মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দিন যত যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি নিয়ে শঙ্কা তত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই আগস্টে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর কমেছে চার দশমিক ছয় শতাংশ, যা মাসিকভিত্তিতে ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ডলারের বিপরীতে বড় পতন দেখেছিল ব্রিটিশ মুদ্রাটি। বর্তমানে এক পাউন্ডের বিপরীতে মার্কিন এক দশমিক ১৬ ডলার পাওয়া যায়। এদিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, চলতি বছরের শেষের দিকে মন্দায় প্রবেশ করবে যুক্তরাজ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের আগস্টে শুধু ডলারের ক্ষেত্রেই নয়, ইউরোর বিপরীতেও খারাপ অবস্থানে ছিল ব্রিটিশ পাউন্ড। ইনভেস্টেকের সিনিয়র ইনভেস্টমেন্ট ডিরেক্টর লরা ল্যাম্বি বিবিসিকে বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বাকি বিশ্বের তুলনায় বিশেষ ভালো দেখাচ্ছে না। তিনি বলেন, বাজারে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। তাছাড়া বিনিয়োগ ব্যাংক গোল্ড ম্যান শ্যাস সতর্ক করে জানিয়েছে, ২০২৪ সাল পর্যন্ত মন্দার মধ্যে থাকতে পারে যুক্তরাজ্য। অপরদিকে, করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কয়েক দশকের মধ্যে তীব্র খরা-তাপপ্রবাহের কারণে ইউরোপজুড়ে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। এতে একদিকে যেমন মূল্যস্ফীতির হার বাড়ছে অন্যদিকে কমছে প্রবৃদ্ধি। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপের অর্থনীতির ভবিষৎ নিয়ে বড় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। বেকায়দায় পড়ছে সরকারগুলো। ধারণা করা হচ্ছে, চলমান পরিস্থিতির মধ্যেই অঞ্চলটিতে অর্থনৈতিক মন্দা আসন্ন। তবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কতটা খারাপ হবে তা নির্ভর করছে জ্বালানি সংকট ও নীতিনির্ধারকদের সিদ্ধান্তের ওপর। চলতি সপ্তাহে অঞ্চলটিতে জ্বালানির দাম অকল্পনীয়ভাবে বেড়েছে। মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই অঞ্চলটিতে লাফিয়ে বাড়ছে মূল্যস্ফীতির হার। আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে ৯ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়ায়। বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এর আগে রয়টার্সের জরিপে মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের পূর্বাভাস দেওয়া হয়। গত নয় মাস ধরেই অঞ্চলটিতে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী, যা শুরু হয় ২০২১ সালের নভেম্বরে। জুলাইতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশে। ইউরোপীয় অর্থনীতি যুক্তিসঙ্গতভাবে শক্তিশালী অবস্থানে থাকার মধ্যেই সংকটে প্রবেশ করেছে। সেখানে তুলানামূলকভাবে শ্রমবাজার এখনো অনেক শক্তিশালী। বেকারত্বের হার মাত্র ছয় দশমিক ছয় শতাংশ। আসন্ন মাসগুলোতে মজুরি আরও বাড়বে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুদ্ধ শুরু হওয়া পর ভোক্তাদের আত্মবিশ্বাস কমলেও ব্যয় কমেনি। তাছাড়া মূল্যস্ফীতির প্রত্যাশাও কিছুটা কমেছে। তারপরও কয়েকটি কারণে আসন্ন মাসগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়ছে। প্রথমত, কারখানাগুলো বর্তমানে চাপে রয়েছে। বসন্তে ইউরোপের উৎপাদকদের নেতারা যুক্তি দিয়েছিলেন যে রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হলে মহাদেশটিতে অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আসবে। বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।