পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নূরুল ইসলাম : উন্নয়নের পথে বাংলাদেশ রেলওয়ে। স্বাধীনতা-উত্তরকালে দীর্ঘদিন অবহেলিত রেলওয়েকে উন্নতির শিখরে নেয়ার জন্য বর্তমান সরকার ২০ বছর মেয়াদি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। চার ধাপে সে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ায় রেলওয়ের সেবার মান বেড়েছে। বেড়েছে ট্রেনের যাত্রীসংখ্যা। রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক ইনকিলাবকে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে একটি আধুনিক যুগোপযোগী যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। বর্তমানে ৪৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ২০১৮ সালের মধ্যে বেশিরভাগ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দৃশ্যমান উন্নতির মাধ্যমে রেলওয়েতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন ঘটবে। মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের আমলে ২০০৮ থেকে শুরু বর্তমান সময় পর্যন্ত রেলওয়ের উন্নয়নে ১৯টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতোমধ্যে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া থেকে ২৭০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ আনা হয়েছে। জানুয়ারির মধ্যে সেগুলো রেলওয়ের বহরে যুক্ত হবে। ২০২২ সালের মধ্যে দেশের গ-ি পেরিয়ে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুনধুম রেললাইন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এর নেটওয়ার্ক বিস্তৃত হবে ভারত থেকে বাংলাদেশ হয়ে মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, চীন, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া ও কোরিয়া হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত। তখন ট্রেনে চড়েই যাওয়া যাবে থাইল্যান্ড কিংবা সিঙ্গাপুর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলওয়েকে একটি আধুনিক যুগোপযোগী যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার ২০ বছর মেয়াদি একটি মাস্টার প্ল্যান তৈরি করেছে। ২০১৩ সালের ৩০ জুন এই প্ল্যান অনুমোদন করা হয়। চারটি পর্যায়ে এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩৩ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা। ২৩৫টি প্রকল্পের আওতায় এই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হবে। গত চার বছরে মোট ১৮ হাজার ৩১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৮টি নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ৭ হাজার ৮৫৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৪০টি বিনিয়োগ প্রকল্প এবং ৪টি কারিগরি সহায়তা প্রকল্প মোট ৪৪টি উন্নয়ন প্রকল্প চলমান আছে। এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরে ৩ হাজার ৬৬১ কোটি ১১ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারের রাজস্ব খাত থেকে ১ হাজার ৬৫৫ কোটি ৪৬ লাখ এবং ২ হাজার ৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা আসবে প্রকল্প সাহায্য থেকে। সূত্র জানায়, রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকারের আমলে এ পর্যন্ত ৬৪টি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার বিপরীতে ৯ হাজার ১৫৫ কোটি ৩২ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
রেললাইনের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি
বর্তমানে রেলওয়েতে নতুন ট্রেন চালু করার বড় বাধা হলো ডাবল লাইন না থাকা। এ জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ ডাবল লাইনে উন্নীত করার কাজ চলছে। এর মধ্যে এডিবির অর্থায়নে টঙ্গী- ভৈরববাজার সেকশনে ৬৪ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ, জাইকার অর্থায়নে চিনকী আস্তানা-লাকসাম সেকশনে ৬১ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ কাজ রয়েছে। চট্টগ্রাম স্টেশন ইয়ার্ড রিমডেলিংয়ের কাজও ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এ তালিকায় আরো আছে ভারতীয় ডলার ক্রেডিট লাইনের বিপরীতে দ্বিতীয় ভৈরব ও দ্বিতীয় তিতাস সেতু নির্মাণ, ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ, লাকসাম-আখাউড়া সেকশনে ৭১ কিলোমিটার ডাবল লাইন নির্মাণ করা।
এছাড়া বর্তমান সরকারের আমলে নতুন রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। এর মধ্যে তারাকান্দি হতে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পাড় পর্যন্ত ৩৫ কি:মি: নতুন রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। ২০১২ সালের ৩০ জুন থেকে এ লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। ভারতীয় ঋণের আওতায় খুলনা হতে মংলা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি ও অ্যালাইনমেন্ট নির্ধারণ সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে বিশদ ডিজাইনের কাজ চলছে। ঈশ্বরদী থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ৭৮ দশমিক ৮০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলছে। কাশিয়ানি-গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত ৪১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের কাজ চলছে। পুকুরিয়া-ভাঙ্গা ৬ দশমিক ৬০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। নাভারন হতে সাতক্ষীরা হয়ে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা সমীক্ষার কাজ চলছে। দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের কাছে ঘুনধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার সিঙ্গেল মিটারগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়েছে। এতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়নের আশ্বাস দিয়েছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন ও পদ্মা সেতু সংযোগ রেললাইন নির্মাণসহ রেলওয়ের ৭টি প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) অর্থায়নে একটি সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় ৩টি প্রকল্পের সমীক্ষা, বিশদ ডিজাইন ও টেন্ডারিং সেবা এবং ৪টি প্রকল্পের শুধুমাত্র সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালিত হচ্ছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এডিবি কো-ফাইন্যান্সিংসহ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করার আশ্বাস দিয়েছে। এছাড়া দর্শনা-মুজিবনগর রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদনের প্রক্রিয়াধীন আছে। বগুড়া হতে সিরাজগঞ্জ-রায়পুর হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর কাছে সদানন্দপুর পর্যন্ত মিটারগেজ রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন আছে।
রেললাইন পুনর্বাসন
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সারাদেশে ৯৪৮ কিলোমিটার রেলপথ পুনর্বাসনের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬৮৯ কিলোমিটার রেললাইন পুনর্বাসন কাজ শেষ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে লালমনিরহাট-বুড়িমারী ৯৫ কি:মি:, পাঁচুরিয়া-ফরিদপুর ২৬ কি:মি:, কালুখালী-ভাটিয়াপাড়া ৮১ কি:মি:, রাজশাহী-রোহনপুর ৯২ কি:মি:, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ২০ কি:মি:, গৌরীপুর-জারিয়া-ঝাঞ্জাইল ৭৮ কি:মি:, ফৌজদারহাট-সিজিপিওয়াই ৩৭ কি:মি:, ময়মনসিংহ-জামালপুর ৮৬ কি:মি:, ষোলশহর-নাজিরহাট ২৪ কি:মি:, লাকসাম-চাঁদপুর ৫ কি:মি:, তিস্তা-রমনাবাজার ৪৮ কি:মি:, পোড়াদহ-গোয়ালন্দ ২১ কি:মি:, সৈয়দপুর-চিলাহাটি ১৫ কি:মি: রেললাইন। রেলওয়েতে লোকোমোটিভ ও যাত্রীকোচ সঙ্কট প্রকট। অধিকাংশ যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভের স্বাভাবিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে গেছে। ইডিসিএফ ও দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়নে ২০১১ সালে ৯টি লোকোমোটিভ আমদানি করা হয়। একই বছর ২০ সেট (৩ ইউনিটে ১ সেট) ডিজেল ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট বা ডেমু ট্রেন সংগ্রহ করা হয়। যদিও ডেমু ট্রেন এখন রেলওয়ের গলার কাঁটা হয়ে আছে। ২০১৪ সালে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ভারতীয় ক্রেডিট লাইনের বিপরীতে ২৬টি বিজি লোকোমোটিভ সংগ্রহ করা হয়। জাইকার অর্থায়নে ১১টি এমজি লোকোমোটিভ আমদানি করা হয় ২০১৩ সালে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ইন্দোনেশিয়া থেকে ১০০টি মিটারগেজ ও ৫০টি ব্রডগেজ কোচ আমদানি করা হয়েছে, যার সবগুলো ইতোমধ্যে দেশে চলে এসেছে। রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক জানান, আগামী জানুয়ারির মধ্যে সবগুলো কোচ রেলওয়ের বহরে যুক্ত হবে। বিভিন্ন এলাকার মন্ত্রীরা নতুন বিলাসবহুল এসব কোচ তাদের এলাকার ট্রেনে যুক্ত করার জন্য ডিও লেটার দিচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কোচগুলো কোন ট্রেনগুলোতে যুক্ত হবেÑ এই প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক বলেন, যেসব ট্রেনে কোচগুলো দেয়া প্রয়োজন সেসব ট্রেনেই দেয়া হবে।
সূত্র জানায়, টেন্ডারার্স ফিন্যান্সিংয়ের আওতায় আরো ২০০ মিটারগেজ কোচ সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন আছে। দেশের বিভিন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য ভারতীয় ডলার ক্রেডিট লাইনের বিপরীতে ১৬৫টি ব্রডগেজ ও ৮১টি মিটারগেজ ট্যাংক ওয়াগন সংগ্রহ করা হয়েছে। কন্টেইনার পরিবহনে গতি আনার জন্য সরকারের অর্থায়নে ৫০টি ফ্ল্যাট ওয়াগন ও ৫টি ব্রেক ভ্যান ২০১০ সালে সংগ্রহ করা হয়েছে। ভারতীয় ডলার ক্রেডিট লাইনের আওতায় আরো ২২০টি ফ্ল্যাট ওয়াগন সংগ্রহের কাজ চলছে। সরকারি অর্থায়নে ২০০টি মিটারগেজ ও ৬০টি ব্রডগেজ যাত্রীবাহী কোচ পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ১৬২টি এমজি ও ৫৬টি বিজি কোচ পুনর্বাসন শেষে রেলওয়ের বহরে যুক্ত হয়েছে। রেলমন্ত্রী জানান, কোচ সঙ্কট দূর করার জন্য কোরিয়া থেকে আরো ২০০ যাত্রীবাহী কোচ আমদানি করার জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইডিসিএফ-এর অর্থায়নে কোরিয়া থেকে মিটারগেজের জন্য আরো ১০টি লোকোমোটিভ আনার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, এগুলো সম্পন্ন হলে রেলওয়েতে ভিন্নমাত্রা যোগ হবে। তখন আর পেছন ফিরে তাকাতে হবে না বলে আমার বিশ্বাস।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রেলওয়ের উন্নয়নের জন্য বিদেশী দাতা সংস্থাগুলো এখন অনেকটাই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতোমধ্যে ভারতীয় ডলার ক্রেডিট লাইন ৬৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এডিবির ২৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ইডিসিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড)-এর ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেলওয়ের উন্নয়নে যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পে জাইকার ১১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও এডিবির তৃতীয় কিস্তির ১০০ মিলিয়ন এবং চতুর্থ কিস্তির ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। রেলওয়ে সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে থেকে আন্তঃনগর ও মেইল ট্রেনসহ মোট ৮১টি রুটে ট্রেন চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৪টি ট্রেনের সার্ভিস বর্ধিত করা হয়েছে।
পিপিপির আওতায় কার্যক্রম গ্রহণ
পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি)-এর আওতায় কয়েকটি বৃহৎ প্রকল্পসহ রেলওয়ের জমিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, পাকশী ও সৈয়দপুর মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতালগুলোর আধুনিকায়ন, ঢাকা ও চট্টগ্রামে রেলওয়ের জমিতে ২টি ফাইভস্টার হোটেল নির্মাণ এবং চট্টগ্রাম, খুলনা ও কুমিল্লায় হোটেল কাম-গেস্ট হাউজ নির্মাণ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। পিপিপির আওতায় বঙ্গবন্ধু সেতুর সমান্তরাল পৃথক রেলসেতু নির্মাণ করা হবে। এই প্রক্রিয়ায় আরো রয়েছে বাহাদুরাবাদ-ফুলছড়িঘাটের মধ্যে সেতু নির্মাণ, ধীরাশ্রমে আইসিডি নির্মাণ, ঢাকায় মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং ইনস্টিটিউট নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতাল আধুনিকীকরণ, খুলনা, সৈয়দপুর, পাকশী ও চট্টগ্রামে নতুন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেলওয়ে হাসপাতাল আধুনিকীকরণ।
এগুলো ছাড়াও ২০১২ সালে ঢাকা ডিজেল মেরামত কারখানার জন্য একটি ডুয়েল গেজ হুইল লেদ মেশিন ও জার্মানি থেকে অত্যাধুনিক একটি বিজি ও একটি এমজি ক্রেন সংগ্রহ করা হয়েছে। আখাউড়া হতে সিলেট সেকশনের ২৩টি, ঢাকা-জয়দেবপুর সেকশনে ৭টি, জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী-আব্দুলপুর সেকশনে ১৭টি স্টেশনের সিগন্যালিং ও ইন্টারলকিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। আরো ৫৮টি স্টেশনের সিগন্যালিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণ করার কাজ চলছে।
রেলমন্ত্রী মো: মুজিবুল হক জানান, এসব ছাড়াও সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপ ও পার্বতীপুর ডিজেল লোকোমোটিভ শপকে (ক্যালোকা) আরো আধুনিকীকরণ করা হবে। রেলমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের দেশের প্রায় সব জেলাতেই ট্রেন চলবে, মানুষের প্রধান বাহন হবে ট্রেন। তখন দেশেই তৈরি হবে রেলওয়ের ইঞ্জিন ও কোচ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।