পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রবাসীরা হুন্ডিতে টাকা পাঠালে আইনি ঝামেলায় পড়তে পারেন তার স্বজনরা। অনেক প্রবাসী হুন্ডিতে দেশে স্বজনদের টাকা পাঠাচ্ছেন, যা সম্প‚র্ণ অবৈধ। তদন্তের প্রয়োজনে হুন্ডির টাকা গ্রহণকারীদেরও আইনের মুখোমুখি করা হতে পারে।
গতকাল বৃহস্পতিবার মালীবাগের কার্যালয়ে সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া এ কথা বলেন। এর আগে হুন্ডির ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। হুন্ডিতে এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। সিআইডি প্রধান বলেন, যারা বিদেশ থেকে অবৈধপথে দেশে টাকা পাঠাচ্ছেন এবং দেশ থেকে টাকা গ্রহণ করছেন তাদেরকে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি সিআইডি মনিটরিং করছে। আমার ধারণা, কোনো প্রবাসী চাইবেন না অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর জন্য তার স্বজন আইনের মুখোমুখি হোক।
মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্ট অবৈধ কার্যক্রম করছে। আমরা টার্গেট করে তিনটি গ্রæপকে ধরেছি। আমরা ইন্টেলিজেন্স বেইজড অপারেশন পরিচালনা করি। সিআইডি ৫ হাজার মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস এজেন্টদের নজরদারির মধ্যে রেখেছে। দু-একদিনের মধ্যে অবৈধ লেনদেন ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, বিকাশ, রকেট, নগদ ছাড়াও যেসব মোবাইল ফাইনান্সিয়াল সার্ভিস রয়েছে তাদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে মিটিং করিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে মিটিং না করার কারণ ইন্টেলিজেন্স যাতে ফাঁস না হয়। হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো টাকা জঙ্গিবাদের কোনো কার্যক্রমে ব্যবহৃত হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে সিআইডি প্রধান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে, তাদের মাধ্যমে গত চার মাসে ২০ কোটি ৭০ লাখ টাকা পাচার হয়েছে। এছাড়াও এমএফসের মাধ্যমে হুন্ডি করে এমন ৫ হাজারের বেশি এজেন্টের সন্ধান পেয়েছে সিআইডি। প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি, তারা এমএফএস সেবা বিকাশ, নগদ, রকেট ও উপায় ব্যবহার করে হুন্ডির সঙ্গে জড়িত। এই ৫ হাজার এজেন্ট গত চার মাসে ২৫ হাজার কোটি ও গত এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে।
গ্রেফতার ১৬ জনের মধ্যে ৬ জন বিকাশ এজেন্ট, ৩ জন বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার, ৩ জন বিকাশের ডিএসএস, ২ জন হুন্ডি এজেন্ট, একজন হুন্ডি এজেন্টের সহযোগী ও একজন হুন্ডি পরিচালনাকারী।
গ্রেফতাররা হলেন- আক্তার হোসেন , দিদারুল আলম সুমন , খোরশেদ আলম ইমন , রুমন কান্তি দাস জয়, রাশেদ মাঞ্জুর ফিরোজ, মো. হোসাইনুল কবির, নবীন উল্লাহ , মো. জুনাইদুল হক, আদিবুর রহমান, আসিফ নেওয়াজ, ফরহাদ হোসাইন, আবদুল বাছির, মাহাবুবুর রহমান সেলিম, আবদুল আউয়াল সোহাগ, ফজলে রাব্বি।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৬৮০ টাকা, চার সিমে তিন কোটি ৪৬ লাখ ৪৭ হাজার ২২৯ ইলেকট্রনিক মানি, মোবাইল ৩৪টি। এ ঘটনায় মোট ৪টি মামলা দায়ের করেছে সিআইডি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।