নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
২০১৯ সালে নেপাল সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে খেলতে যাননি পরীক্ষার দোহাই দিয়ে। একই কারণ দেখিয়ে খেললেন না চলমান এশিয়ান জুনিয়র অ্যান্ড ক্যাডেট চ্যাম্পিয়নশিপেও। নভেম্বরে পরীক্ষা চলবে বলে মুহতাসিন আহমেদ যাননি লাওসের এই টুর্নামেন্টে। অথচ আগামী মাসে অনুষ্ঠেয় প্রিমিয়ার লিগে ঠিকই খেলবেন তিনি। লিগে খেলতে ইতোমধ্যে ওয়ারী ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন মুহতাসিন। তাহলে কী দেশের চেয়ে তার কাছে ব্যাক্তি স্বার্থই বড়? এমন প্রশ্ন জাতীয় দলের কোচ মোহাম্মদ আলীর। লাওস থেকে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গতকাল তিনি বলেন, ‘মুহতাসিন দলের প্রধান খেলোয়াড়। সে না থাকায় আমাদের দলের শক্তি আশিভাগ কমে গেছে। তাই এশিয়ান জুনিয়র টুর্নামেন্টের দলগতের তিনটি ম্যাচেই (বাহরাইন, জাপান ও চাইনিজ তাইপের কাছে) সরাসরি ৩-০ সেটে হেরে গেছি আমরা। মুহতাসিনের এহন কর্মকাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে তার কাছে দেশের চেয়ে কী ব্যাক্তি স্বার্থ বড়?’
এশিয়ান জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপে আজ একক ও দ্বৈত ইভেন্টে খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম নেপাল এসএ গেমসের পর বলেছিলেন, ‘পুরুষ দলগত বিভাগে ব্রোঞ্জ জিতেছি আমরা। মুহতাসিন খেলতে গেলে হয়তো রৌপ্যপদক জিততে পারতাম। ওই সময়ে মুহতাসিন না খেললেও একই পরীক্ষা থাকা সত্বেও নেপালে গিয়েছিল সাদিয়া রহমান।’ জাহাঙ্গীর কাল বলেন, ‘এবার লাওসে তাকে আমরা অনুরোধ করছিলাম মাত্র পাঁচ দিন ক্যাম্প করে দলের সঙ্গে যাওয়ার জন্য। কিন্তু সে সরাসরি ‘না’ করে দেয়। মুহতাসিন লাওসে না গেলেও ঠিকই খেলবে প্রিমিয়ার লিগে। তার কাছে কি দেশের চেয়ে অর্থটাই বড় হয়ে গেল?’ এ বিষয়ে মুহতাসিন আহমেদের কথা, ‘কমনওয়েলথ ও ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে আমার একমাস চলে গেছে। তাই ক্যাম্প ছাড়া আমি খেলতে যেতে চেয়েছিলাম, কিন্তু ফেডারেশন রাজি হয়নি। তাই আমি যাইনি। আর লিগে ক্লাবের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বিধায় আমাকে খেলতেই হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।