Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাম্প এবং তার লোকদের অনভিজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে

রেওয়াজ ভেঙে তাই নেতার সঙ্গে ট্রাম্পের ফোনালাপে চীনের প্রতিক্রিয়া

| প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে ফোনালাপ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে চীন। প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, এতে ট্রাম ও তার দলবলের অনভিজ্ঞতাই প্রকাশ পেয়েছে। দেশটির ইংরেজি চায়না ডেইলির সম্পাদকীয়তে বলা হয়Ñ এই কোটিপতির পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ে ঘাটতি রয়েছে। ট্রাম্পের উপদেষ্টারা চীনের এ প্রতিক্রিয়াকে বিশ্লেষণ করছেন, তবে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, চীনা নেতারা এতে কিছুটা মানসিক শক্তি হারাতে পারেন। তবে, তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রাম্পের ১০ মিনিট কথা বলার ট্রাম্পের এ বিতর্কিত সিদ্ধান্তে চীন মোটেই চিন্তিত নয় বরং ক্ষুব্ধ। সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় চার দশক ধরে চলা রেওয়াজ ভেঙে দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাইওয়ান নিজেকে সার্বভৌম বলে দাবি করলেও এই ভূখ-কে বিচ্ছিন্ন একটি প্রদেশ মনে করে বেইজিং কর্তৃপক্ষ এবং তারা এটাও মনে করে, তাইওয়ান একদিন মূল ভূখ-ের সঙ্গে পুনরেকত্রীকরণ হবে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে এই ফোন কল ট্রাম্পের অনভিজ্ঞতারই প্রমাণ বহন করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭৯ সাল থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না রাখার নীতি অবলম্বন করে আসছে। এ কারণে তাইওয়ানের কোনো নেতার সঙ্গে এত দিন কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট কথা বলেননি। ট্রাম্প নিজেই টুইট করে জানান, গত শুক্রবার তাইওয়ানের নেতা সাই ইং-ওয়েন তাকে ফোন করেছিলেন। তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, তা ট্রাম্প না বললেও তাঁর সহযোগীরা বলেছেন, ফোনালাপে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ আলোচনা হয়েছে। এদিকে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছে, তারা যেন চীন-মার্কিন সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় ঝামেলা এড়াতে তাইওয়ানের বিষয়ে সতর্ক ও সঠিক পদক্ষেপ নেয়। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়া এই খবর দিয়েছে। এর আগে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ট্রাম্পের কাছে তাইওয়ানের ওই ফোন একটা চালাকিপূর্ণ কৌশল ছাড়া আর কিছু নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট ছা ইং ওয়ান এর ফোন দেওয়াকে নগণ্য চেষ্টা বলে অভিহিত করেছে চীন। দেশটি আরো জানায়, চীন বিশ্বাস করে এই ক্ষুদ্র চেষ্টায় ওয়াশিংটন এক চীন নীতিতে কোন পরিবর্তন আনবে না। ১৯৭৯ সালে তাইওয়ান চীন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার এক চীন নীতিতে সমর্থন দিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেন। চীন তাইওয়ানকে নিজ প্রদেশ বলেই গণ্য করে আসছে। দীর্ঘ ৩৭ বছর পর পররাষ্ট্রনীতি ভেঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্ট তাইওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। গত শুক্রবারের এই ফোনালাপের জন্য চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়ান ই তাইওয়ানকে দায়ী করে বলেন, এটি একান্তই তাইওয়ানের দিক থেকে একটি ক্ষুদ্র চেষ্টা। হংকং এর পোয়েনিক্স টিভি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ওয়ান ই আরো বলেন আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার দীর্ঘদিনের এক চীন নীতিতে কোন পরিবর্তন আনবে না। রয়টার্স ও দ্যা গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রাম্প


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ