নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ওয়ানডেতে মোটামুটি নিয়মিত হলেও টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খুব একটা খেলা হয় না বাংলাদেশের মেয়েদের। সর্বশেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি তারা খেলেছেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে, তার আগে ছিল দুই বছরের বিরতি। কুড়ি ওভারে অনিয়মিত হলেও বিশ্বকাপে ‘কোয়ালিফাই’ করা আসলেই আর খুব বড় চ্যালেঞ্জ নয় বাংলাদেশের জন্য। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আগে তিন বার খেলেছেন নিগাররা। বাছাইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বমঞ্চে পা রেখেছেন তারা দুইবার, আরেকবার রানার্স আপ হয়ে। এবারও বাংলাদেশ বাছাইয়ের সেরা হতে না পারলে সেটিই হবে বড় অঘটন। প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তি মেলাতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে গতকালই দেশ ছেড়েছে বাংলাদেশ দল। যাওয়ার আগে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সামনে নিজেদের ফেভারিট বলে ঘেষণা দিয়ে গেলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রকে। এই গ্রুপে বাংলাদেশের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আয়ারল্যান্ড। টি-টোয়েন্টিতে অনিয়মিত হলেও দলের সাম্প্রতিক শক্তি আর কন্ডিশন বিচারে আইরিশদের বিপক্ষে নিজেদেরই ফেভারিট মনে করছেন জ্যোতি, ‘এটা আইসিসি টি-টোয়েন্টি কোয়ালিফায়ার, প্রথম উদ্দেশ্যে থাকবে কোয়ালিফাই করা। আয়ারল্যান্ড ভালো দল আমাদের বিপক্ষে। কিন্তু তাদের যদি পরিসংখ্যান দেখেন আমাদের বিপক্ষে জয় খুব কম তাদের। সে জায়গা থেকে আমি বলব আমাদের দল ফেভারিট। আমাদের এই দলটা অনেকদিন ধরে ক্রিকেট খেলছি একসঙ্গে। সেক্ষেত্রে আমরা একে-অপরকে জানি। আমি মনে করি আমাদের দলের যে পটেনশিয়াল আছে, আমরা যদি ধারাবাহিকতা রাখতে পারি, ব্যাটাররা যদি ভালো করতে পারে, টিম হিসেবে পারফর্ম করতে পারি, আমরা ফেভারিট হয়ে থাকবো।’
সত্যিই তাই। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ টি-টোয়েন্টি খেলে ৬টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। আইরিশদের বিপক্ষে সবশেষ ৫ ম্যাচে জয় ৪টি। নিগারের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসের ছাপ তাই থাকারই কথা। আয়ারল্যান্ড ছাড়া বাছাইয়ে বাংলাদেশের পরীক্ষা নেওয়ার মতো দল আছে আর একটিই। মেয়েদের ক্রিকেটের উঠতি শক্তি থাইল্যান্ড। তবে থাই মেয়েদের বিপক্ষেও বাংলাদেশ চার ম্যাচ খেলে জিতেছে চারটিই। স্পিন আক্রমণ ভালো থাকায় টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশের মেয়েদের বোলিং বেশ শক্তিশালী। কিন্তু ব্যাটিংয়ে প্রায়ই দেখা গেছে ঘাটতি। বিশেষ করে বড় শট খেলার দুর্বলতা দেখে গেছে আগে। এবার সেই জায়গাতেও উন্নতি দেখছেন জ্যোতি, ‘সম্প্রতি আমরা এনসিএল ও প্রিমিয়ার লিগ খেলেছি। সেখানে দেখবেন যারা ব্যাটার ছিল, স্কোয়াডে আছে বা স্কোয়াডের বাইরেও অনেক প্লেয়ার ছিল; যারা ব্যাটিংটা অনেক ভালো করেছে। গত এনসিএলে আমরা দেখেছি ৬-৭ এ যারা হার্ড হিটার, বড় শট যারা খেলে, এমন কিন্তু তিন চারজন ক্রিকেটার আমরা পেয়েছি। বিশেষ করে যদি নাম বলি সুবহানা আছে, ঋতু মনি আছে, জাহানারা আপুও শেষ দিকে খুব ভালো হিট করতে পারে, সেই সঙ্গে যদি মারুফাকে (আক্তার) একাদশে পাই। যে কমতিটা ছিল একসময়, দুয়েকটা খেলোয়াড় বড় শট খেলছিল, ওভার বাউন্ডারি হাঁকাচ্ছে, সেরকম অনেক অপশন আছে এখন আমাদের। আমার কাছে মনে হয় না স্ট্রাগল করতে হবে ওই জায়গায়।’
আবুধাবি গিয়ে নিজেদের উদ্যোগে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুশীলন ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। এরপর ঢুকে যাবে আইসিসির প্রোটোকোলে। ১৮ সেপ্টেম্বর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের আসর। ১৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড। ২১ সেপ্টেম্বর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে খেলবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।