মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পাকিস্তান তাহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান গত রোববার বর্তমান সরকারের প্রধান জোট অংশীদার পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-কে আক্রমণ করে বলেছেন উভয় দলই স্ন্যাপ নির্বাচনের বিরোধিতা করছে, কারণ তারা দুর্নীতির মামলায় তাদের চামড়া বাঁচাতে নভেম্বরে ‘তাদের পছন্দের একজন সেনাপ্রধান নিয়োগ’ করতে চাচ্ছে।
ফয়সালাবাদে এক সমাবেশে ভাষণকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিপিপি নেতা আসিফ আলি জারদারি এবং পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফ এ বছরের নভেম্বরে বর্তমান প্রধানের অবসর নেওয়ার পর তাদের ‘পছন্দের’ সেনাপ্রধান আনার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। নতুন সেনাপ্রধানকে যোগ্যতার ভিত্তিতে বেছে নেওয়া উচিত, তিনি বলেন, জনাব জারদারি এবং জনাব শরীফ ‘বিশ্বাসঘাতক’ এবং দেশের ভাগ্যের ওপর বিশ্বাস করা উচিত নয়।
‘তারা তাদের নিজস্ব সেনাপ্রধান আনতে চায়...তারা ভয় পায় যে, যদি একজন শক্তিশালী এবং দেশপ্রেমিক সেনাপ্রধান নিয়োগ করা হয়, তাহলে তিনি তাদের লুট করা সম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবেন’ জনাব খান বলেন, পিপিপি এবং পিএমএল-এন প্রধানরা দায়বদ্ধতার ভয়ের কারণে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাচ্ছেন।
‘তারা [সরকারে] বসে আছে, কারণ তারা যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে তাদের পছন্দের একজন সেনাপ্রধান আনতে চায়’ তিনি যোগ করেন। ইমরান খান বলেন, সেনাপ্রধানকে ‘মেধাক্রমের ভিত্তিতে নিয়োগ করা উচিত... মেধা তালিকার শীর্ষে থাকা ব্যক্তিকে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে নিয়োগ করা উচিত’।
জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, যিনি ২০১৬ সালে নিয়োগ পেয়েছিলেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে অবসর নিতে চলেছেন। সেনাপ্রধানের নিয়োগ তিন বছরের জন্য হয়, তবে জেনারেল বাজওয়াকে কিছুটা রাজনৈতিক নাটকের পরে ২০১৯ সালে অতিরিক্ত তিন বছরের মেয়াদ দেওয়া হয়েছিল।
ইমরান খান আরো বলেন যে, বিরোধী নেতারা তড়িঘড়ি নির্বাচন অনুষ্ঠানে ভয় পান, কারণ তারা জানেন যে, দেশে নির্বাচন হলে রাজনৈতিক ময়দান থেকে তাদের নিশ্চিহ্ন করা হবে।
তিনি অর্থনীতির অবস্থা নিয়ে জোট সরকারকে তিরস্কার করেন এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের একটি প্রতিবেদন উদ্ধৃত করেছেন যা জনাব খানের মতে, অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পাকিস্তানে অস্থিরতার বিষয়ে সতর্ক করেছিল। তিনি আরো বলেন, দেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে আগাম সাধারণ নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প। সূত্র : ডন অনলাইন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।