মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বন্যার্তদের প্রতি সহানুভূতি জানাতে সম্পূর্ণ প্রটোকল নিয়ে দক্ষিণ পাঞ্জাবের বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নাওয়াজ (পিএমএল-এন) এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম নাওয়াজ। বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের ভিডিও এবং ছবি প্রকাশের পর থেকেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। এ সফরে তিনি সম্পূর্ণ কালো একটি শালোয়ার কামিজ পরেছিলেন এবং তার সাথে ছিলেন স্বামী ক্যাপ্টেন সফদার, অন্যান্য দলনেতাসহ প্রায় ৬০টি নিরাপত্তা গাড়ি ।
ভাইস প্রেসিডেন্টের সফরের ‘ক্যান্ডিড’ ছবিগুলো অস্বাভাবিকভাবে ২০১০ সালে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির (মার্কিন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী) পাকিস্তান সফরের ছবিগুলোর সাথে মিলে যাওয়ায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা অসম্ভব রকম বিরক্ত হন। টুইটারে নাওয়াজ পোস্ট করেছেন, বন্যা দুর্গতদের সাথে আমার কথোপকথন এবং অনুষ্ঠান দেখুন। তিনি তার টুইটের ক্যাপশন দিয়েছেন ‘হৃদয় বিদারক ’।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা জনগণের দুঃখকে কৌশলে তার ফটো-অপ হিসাবে ব্যবহার করার জন্য তাকে ট্রোল করা শুরু করেন এবং এ ঘটনাকে ২০১০ সালে জোলির পাকিস্তান সফরের ‘ফাঁসি’ বলে অভিহিত করে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা নওয়াজের পোশাক নির্বাচন, ছবির অ্যাঙ্গেল এবং ডজনখানেক গাড়ি, নিরাপত্তা কর্মী, মোটরসাইকেল এনে ‘অসংবেদনশীল কার্বন ফুটপ্রিন্ট’ রেখে যাওয়াকে করদাতার অর্থের অপব্যবহার বলে অভিহিত করেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়ের আলোকে তার পরিদর্শন পরিহাসযোগ্য।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের একজনের একটি ভিডিও সামনে আসায় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এক ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ‘মারিয়াম বন্যার্তদের কিছুই দেননি, শুধু ফটো সেশনের জন্য লোকজনকে জড়িয়ে ধরে চলে যান’।
একজন ব্যবহারকারী টুইটারে অ্যাঞ্জেলিনা এবং মরিয়মের একটি কোলাজ শেয়ার করে লিখেছেন, ‘অ্যাঞ্জেলিনা জোলির তৃতীয় শ্রেণীর সস্তা কপি পাকিস্তানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুরো পরিবারটি মরিয়া হয়ে ব্রিটিশ হওয়ার চেষ্টা করছে। তার ওপর ধিক। সম্পূর্ণ প্রটোকল নিয়ে দক্ষিণ পাঞ্জাবের বন্যা দুর্গত মানুষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মরিয়ম নওয়াজ। দয়া করে আল্লাহকে ভয় করুন’।
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, তার প্রটোকল অত্যন্ত ‘নির্লজ্জ’ ছিল। তাউনসায় ফটো অপশনের জন্য ৬৩টি গাড়ি নিয়ে মরিয়ম নওয়াজের প্রটোকল জনগণের অর্থ লুণ্ঠন করে এসেছে, তাদের উপার্জন দিয়ে নয়।
এমন কঠিন সময়ে নির্লজ্জ এ কাজে হতবাক হয়ে এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বিশ্বাস করতে পারছি না যে, তিনি বন্যা দুর্গতদের সাথে অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো ফটোশুট করার জন্য সরকারি প্রোটোকলের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছেন। সাধারণ মানুষের করের টাকায় অভিজাতদের খাওয়ানোটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক’।
এক টুইপ একটি ভিডিও শেয়ার করে, যেখানে মরিয়ম ক্রমাগত এক মহিলাকে আলিঙ্গন করছে এবং এক মহিলাকে তার বাম দিকে ছবি ক্লিক করতে দেখা যাচ্ছে। ‘তারা মানুষের সামনে ভান করে তারা মানুষের যত্ন করে। কিন্তু মানুষ জানে না যে, তারা শুধু রাজনীতি করছে’।
অন্য ব্যবহারকারী বলেন, ‘এটা হাস্যকর। ৩২ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি এবং পরিবার হারিয়েছে এবং মৌলিক মানবিক চাহিদা পূরণের কোনো উপায় নেই আর এ নারী এখানে নান্দনিকতা নিয়ে চিন্তিত। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি সাজার করছেন? ১২ বছরে আপনি কী করেছেন?’
তার সুসজ্জিত চেহারা সম্পর্কে মন্তব্য করে একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘আপনি মাত্র চারটি ছবির জন্য এত প্রোটোকল নিয়েছেন। আপনি আপনার নিজের পকেট থেকে আসলে কত দান করেছেন দয়া করে শেয়ার করুন? মরিয়ম নওয়াজ, আমরা নিশ্চিত যে, আপনি এ ছবির আগে আপনার অ্যাক্রিলিক্স এবং মাইক্রোব্লেডিংয়ের জন্য সেলুনে দুই দিন কাটিয়েছেন এবং সেটা ট্যাক্সের টাকা থেকে’।
অন্য এক ব্যবহারকারী উল্লেখ করেছেন, গত ভয়াবহ বন্যার পর ১২ বছরে কিছুই পরিবর্তন হয়নি। ২০১০ সালে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি এবং ২০২২ সালে মরিয়ম নওয়াজ, ১২ বছরে কিছুই বদলায়নি। কোনো প্রস্তুতি নেই, দুর্বল প্রতিক্রিয়া, ধীর পুনরুদ্ধার-পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যতের বিপর্যয়ের প্রভাবগুলো কমানোর জন্য কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেই। চক্রটি সবেমাত্র পুনরাবৃত্তি হয়েছে, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়েছে নিজেই’। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।