Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে দুদকের পরিদর্শনকে ঘিরে বরিশালে কিছু চিকিৎসক ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখছেন না বিভাগীয় কমিশনারের কাছে স্মারক লিপি

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৫:১৭ পিএম

শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে দুদকের পরিদর্শনকে ঘিরে বরিশালে বেসরকারী পর্যায়ে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কিছুটা অস্থিরতা বিরাজ করছে। কোন কোন চিকিৎসক গত দুদিন ধরে তাদের ব্যক্তিগত চেম্বারে রোগী দেখছেন না। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত রোগীরা যথেষ্ঠ দূর্ভোগে পড়ছেন। দুদকের ঐ অভিযানের পরে হাসপাতালের ইনডোর ও বহির্বিভাগে চিকিৎসা ব্যবস্থায় কিছুটা শৃংখলা ফিরে আসলেও সাধারন চিকিৎসকদের মধ্যে ক্ষোভের পাশাপাশি অজানা আতংকও বিরাজ করছে।

গত মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে আকষ্মিকভাবেই বরিশাল দুদকের একজন সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি টিম শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজে গিয়ে শিক্ষক সহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষন করেন। অভিযোগ রয়েছে, ঐ পরিদর্শন টিম একজন পিওন ছাড়া কাউকেই খুজে পায়নি। খবর পেয়ে প্রিন্সিপাল সহ অন্য শিক্ষকমন্ডলী পর্যায়ক্রমে কলেজে আসতে থাকেন এবং সকাল ১০টা মধ্যে সকলেই উপস্থিত হন। এসময় দুদকের টিম কলেজ প্রিন্সিপালের কাছে ইলেকট্রনিক হাজিরা দেখতে চাইলে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তা দিতে অস্বিকার করেন তিনি । এনিয়ে সহকারী পরিচালকের সাথে কলেজ প্রিন্সিপালের কিছুটা কথা কাটাকাটিও হয়। কলেজ প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডাঃ মুনিরুজ্জামান শাহিন তার সাথে দুদুক কর্মকর্তা অসৌজন্যমূলক ব্যাবহারেরও অভিযোগ করেছেন।
দুদকের তরফ থেকে তাদের সদর দপ্তরের নির্দেশেই মেডিকেল কলেজ পরিদর্শন সহ তার সার্বিক চিত্র সেখানে জানান হয়েছে বলে জানান হয়েছে।
অপরদিকে বুধবারেই এঘটনায় বরিশাল বিএমএ নেতৃবৃন্দ বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সাক্ষাত করে স্মাকলিপি প্রদান করেছে। এ ঘটনারই রেশ ধরে বুধবার বিকেল থেকে নগরীর কয়েকটি ডায়গনস্টিক ল্যাবে কিছু চিকিৎসক রোগী দেখা থেকে বিরত রয়েছেন। যা বৃহস্পতিবারও অব্যাহত ছিল। এমনকি কিছু চিকিৎসককে গত দু দিন নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে চেম্বারে যেতেও দেখা গেছে। তবে বিএমএ’র তরফ থেকে এখনই কোন কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হচ্ছে না বলে একাধীক দায়িত্বশীল সূত্রে বলা হয়েছে। ‘অবস্থা বুঝেই ব্যবস্থা’ গ্রহনের কথাও বলেছেন বিএমএ’র দায়িত্বশীল মহল।
কিন্তু কারো চোখ রাঙানির কাছে আত্মসমর্পন করবেন না বলেও জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সরকারী চিকিৎসক। অভিযোগ রয়েছে, একজন দুদক কর্মকর্তা গত মঙ্গলবার রাতে নিউরোলজীর একজন সহকারী অধ্যাপকের চেম্বারে রোগী দেখাতে গিয়ে বিলম্বের কারণেই ক্ষিপ্ত হয়ে মেডিকেল কলেজে ঐ অভিযান পরিচালনা করেছেন।
তবে শের এ বাংলা মেডিকল কলেজের প্রিন্সিপাল এবং বরিশাল বিএমএ’র সম্পদক ডাঃ মুনিরুজ্জামান শাহিন কোন চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়নি বলে জানিয়েছে। বুধবারের মত বৃহস্পতিবারেও বরিশাল মহানগরীর বেশ কয়েকটি ডায়গনষ্টিক ল্যাবে চিকিৎসকদের উপস্থিতি কম ছিল। বিএমএ নেতৃবৃন্দ খুব দ্রুত উদ্ভুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ