানে তার শেষকৃত্যের আগে বেশ কয়েক দিন সে রাজ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। আরেকটি অফিসিয়াল ইভেন্ট হল লন্ডনের ৫০০ বছরের পুরোনো সেন্ট জেমস প্রাসাদে একটি প্রাচীন অনুষ্ঠানে অ্যাক্সিশন কাউন্সিলের একটি সভা, যা আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। এ বৈঠকের অংশে রাজার মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এবং নতুন শাসক হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লসের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে যখন জানানো হয়, রানী চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছে, তখনই তার স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। এ কারণে মৃত্যুর খবর ঘোষণার আগেই সাধারণ মানুষ রানীর সুস্থতা কামনায় বাকিংহাম প্যালেসের ফটকে ফুল দিতে আসেন। রানীর মৃত্যুর ঘোষণা দেয়ার পর প্যালেসের পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এ সময় প্যালেসর বাইরের চত্বরে শত শত মানুষকে শোক প্রকাশ করতে দেখা যায়। দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা রানীকে শ্রদ্ধা জানাতে ছুটে আসেন অনেকেই। তাদের একজন শিলা বিল্লাইগু (৭৭)। তার চোখমুখজুড়ে শোকের ছায়া। তিনি বলেন, সবাই এখানে আছে বলে আমার খুব খারাপ লাগছে। পতাকা না দেখা পর্যন্ত আমি জানতামই না যে, রানী মারা গেছেন। রানীর সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এক কথায় বলেন ‘বিশ্বস্ত’। শিলা আরো বলেন, তিনি অসাধারণ একজন রানী ছিলেন। আমরা সবাই তাকে খুব মিস করব। শিলার মতো মাইকেল হ্যামন্ড নামের এক তরুণ অর্ধনমিত পতাকা দেখে রানীর মৃত্যুর খবর জানতে পারেন। তিনি বলেন, আমি একেবারে হতাশ। আমি ভেবেছিলাম তিনি ব্রিটিশ চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়েছেন। এদিকে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতি শ্রদ্ধার জানাতে বাকিংহাম প্যালেসের দিকে যাওয়ার প্রধান রাস্তায় সারি সারি কালো ক্যাব পার্কিং করে রেখেছেন লন্ডনের প্রায় ৫০ জন ক্যাবচালক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানীর মৃত্যুর খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গে অনেক চালকই গাড়ি পার্ক করা শুরু করেন। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। হাঁটাচলা ও দাঁড়িয়ে থাকতে তার সমস্যা হচ্ছিল। স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসলে অবস্থানকালে বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান বলে ঘোষণা দেয় বাকিংহাম প্যালেস।
রানীর মৃত্যুর পর থেকেই কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে। ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর থেকে রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পর্যন্ত ঘটনাগুলো কীভাবে সম্পন্ন হবে তা আগে থেকেই ঠিক করা রয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকিংহাম প্যালেস থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে একটি ‘কল কাসকেড’ করা হয়। রানীর ব্যক্তিগত সচিব প্রধানমন্ত্রীকে ব্যক্তিগতভাবে শোক সংবাদটি জানান। এরপর সংবাদটি ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এবং প্রাইভি কাউন্সিলের অফিসে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রাইভি কাউন্সিল মূলত রানীর পক্ষে সরকারি কাজের সমন্বয় করে। এদিন ‘সরকারি বিজ্ঞপ্তি’ দিয়ে জনসাধারণকে রানীর মৃত্যুর সংবাদ জানানো হয়। এরইমধ্যে ব্রিটিশ রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর দেশটির নতুন রাজা হয়েছেন রানীর ছেলে ও সাবেক প্রিন্স অব ওয়েলস চার্লস।
গতকাল শুক্রবার (ডি-ডে+১) সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তা এবং প্রাইভি কাউন্সেলরদের নিয়ে গঠিত অভিষেক পরিষদ সকাল ১০টায় সেন্ট জেমস প্রাসাদে মিলিত হন। এখানে নতুন রাজার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়। এ ঘোষণা সেন্ট জেমস প্যালেসের বারান্দা থেকে জনসমক্ষে পাঠ করা হয়। লন্ডন শহরের রয়্যাল এক্সচেঞ্জে আরো একটি ঘোষণা পাঠ করা হয়। বিকেলে নতুন রাজা প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রিপরিষদ, বিরোধী দলের নেতা, ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ এবং ওয়েস্টমিনস্টারের ডিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আজ শনিবার (ডি-ডে+২) রানী এলিজাবেথের লাশ বাকিংহাম প্যালেসে নিয়ে আসা হবে। এডিনবার্গ, কার্ডিফ এবং বেলফাস্টে স্বনিয়ন্ত্রিত অঞ্চলগুলোতে মধ্যাহ্নে একযোগে নতুন রাজার নাম ঘোষণা করা হবে। সংসদে শ্রদ্ধাঞ্জলি অব্যাহত থাকবে।
আগামীকাল রোববার (ডি-ডে+৩) সকালে রাজা চার্লস ওয়েস্টমিনস্টার হলে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন। বিকেলে তিনি যুক্তরাজ্য সফরে যাত্রা শুরু করবেন। এ সময় স্কটল্যান্ডে স্কটিশ পার্লামেন্ট পরিদর্শন করবেন এবং এডিনবার্গের সেন্ট জাইলস ক্যাথেড্রালে একটি প্রার্থনায় অংশ নেবেন।
আগামী সোমবার (ডি-ডে+৪) রাজা চার্লস উত্তর আয়ারল্যান্ডে যাবেন এবং হিলসবোরো দুর্গ ভ্রমণ করবেন। রাজা চার্লসের উপস্থিতিতে হিলসবরো ক্যাসেলে আরেকটি শোকপ্রস্তাব উত্থাপিত হবে এবং পরে তিনি বেলফাস্টের সেন্ট অ্যান’স ক্যাথেড্রালে একটি প্রার্থনায় অংশ নেবেন। এদিন বাকিংহাম প্যালেস থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হল পর্যন্ত রানীর কফিনবাহী একটি শোকযাত্রা হবে।
মঙ্গলবার (ডি-ডে+৫) রানীর কফিনটি বাকিংহাম প্যালেস থেকে লন্ডন হয়ে একটি আনুষ্ঠানিক পথ ধরে ওয়েস্টমিনস্টারের প্রাসাদে শোকযাত্রার মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হবে। কফিনের আগমনের পরে ওয়েস্টমিনস্টার হলে একটি প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার থেকে শনিবার (ডি-ডে+৬ থেকে ডি-ডে+৯) রানীর কফিন বাকিংহাম প্যালেস থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নেওয়ার পর সেখানে পাঁচ দিন রাখা হবে। রানীর কফিনের আগমন উপলক্ষে একটি সংক্ষিপ্ত আনুষ্ঠানিকতা রয়েছে।
রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধার সময় সাধারণ জনগণও রানীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন। কফিনটি ওয়েস্টমিনস্টার হলের মাঝখানে একটি সুসজ্জিত শবমঞ্চে রাখা হবে। দৈনিক ২৩ ঘণ্টা জনসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এ সময়ের মধ্যে রাজা চার্লস কার্ডিফের লাল্যান্ডফ ক্যাথেড্রালে একটি প্রার্থনায় যোগ দিতে ওয়েলসে যাবেন। এরপর ওয়েলস সেনেডে (পার্লামেন্ট) যাবেন এবং সদস্যদের সমবেদনা গ্রহণ করবেন। প্রথমে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিস্টার।
গতকাল শুক্রবার থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা লন্ডনে আসতে শুরু করেছেন। আজ শনিবার রাজা চার্লস বিভিন্ন দেশ থেকে আসা গভর্নর জেনারেল এবং প্রধানমন্ত্রীদের অভ্যর্থনা জানাবেন। এদিন ওয়েস্টমিনস্টার হলে শবদেহ রাখার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আগের রাতে যুক্তরাজ্যের গির্জাগুলোতে প্রার্থনা চলবে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পরিবহণ বিভাগ সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় থাকবে।
রোববার (ডি-ডে+১০) যুক্তরাজ্যের সাধারণ মানুষ রানীকে শ্রদ্ধা জানাবেন। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে রাষ্ট্রীয় শবযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। ওয়েস্টমিনস্টার হল থেকে শবযাত্রা অ্যাবেতে নেওয়া হবে। সারা দেশে দুই মিনিট নীরবতা পালন করা হবে। এক ঘণ্টার একটি আনুষ্ঠানিকতার পর বড় পরিসরে আনুষ্ঠানিক শবযাত্রা হাইড পার্কে যাবে। সেখানে কফিনটি সাঁজোয়া গাড়ি থেকে রাষ্ট্রীয় শবযানে স্থানান্তরিত হবে এবং কফিনটি উইন্ডসরে নেওয়া হবে। উইন্ডসরে শবযাত্রার পর উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে শেষ বিদায় জানানোর পর রাজকীয় ভল্টে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথকে সমাধিস্ত করা হবে।
রানীর ৩৭ কোটি পাউন্ডের সম্পদ নিয়ে রহস্য : ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ ছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী নারী, কিন্তু তার ৩৭ কোটি পাউন্ডের সম্পদ নিয়ে রহস্য রয়ে গেছে। রানি প্রায়শই রাজকীয় ধনী তালিকায় শীর্ষে থাকতেন, কিন্তু ২০১৫ সালে তিনি প্রথমবারের মতো যুক্তরাজ্যের সানডে টাইমসের শীর্ষ ৩০০ ধনীর তালিকা থেকে বাদ পড়েন। তবে, অনুমানগুলো রানীর ব্যক্তিগত সম্পদ এবং তার উত্তরসূরি এবং জাতির জন্য সার্বভৌম হিসাবে আস্থার মধ্যে থাকা সম্পদের মধ্যে পার্থক্য বিবেচনা করেনি।
রয়্যাল কালেকশন, শিল্প ও প্রত্নবস্তুর একটি অতুলনীয় সংগ্রহ, বাকিংহাম প্যালেস, কিছু অন্যান্য রাজকীয় বাসস্থান এবং ক্রাউন জুয়েলস রানির ব্যক্তিগত সম্পদে ছিল না। সেগুলো ব্রিটেনের ঐতিহ্যের অংশ, জাতির পক্ষে তার নামে রাখা হয়েছিল। সেন্ট জেমস প্রাসাদ, কেনসিংটন প্রাসাদ, উইন্ডসর ক্যাসেল এবং হলিরুডহাউসের প্রাসাদ, এডিনবার্গ, সেইসাথে বাকিংহাম প্রাসাদকে ‘অবিচ্যুত’ সম্পদ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং বিক্রি করা যায় না। কিন্তু রানীর ব্যক্তিগত শিল্প, স্ট্যাম্প সংগ্রহ, ঘোড়দৌড়ের ঘোড়া, একটি শেয়ার পোর্টফোলিও, স্যান্ড্রিংহাম এবং বালমোরাল ছিল। স্যান্ড্রিংহাম, নরফোকের রানির ব্যক্তিগত সম্পত্তি, এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে রাজপরিবারে রয়েছে এবং সপ্তম এডওয়ার্ড থেকে চার প্রজন্মের সার্বভৌমদের আবাসস্থল।
একইভাবে অ্যাবারডিনশায়ারের স্কটিশ পার্বত্য অঞ্চলে বালমোরাল ছিল রাণীর ব্যক্তিগত সম্পত্তি, রানী ভিক্টোরিয়া, যিনি ১৮৫২ সালে সম্পূর্ণ মালিকানা গ্রহণ করার পর থেকে রাজাদের কাছে চলে যায়।
রানীর পিতামহ পঞ্চম জর্জের প্রতিষ্ঠিত রয়্যাল ফিলাটেলিক কালেকশন এবং সেন্ট জেমস প্রাসাদে রক্ষিত, গ্রেট ব্রিটেন এবং কমনওয়েলথ স্ট্যাম্পে বিশেষীকরণ, এটি তার ধরনের সেরা এবং এটি জাতির পরিবর্তে রানীর ব্যক্তিগতভাবে মালিকানাধীন ছিল।
যদিও ঘোড়দৌড়ের ঘোড়াগুলো একটি কম নির্ভরযোগ্য সম্পদ, স্টাড ফি এবং জয়গুলো ব্যক্তিগত রাজকীয় তহবিল বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছিল। ২০১৭ পর্যন্ত ৩০ বছরে রানী ঘোড়দৌড় থেকে প্রায় ৬৭ লাখ পাউন্ডের পুরস্কার জিতেছেন।
রানির ব্যক্তিগত শিল্প সংগ্রহে সমসাময়িক ব্রিটিশ শিল্পী এবং চিত্রশিল্পী যেমন এডওয়ার্ড সিগো এবং সালভাদর ডালির আঁকা ছবি রয়েছে। রানীর ব্যক্তিগত বিনিয়োগ পোর্টফোলিও থেকে আয় তার ব্যক্তিগত ব্যয় মেটাতে ব্যবহৃত হত। পোর্টফোলিওর মূল্য অপ্রকাশিত ছিল, কিন্তু রাজপরিবারের প্রধান লর্ড চেম্বারলেইন ১৯৯৩ সালে বলেছিলেন যে, ১০ কোটি পাউন্ড এবং তার ওপরে অনুমান ‘মোটামুটিভাবে অতিরঞ্জিত’ ছিল। ল্যাঙ্কাস্টার এস্টেটের ঐতিহাসিক ডাচি রানিকে বার্ষিক আয়ের ব্যবস্থা করেছিল। তবে, কঠোরভাবে বলতে গেলে, ডাচি রানির মালিকানাধীন ছিল না। সার্বভৌম হিসাবে তার জনসাধারণের ভূমিকায় এটি কেবল তারই ছিল।
রয়্যাল কালেকশনের মতো ইয়র্কশায়ারে ১৭ হাজার ৫৯৪ একর এবং ল্যাঙ্কাশায়ারের ১১ হাজার ৭১০সহ ৪৮ হাজার একর ডাচি জমি এবং স্টক মার্কেটের বিনিয়োগগুলোকে তরল করা যায় না এবং রাজা থেকে রাজার কাছে চলে যায়, যাদের রাজধানীতে কোনো অ্যাক্সেস নেই।
ল্যাঙ্কাস্টারের ডাচি আয়ের একটি স্বাধীন উৎস প্রদান করেছিল, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রিভি পার্স নামে পরিচিত, যা সরকারি ও ব্যক্তিগত উভয় খরচের জন্য এবং রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের খরচ মেটাতে ব্যবহৃত হত। ২০২১/২০২২ সালে এটি ২৩.৯৬ মিলিয়ন পাউন্ডে উঠেছিল। সরকারি খরচের জন্য অভ্যন্তরীণ রাজস্বে অনুমোদিত কর্তনের পর এ আয়। ১৯৯৩ সালের এপ্রিলের কর আরোপ করা হয়েছিল। রানি ১৯৯২ সালে ঘোষণা করেছিলেন যে, তিনি কর প্রদান করবেন এবং সিভিল তালিকার আকার হ্রাস করবেন।
যেভাবে অভিষিক্ত হন রানি এলিজাবেথ : রানী এলিজাবেথের অভিষেক অনুষ্ঠান হয়েছিল ১৯৫৩ সালে ২৬ বছর বয়সে। তিনি আবদার করেছিলেন, তার অভিষেক অনুষ্ঠানটি যেন সরাসরি টেলিভিশনে দেখানো হয়। রাজপরিবারের এ অনুষ্ঠানটির কিছু কিছু ঐতিহ্য বহু শতকের, ৯০০ বছর আগে থেকে চলছে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানটি যত মানুষ দেখার সুযোগ পেয়েছে, তেমনটি এর আগে কখনো ঘটেনি।
বাকিংহাম প্রাসাদের সামনে থেকে সেদিনের উৎসবমুখর লন্ডনের পরিবেশ বর্ণনা করছিলেন টেলিভিশন ধারাভাষ্যকার। শুধু প্রাসাদের সামনে নয়, যে পথ ধরে রানী যাবেন, তার দুপাশেই ছিল উৎসাহী মানুষের ভিড়। সেই পথের নানা জায়গায় মোতায়েন ছিলেন আরো কয়েকজন ধারাভাষ্যকার। সাত ঘণ্টা ধরে সেদিনের অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হয়েছিল টেলিভিশনে।
রানীর শোভাযাত্রা দেখতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দুপাশে লাইনে দাঁড়িয়ে। অনেকে রাতে বৃষ্টির মধ্যে সেখানেই ঘুমিয়েছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে মাত্র আট বছর আগে, যুদ্ধের পর ধুসর লন্ডন নগরী সেই প্রথম যেন কোনো উৎসবের জন্য নানা রঙে সেজে ওঠে। সোনায় মোড়ানো যে শকটে করে রানী যাবেন, সেটির অপেক্ষায় উদগ্রীব হয়ে আছে মানুষ। অ্যাডমিরালটি আর্চের নীচ দিয়ে যখন রানীর শকট এগিয়ে আসলো, হর্ষ-ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানালো মানুষ।
অবশেষে রানী গাড়ি থেকে নামলেন ওয়েস্ট মিনিস্টার অ্যাবিতে ঢোকার জন্য। আড়াইশো জনের বিশাল এক শোভাযাত্রা শুরু হলো ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবির দিকে। রানীর পাশে ডিউক অব এডিনবারা। ভেতরে তখন সারা বিশ্ব থেকে আসা ৮ হাজার অতিথি। রানী যখন শপথ নিচ্ছিলেন, তা দেখছিলেন লেডি অ্যান এবং লেডি জেন। তারপর আসলো অভিষেক অনুষ্ঠানের সেই মুহূর্তটি, যেটি টেলিভিশন ক্যামেরায় দেখানো নিষেধ। রানীকে এখন পবিত্র তেল মাখিয়ে অভিষিক্ত করা হবে। রানীর পরনের যে পোশাক সেটি এরপর খুলে ফেলা হয়। খুলে নেয়া হয় সব অলঙ্কার। তাকে পরানো হয় একেবারেই একটি সাদা রঙের সাদামাটা পোশাক। রানী এলিজাবেথ প্রিন্স ফিলিপকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। তারা দুজন দুজনকে পছন্দ করতেন। তাদের দেখা হয়েছিল বিয়ের অনেক আগেই।
প্রিন্স ফিলিপ তখন ১৮ বছরের সুদর্শন চনমনে নেভাল ক্যাডেট। বাবা-মার সাথে ঐ কলেজ সফরে গিয়ে ১৩ বছরের রাজকুমারী এলিজাবেথের নজর কাড়েন তিনি। কৈশোরের সেই আকর্ষণ ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে রূপ নেয়। দুজন দুজনকে চিঠি লিখতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হঠাৎ মাঝেমধ্যে দেখাও হতো দুজনের। প্রিন্স ফিলিপ যখন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর হয়ে যুদ্ধে গিয়েছিলেন, তরুণী রাজকুমারী তার ঘরে প্রিন্স ফিলিপের একটি ছবি রেখেছিলেন।
গ্রিস এবং ডেনমার্কের এ রাজকুমারের ছেলেবেলা ছিল অনেকটা যাযাবরের মতো। তার জন্ম গ্রিসের রাজপরিবারে, কিন্তু নির্বাসিত হওয়ায় ইউরোপের এক দেশ থেকে আরেক দেশে ঘুরতে হয়েছে তাকে। এ কারণে অল্প বয়স থেকে তিনি ছিলেন অনেক স্বাবলম্বী এবং শক্ত মনের। রাজকুমার হলেও রাজপ্রসাদের ছায়া তার ওপর ছিল না।
রাজকুমারী এলিজাবেথ ছিলেন তার বিপরীত। তার জন্ম এবং বড় হওয়া ছিল রাজপ্রাসাদের সুরক্ষিত বেষ্টনীর ভেতর। বাইরের জীবনের বাস্তবতার সাথে তার পরিচয় ছিল খুব সামান্য। চুপচাপ লাজুক স্বভাবের ছিলেন তিনি। যে কোনো বিষয় নিয়ে অনেক ভাবতেন। ফলে ভিন্ন প্রকৃতির হলেও তারা দুজন এক অন্যের পরিপূরক হয়ে উঠেছিলেন।
রাজকুমারীর যখন বিশ বছর, প্রিন্স ফিলিপ বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার এক বছর পর ১৯৪৭ সালে এলিজাবেথের ২১তম জন্মদিনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বাগদানের কথা প্রকাশ করা হয়। প্রিন্স ফিলিপ, তার মা গ্রিসের রাজকুমারী এলিসের মাথার টিয়ারা থেকে নেয়া হীরার টুকরো দিয়ে নিজে বাগদানের আংটির নকশা করে দিয়েছিলেন। বিয়ের আগে তিনি এলিজাবেথের মায়ের কাছে এক চিঠিতে লিখেছিলেন, এলিজাবেথের প্রতি ‘'শতভাগ দ্বিধাহীন প্রেমে নিমজ্জিত তিনি’। সূত্র : মিরর, সিএনএন, বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • Abdullah Ar Raihan ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:০৭ এএম says : 0
    দুনিয়ার ৯৬ বছরের জীবন কাটানোর পরও তো সব সুখ শান্তি নিমিষেই শেষ, এভাবেই সবাইকে চলে যেতে হবে। ঈমান এনে মারা গেলে তবেই জীবন স্বার্থক হত। আল্লাহ সবাইকে পরকালীন মুক্তির জন‍্য আমল করার তাওফীক দিন। আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • Noornobi Mamun ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:০৮ এএম says : 0
    ক্ষুদিরাম, মাষ্টার দা সুর্যসেন, প্রীতিলতা, তিতুমীর, বিনয়, বাদল, দিনেশ, সুশীল দাশ, ভগৎ সিং থেকে শুরু করে মঙ্গল পাণ্ডে, নবাব সিরাজসহ সবার পক্ষ থেকে ব্রিটিশ রানির প্রতি শোক নিবেদন করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Shariful Islam ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:০৯ এএম says : 0
    নিজ দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন, আমাদের দেশ নায়কদের মতো মুখেই শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়নের গল্প শোনাননি।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Parves Hossain ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:০৯ এএম says : 0
    দুনিয়া থাকার জায়গা না, জন্মিলে মরিতে হবে এটাই চিরসত্য, দুনিয়াতে যে যত টুকু করবে আখেরাতে সে ততটুকুই পাবে,, কাফেরদের জন্য দুনিয়া বেহেশতখানা, মুমিনদের জন্য জেলখানা,
    Total Reply(0) Reply
  • Syed Waliul Ahad ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:১০ এএম says : 0
    ভালো মন্দ কিছু বলবো না। শুধু এই টুকুই বলবো - তার রাজত্ব আলিশান জীবনযাপন, ক্ষমতা বিত্তবৈভব সব কিছু এখন তার জন্য অতীত। তার মুল্য এখন ইমান আমল দিয়ে হবে। যদি ইমান আমলের ঘাটতি থাকে বা একদম নাই থাকে তাহলে তার চেয়ে বড় হতভাগা ফকির মিসকিন নিঃস্ব, বিপদগ্রস্ত আর কেহ নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Neel Projapoti ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:১২ এএম says : 0
    রানী এলিজাবেথ কে ছোটবেলা থেকেই আমার খুব পছন্দ ছিলো,,,,, তার প্রধান কারণ হলো রানীর মুখে সবসময় হাসি লেগেই থাকতো,,,,, রানীর আত্মার শান্তি কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Faisal BD ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:১৩ এএম says : 0
    অবশেষে আরেক কিংবদন্তী এ পৃথিবী থেকে চলে গেলেন। নিশ্চয় রাণী তার অজানা ঠিকানায় আপন আলোয় আলোকিত হয়ে থাকবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Rabiul Hasan ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৭:১৩ এএম says : 0
    আমাদের নিকট একজন ডঃ আকবর আলি খান অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তিনি আজ চলে গেলেন না ফেরার দেশে। আবেগের উর্দ্ধে থেকে দেশের সমস্যার জন্য যেসব মতামত, বিশ্লেষন দিতেন তা ছিল অসাধারণ। দেশ একজন মেধাবী দেশপ্রেমিককে হারালো। মহান আল্লাহ পাক এ Veteran মুক্তিযোদ্ধার পরকালের জীবনকে সুন্দর করে দিন আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রানি এলিজাবেথের মৃত্যু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ