পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বে ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন বাংলাদেশের কোরবানির পশুর উন্নতমানের চামড়া সংগ্রহে ভারতের মাড়োয়ারি এজন্টরা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। চামড়ার টাকা পরিশোধে হুন্ডির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার হয়ে আসছে।
জানা যায়, ঈদুল আজাহায় কোরবানি দেয়ার জন্য বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বাজারের সেরা হৃষ্টপুষ্ট রোগমুক্ত গরু, ছাগল, মহিষ মহান আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি দিয়ে থাকে। এসব পশুর চামড়া খুবই উন্নতমানের। তাই বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের উন্নতমানের এই পশু চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য বেশি। তাই ভারতীয়দের দৃষ্টি থাকে এসব চামড়া সংগ্রহের প্রতি। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের অর্থ সঙ্কটের কথা জানতে পেরে এবারও ভারতীয় মাড়োয়ারিরা চামড়া কেনার জন্য তাদের এজেন্টদের বাংলাদেশের পাঠায়।
সূত্র মতে, ইতোমধ্যে অনেক মাড়োয়ারি এজেন্টরা সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। আরো অনেক এজেন্ট বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। কলারোয়া সীমান্তের চান্দুড়িয়া, গোয়ালপাড়া, সুলতানপুর, হিজলদী, বড়ালী, চান্দা, রাজপুর, ভাদিয়ালী ও কেড়াগাছি সীমান্ত পথে ভারতীয় ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা এসে চামড়া কেনার জন্য কলারোয়া, সাতক্ষীরা সদর, শার্শার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে মৌসুমি ফড়িয়া নিয়োগ দিচ্ছে বলে একাধিক সীমান্ত সূত্র জানায়। হুন্ডির মাধ্যমে টাকা এনে চামড়া কেনার জন্য আগাম টাকা দেয়া হচ্ছে।
চামড়া চোরাচালান রোধে ঈদের দিন থেকে পরবর্তী কয়েক দিন সীমান্তে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ হয় বলে এসব চামড়ায় লবণ দিয়ে কয়েকদিন সংরক্ষণ ও গুদামজাত করা হবে। সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কোন সীমান্ত দিয়ে কিভাবে চামড়া পাচার হবে তার পরিকল্পনা চুড়ান্ত করা হচ্ছে বলে সূত্র জানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।