Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাকিস্তানের বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৩শ’ ছাড়িয়েছে : দুর্গতদের জরুরি ত্রাণ পাঠাল জাতিসংঘ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) সোমবার বন্যাকবলিত পাকিস্তানে জরুরিভিত্তিতে আরো সহায়তা সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে। এদিকে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চল সফর করেন, যেখানে লেক মানচার-এ বাড়তে থাকা পানির স্তর নতুন হুমকি ডেকে এনেছে। পাকিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলের বন্দরনগরী করাচীতে ইউএনএইচসিআর-এর দুটি বিমান অবতরণ করে। দিনের পরবর্তী ভাগে আরো দুটি বিমান অবতরণের কথা রয়েছে। তুর্কমেনিস্তান থেকে সহায়তা সামগ্রী নিয়ে তৃতীয় আরেকটি বিমানও করাচীতে অবতরণ করে। সা¤প্রতিক সপ্তাহগুলোর বন্যা দেশটির বেশিরভাগ এলাকাকে প্রভাবিত করলেও, দক্ষিণাঞ্চলের সিন্ধু প্রদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ওই প্রদেশের রাজধানীই হলো করাচী। পাকিস্তানে এ বছরের ভারী বর্ষণের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং লাখ লাখ মানুষ ঘরছাড়া হয়েছেন। ভয়েস অফ আমেরিকা এ খবর জানায়। অপরদিকে, পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৩শ’ ছাড়িয়েছে। সোমবার দেশটির জাতীয় দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে সা¤প্রতিক বন্যায় দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজার ৩২৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি। সোমবার নতুন করে যেসব হতাহতের খবর পাওয়া গেছে তার সবগুলোই এসেছে সিন্ধু প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে। সেখানে নতুন করে আরও বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। গত জুনের মাঝামাঝি থেকে সময় থেকে প্রদেশটিতে বন্যায় অন্তত ৫২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ১৪ জুন থেকে খাইবার পাখতুনখোয়ায় মোট ২৮৯ জন মারা গেছে। বেলুচিস্তানে মৃতের সংখ্যা অন্তত ২৬০। উত্তর-পূর্ব পাঞ্জাব প্রদেশে ১৮৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেলুচিস্তান, সিন্ধু প্রদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়া এবং পাঞ্জাবের কিছু কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলও। টানা বর্ষণে আকস্মিক বন্যায় বহু-ঘর বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, বিদ্যুৎসংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত। প্লাবিত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে দিতে বেশ ভুগতে হচ্ছে জরুরি বিভাগের সদস্যদের। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই কাজে অংশ নিয়েছে। সেনা, নৌবাহিনী এবং বিভিন্ন এনজিওর স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতায় কয়েক লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল বলেছেন, বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ব্যাপক। ক্ষতিগ্রস্ত তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষের জন্য ব্যাপক পরিসরে মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। পাকিস্তানি প্রবাসী ও আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের কাছে সহায়তার জন্য আহŸান জানাচ্ছি। ভিওএ, রয়টার্স, বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ