নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সময়টা এখন এমন যে, টেনিস তারকা ওনস জাবির যা চাচ্ছেন তাই ঠিকঠাক হচ্ছে। কদিন আগেই ঘাসের কোর্ট উইম্বলডনে প্রথমারের মত গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেললেন। সেখানে পূর্ণ হয়নি শিরোপার স্বাদ। গতকাল বাংলাদেশ সময় ভোরে খেলাটা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের হার্ড কোর্টে। তবে সেই একই শাণিত ও সাহসী জাবির। ফ্রান্সের ক্যারোলিন গার্সিয়াকে এই তিউনিশিয়ান সরাসরি হারালেন ৬-১, ৬-৩ গেমে। আর প্রথম আফ্রিকান নারী হিসেবে উঠলেন ইউএস ওপেনের ফাইনালে। ঠিক এরপরই শুরু হওয়া আরেক ম্যাচে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে ইগা শোয়েনটেককে ঝড়াতে হলো অনেক ঘাম। এই পোলিশ তারকা, আরিনা সাবালেঙ্কাকে ৩-৬, ৬-১, ৬-৪ গেমে হারিয়ে উঠে গেলেন আরেকটি গ্র্যান্ড সø্যামের স্বপ্নের ফাইনালে। যার ফলে বাংলাদেশ সময় আজ দিবাগত রাত ২টায় হওয়া ফাইনালে যেই জিতুক, ইউএস ওপেন পাচ্ছে নতুন রাণী।
নারী এককের শীর্ষ বাছাই হলেন শোয়েনটেক। একই সঙ্গে এই ২১ বছর তারকার আছে দুটি ফ্রেঞ্চ ওপেন জয়ের কৃতিত্ব। সেখানে জাবিরের পকেট ফাঁকা এখনও। তবে তিউনিশিয়ার তারকার দুই চোখ জুড়ে কেবল জয়ের ক্ষুধা। সেমিফাইনালে গার্সিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে কোর্টেই শুয়ে পড়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী এই আরব কন্যা। যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে তিনি কি করলেন। আরও এক বার গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে উঠেছেন। করলেন মজার এক কান্ড। কোর্টে বসে দুই হাত দিয়ে চাপড় মারতে লাগলেন নিজের শরীরে। নিজেকে ফাইনালের জন্য উজ্জীবিত করলেন কি? চেষ্টা। আর এক ব্যর্থ হতে সেমিফাইনাল জিতে জাবির জানালেন, ‘অসাধারণ লাগছে। উইম্বলডনের পর আমার উপর বিরাট চাপ ছিল। এখন আমি নিশ্চিন্ত। হার্ড কোর্টে আমার মৌসুমটা ভাল শুরু হয়নি। কিন্তু এখন ফাইনালে পৌঁছে আমি দারুণ খুশি।’ প্রতিপক্ষ ক্যারোলিনের ব্যাপারে বলেন, ‘সে তো অসাধারণ টেনিস খেলে আসছিল শেষ কিছুদিন ধরে। সত্যি বলতে আমার প্রচুর বেগ পেতে হয়েছে এই ম্যাচে। তবে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম এই কঠিন চ্যালেঞ্জ্যের জন্য।’
জাবিরের প্রতিপক্ষ শোয়েনটেক শেষ চারের যুদ্ধ সহজ ছিল না। এই পোলিশ প্রথম সেটে হেরে যান র্যাংকিয়ের ষষ্ঠ স্থানে থাকা সাবালেঙ্কার কাছে। পরের দুটি সেটে যদিও বিপক্ষকে প্রায় দাঁড়াতেই দিলেন না শোয়েনটেক। সেটে হারেই টয়লেটের বিরতি নেন নম্বর ওয়ান। ফিরে এসে পর পর দুটি সেট জিতে নেন তিনি। ফাইনালে উঠে তাই বলেন, ‘প্রথমত আমার প্রয়োজন ছিল। অবশ্যই বেশ হালকা অনুভব করেছি (হাসি)। বাজে বিষয়টির জন্য দুঃখিত। যখন ছোট ছিলাম, তখন ওই সময় বাথরুমে গিয়ে কাঁদতাম। কিন্তু এবার নিজের সঙ্গে কথা বলি। নিজেকে বোঝাই। তাতেই সমস্যা মিটে যায়।’ এই বছরের উইম্বলডনে তৃতীয় রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিলেন শোয়েনটেক। সেই ম্যাচে অ্যালিজ করনেটের কাছে স্ট্রেট সেটে হারের পর ২১ বছর বইয়সী এই পলিশ বলেছিলেন, ‘একদমই ভাল খেলতে পারিনি। ঠিক কোন কৌশল কাজে আসবে, সেটাই ঠিক করতে পারিনি। করনেট খুবই ভাল খেলোয়াড়।’
নিজের ভুল বুঝতে পেরেছিলেন। সেই শিক্ষা থেকেই ফিরে এলেন ইউএস ওপেনে। এ বার সামনে জাবির। এক নম্বর শোয়েনটেকের বিপক্ষে লড়বেন পাঁচ নম্বরে থাকা আফ্রিকার টেনিস খেলোয়াড়। দুজনের মুখোমুখি ৪ লড়াইয়ে জয়ের পাল্লাটাও সমানে সমা, ২-২। আজকের ফাইনালে তাই সেয়ানে সেয়ানে রোমাঞ্চকর এক লড়াই-ই উপভোগ করতে যাচ্ছে বিশ্ব, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।