মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সির (আএইএ) মিশনের সদস্যরা, যারা জাপোরোজিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শন করছেন, তারা আগামীকাল মঙ্গলবার চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে প্ল্যান্টে তাদের থাকার মেয়াদ বাড়তে পারে। জাপোরোজিয়ে অঞ্চলের বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান কাউন্সিলের সদস্য ভøাদিমির রোগভ গতকাল এ তথ্য জানিয়েছেন। এদিকে, রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেছেন, ‘পারমাণবিক অস্ত্রাগারই রাশিয়াকে রক্ষার সর্বোত্তম গ্যারান্টি।’
মিশনের বিষয়ে কমসোমলস্কায়া প্রাভদা রেডিওকে ভøাদিমির রোগভ বলেন, ‘জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ দল ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে কাজ করবে, অর্থাৎ আগামীকালও (আজ) তারা এখানে কাজ করছেন, এবং ৬ তারিখে তারা চলে যাবেন। এটি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। তারা তাদের থাকার মেয়াদ বাড়াতে পারেন।’ তার মতে, মিশনের সদস্যরা ‘এখন ক্রমাগত অনুসন্ধান করছেন’। রোগভ ব্যাখ্যা করেছেন যে, পারমাণবিক প্ল্যান্টের কর্মচারীরা প্রবিধান মেনে চলার জন্য বিশেষ মনোযোগ দেয়। ‘আসলে, এ সমস্ত বছর তারা নিয়ম ছাড়াই কেন্দ্রটি পরিচালনা করছে। যদি আমরা জাপোরোজিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পরিচালনার নিয়ম সম্পর্কে কথা বলি, তারা এর অবস্থা খারাপ করে ফেলেছে,’ তিনি বলেছিলেন। তার মতে, রুটিন রক্ষণাবেক্ষণ খারাপভাবে করা হয়েছিল।
রোগভ এ তথ্যও নিশ্চিত করেছেন যে, কিছু আইএইএ বিশেষজ্ঞ স্থায়ী ভিত্তিতে প্ল্যান্টে থাকতে পারেন। ‘তারা থাকতে পারে এমন আলোচনা সত্যিই চলছে। ব্যক্তিগতভাবে, আমি তাদের থাকতে, কাজ করতে কোন বাধা দেখছি না,’ তিনি বলেন। এনারগোদারের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের প্রধান আলেকজান্ডার ভলগা শনিবার বলেছেন যে, ১৩ জন বিশেষজ্ঞ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রয়ে গেছে এবং ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তারা সেখানে থাকবে।
পারমাণবিক অস্ত্রাগারই রাশিয়াকে রক্ষার সর্বোত্তম গ্যারান্টি : সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ায় রেখে যাওয়া বিশাল সোভিয়েত পারমাণবিক অস্ত্রাগার সম্পর্কে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভ আত্মবিশ্বাসের সাথে বলেন, ‘সম্পূর্ণ কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার তখন এই দেশে রেখে দেয়া হয়েছিল। এবং আমরা এটিকে খুব উচ্চ পর্যায়ে সংরক্ষণ করছি। এবং এটি রাশিয়ার শক্তি রক্ষার সর্বোত্তম গ্যারান্টি।’ সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর নবগঠিত রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রগুলো ভাগ করে দেয়া উচিত কিনা সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি হলে আমাদের ছোট গ্রহের জন্য দ্রুত এবং বিপর্যয়কর পরিণতি হতে পারে।’ মেদভেদেভ রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য পশ্চিমের ঝুঁকিপূর্ণ চেষ্টার দিকেও ইঙ্গিত করেন। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে, পারমাণবিক শক্তির যে কোনও সহিংস ভাঙ্গন হবে ‘মানবজাতির জন্য একটি কিয়ামত’।
ইউক্রেনের ১৪টি হিমারস রকেট আটকে দিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা বাহিনী : রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী গত দিনে ইউক্রেনে তাদের বিশেষ সামরিক অভিযানে ১৪টি হিমারস রকেট এবং একটি মার্কিন-নির্মিত হার্ম অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্রকে আটকে দিয়েছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট-জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ শুক্রবার জানিয়েছেন। ‘খেরসন অঞ্চলের নোভায়া কাখোভকা এলাকায়, একটি মার্কিন তৈরি হার্ম অ্যান্টি-রেডিয়েশন ক্ষেপণাস্ত্র গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছিল। এছাড়াও, মার্কিন হিমারস মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের ১৪টি রকেট ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক, খেরসনের স্টাইলার বসতিগুলির কাছে আটকে দেয়া হয়েছিল,’ মুখপাত্র বলেছেন।
উপরন্তু, গত ২৪ ঘন্টায়, রাশিয়ান বিমান প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ‘খারকভ অঞ্চলের ইয়াকোভেনকোভো এবং বোর্শেভকা, ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের ব্লাগোদাতনয়ে, স্টাইলা এবং ভ্যালেরিয়ানোভকা, জায়েপোরিয়ানকা শহরের কাছে ১২টি মনুষ্যবিহীন আকাশযানকে গুলি করে ভূপাতিত করে,’ জেনারেল যোগ করেছেন, রাশিয়ান বাহিনী গত ২৪ ঘন্টায় দুটি ইউক্রেনীয় এসইউ-২৫ গ্রাউন্ড অ্যাটাক এয়ারক্রাফ্ট এবং একটি মিগ-২৯ ফাইটার ভূপাতিত করেছে। ‘কিয়েভের সেনারা নিকোলায়েভ-ক্রিভোই দিকের কিছু এলাকায় পা রাখার ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ান মহাকাশ বাহিনীর বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং আর্টিলারি সৈন্যরা ইউক্রেনিয়ান সৈন্যদের ইউনিট এবং রিজার্ভের ব্যাপক ক্ষতি করছে,’ মুখপাত্র বলেছেন, ‘ওই এলাকায় গত ২৪ ঘন্টার যুদ্ধ অভিযানে, শত্রু ১৩টি ট্যাংক, ১৯টি পদাতিক যুদ্ধের যান, ১২টি বিভিন্ন সাঁজোয়া যান, বড়-ক্যালিবারের মেশিনগান সজ্জিত ১১টি পিকআপ ট্রাক এবং ৩৩০ জনেরও বেশি সৈনিক হারিয়েছে। দুই জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে,’ জেনারেল যোগ করেছেন।
সব মিলিয়ে, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ২৮৩টি ইউক্রেনীয় যুদ্ধ বিমান, ১৫১টি হেলিকপ্টার, ১,৮৬৪টি মনুষ্যবিহীন আকাশযান, ৩৭২টি সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম, ৪,৭১১টি ট্যাংক এবং অন্যান্য কমব্যাট সাঁজোয়া যান, ৮২৩টি মাল্টিপল রকেট লঞ্চার, ৩,৩৬৪টি ফিল্ড আর্টিলারি গান ও মর্টার ৫,২১৭টি বিশেষ সামরিক মোটর যান ধ্বংস করেছে, কোনাশেনকভ রিপোর্ট করেছেন। সূত্র : তাস, আল-জাজিরা, বিবিসি নিউজ, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।