মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
১৯৪৭ সালের দেশ বিভাজন পরিকল্পনা অনুযায়ী জম্মু ও কাশ্মীর দুটি সার্বভৌম দেশের মর্যাদা পাওয়ার কথা থাকলেও ভারত সম্পূর্ণভাবে অমান্য করে কাশ্মীর ও পাকিস্তানের জনগণের বিরুদ্ধে রাজ্যের ভাইসরয় এবং মহারাজাকে জড়িত করে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যটির উপর বলপ্রয়োগ করার ষড়যন্ত্র করে। কায়েদ-ই-আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ পাকিস্তানের কাশ্মীর নীতির বিষয়টি অত্যন্ত সুনির্দিষ্টভাবে বিবৃতিতে এভাবে বলেছিলেন, "কাশ্মীর পাকিস্তানের জগুলার ভেইন"। ভারত ও পাকিস্তান কাশ্মীর নিয়ে তিনটি যুদ্ধ করেছে, যেটি দেশভাগের সময় হিন্দু শাসক দ্বারা শাসিত একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্য ছিল।–পাক অবজারভার
ক্রমাগত অবৈধ কর্মকাণ্ড সত্ত্বেও, ভারত কাশ্মীরি জনগণের স্থিতিশীল চেতনাকে দুর্বল করতে ব্যর্থ হয়েছে, যারা ভারতের অবৈধ দখলদারিত্ব সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যানে দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত রেখেছে। পাকিস্তান সবসময় কাশ্মীরি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। নিপীড়িত কাশ্মীরি জনগণের সমর্থনে পাকিস্তানের ক্রমাগত প্রচেষ্টার কারণে, বিশ্বনেতৃবৃন্দ, বিশ্বব্যাপী সংসদ সদস্য, আন্তর্জাতিক মিডিয়া, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলি কাশ্মীরি জনগণের পক্ষে তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাব মেনে চলার জন্য ভারতের উপর চাপ প্রয়োগের জন্য পাকিস্তান ইসলামিক বিশ্ব তথা ওআইসিকে নিযুক্ত করেছে। সেমিনার, সম্মেলন, টক শো, ফটো প্রদর্শনী, বিতর্কের আয়োজন করে ভারতীয় সরকার এবং দখলদার বাহিনীর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবহিত করার জন্য পাকিস্তান সমস্ত কূটনৈতিক চ্যানেলে কাশ্মীরকে সমর্থন করে।
পাকিস্তান সর্বদা তার নীতিতে অটল থেকেছে যে, কাশ্মীর সর্বদা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র নীতির মূখ্যবিষয় থাকবে। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাশ্মীরিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের পাশে দাঁড়ানোর দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেছে। পাকিস্তান বিশ্বাস করে যে, কাশ্মীর বিরোধের একমাত্র সমাধান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের রেজোলিউশনের মধ্যে রয়েছে এবং কাশ্মীরি জনগণের ইচ্ছা প্রক্রিয়াটিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অপরিহার্য। ভারতীয় রাষ্ট্র ভিয়েনা কনভেনশন অন দ্য ল অফ ট্রিটিজ দ্বারা উল্লিখিত আন্তর্জাতিক নিয়মগুলি পালন করতে বাধ্য। এই কনভেনশনের ২৭ অনুচ্ছেদ ঘোষণা করে যে, একটি পক্ষ চুক্তি সম্পাদনে ব্যর্থতার ন্যায্যতা হিসাবে তার অভ্যন্তরীণ আইনের বিধানগুলিকে বাস্তবায়ন করতে পারে না।
অবৈধ ভারতীয় দখলদারিত্বের অধীনে ৭৫ বছর ধরে ভোগা সত্ত্বেও, কাশ্মীরি জনগণ তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের দাবিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং পাকিস্তান সমস্ত আন্তর্জাতিক ফোরামে কাশ্মীরিদের কণ্ঠস্বর হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে পশ্চিমাদের অবশ্যই তাদের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আইআইওজেকে থেকে তাদের অবৈধ বাহিনী প্রত্যাহার করতে এবং জনগণকে তাদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।