মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ম্যাচের মাঝামাঝি সময়ে স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের দিকে যেতে দেখা মেলে কাবলি পরা এক আফগান সমর্থকের। অ্যাম্বুলেন্সের সামনে দাঁড়িয়ে টিসু দিয়ে নাক-মুখের রক্ত মুছছেন বারবার। কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী জানালেন, গ্যালারিতে মারামারি করে তার এই অবস্থা।
গ্যালারির এই উত্তাপ যেন ছড়িয়ে পড়ে মাঠেও। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে পরের বলেই আউট হন আসিফ আলী। সঙ্গে সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন বোলার ফরিদ আহমেদ ও আসিফ। পরে সতীর্থরা এসে দুজনকেই থামান। আর পাকিস্তানের জয় নিশ্চিতের পর চলে আফগানি দর্শকের অরাজকতা।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে আসিফের আউটে আফগানিস্তান সমর্থকরা জয় ধরেই নিয়েছিল। তখন পাকিস্তানের বাকি ছিল ১ উইকেট! ক্রিজে দুই পেসার নাসিম শাহ এবং মোহাম্মদ হাসনাইন। গ্যালারি কাঁপছিল আফগান হুঙ্কারে, কাবুলি গর্জনে। কিন্তু নাসিম শাহ যে মুদ্রার উলটোপিঠ দেখিয়ে দেবেন, সেটি তারা ঘুণাক্ষরে ভাবনেনি, অবচেতন মনে কল্পনাও করতে পারেননি।
ফজল হক ফারুকিকে মারা লং অফে নাসিমের ছয় বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে পড়তেই উল্লাসে ভেসে ওঠে পাকিস্তান শিবির। হতবাক আফগানিরা যেন মেনে উঠতে পারেননি। তাইতো শারজার গ্যালারিতে মেতে ওঠেন চেয়ার ছোড়া-ছুড়িতে। পাকিস্তানি দর্শক দেখলেই যেন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আফগানিরা। কয়েকজনকে চেয়ার দিয়ে বাড়ি দিতেও দেখা যায়। সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও।
বুধবার শারজায় এশিয়া কাপের সুপার ফোরের পাকিস্তান-আফগানিস্তান ম্যাচে উত্তাপ ছড়াবে অনুমিতই ছিল। এক ম্যাচ জিতে পাকিস্তান সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও আফগানিস্তানের জন্য ছিল বাঁচামরার লড়াই। জিতলে টুর্নামেন্টে টিকে থাকবে আর হারলে বাদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।