Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ নয়

হাইকোর্টের রুল

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে নাÑ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ-এর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। একই সঙ্গে জেলা পরিষদ আইন ২০০০ ও ২০১৬ (সংশোধিত)-এর তিনটি ধারা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইনসচিব, স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তিনটি ধারা চ্যালেঞ্জ করে গত ২৯ নভেম্বর রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী  ইউনুছ আলী আকন্দ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ইউনুছ আলী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস। ঢাকা জেলা পরিষদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নুরে আলম উজ্জল।
শুনানির এক পর্যায়ে আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশ করে বলেন, ২০০০ সালে বিচারপতি মাইনুর রেজা চৌধুরী ও বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন এ বিষয়ে একটি রুল দিয়েছেন। আজকে আমরাও রুল দিচ্ছি। দুই রুলের শুনানি এক সঙ্গে হবে। পরে ইউনুছ আলী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন আদালত।
ইউনুছ আলী আরও বলেন, এসব ধারায় বলা হয়েছে- জেলার অন্তর্ভুক্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান যেমন- সিটি করপোরেশন (যদি থাকে), উপজেলা পরিষদ, পৌর করপোরেশন ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধি নির্বাচকম-লীর সদস্য হবেন। এবং তারা জেলা পরিষদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন। তিনি আরও বলেন, জেলা পরিষদ আইনের এই তিনটি ধারা সংবিধানের ৭, ১১, ২৬, ২৭, ৩১ ও ৫৯ অনুচ্ছেদ এবং প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এর মধ্যে সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আর ৫৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে স্থানীয় সরকারের প্রত্যেক ইউনিটে প্রতিনিধিরা আইন অনুসারে নির্বাচিত হবেন। বাংলাদেশে ইলেক্টোরাল ভোটের নিয়ম নেই। ইলেক্টোরাল ভোটগ্রহণ করার আগে এ সংক্রান্ত বিধি করতে হবে। তা না করেই ভোটগ্রহণের সিদ্ধান্ত সঠিক হচ্ছে না।  ইউনুছ আলীর মতে, এ বছর জেলা পরিষদ আইনে যে সংশোধনী আনা হয়েছে, সেটিও সঠিক হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের মনোনয়নের সময় পত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে সরকারি দল থেকে বলা হয়েছে, যারা মন্ত্রী বা সংসদ সদস্য হতে পারেননি, দলে পদ-পদবিও নেই এসব নেতাদের খুঁজে বের করে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেয়া হয়েছে। এতে প্রমাণিত হয় যে, আইনের বিধানগুলো ১৬ কোটি মানুষের স্বার্থে নয়, দলীয় স্বার্থে করা হয়েছে। তাই এ রিট আবেদন করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন হওয়ার কথা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জেলা পরিষদ নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ