Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য শেষ মুহূর্তে চাঁদে নাসার নতুন মিশন স্থগিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ আগস্ট, ২০২২, ৭:২৬ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা চাঁদে তাদের বহু প্রতীক্ষিত আর্টেমিস ওয়ান রকেটের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপন শেষ মুহুর্তে স্থগিত করেছে। নাসা এখন বলছে, তাদের আর্টেমিস রকেটের একটি ইঞ্জিনে কারিগরি ত্রুটি দেখা দিয়েছিল, যা যথাসময়ে মেরামত করা যায়নি।

জানা গেছে, উৎক্ষেপণের ৪৮ ঘন্টা আগে লঞ্চ প্যাডে তিন বার বজ্রপাত হয়। নাসা জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্য অনুসারে বজ্রপাত তেমন শক্তিশালী ছিল না। এদিকে, আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের পূর্ববর্তী পূর্বাভাস অনুসারে, ২৯ আগস্ট নভোযান উত্ক্ষেপণের জন্য অনুকূল আবহাওয়ার সম্ভাবনা ৭০ শতাংশ। সেপ্টেম্বরের দুই তারিখে এটির সম্ভাব্য উৎক্ষেপনের পরবর্তী দিন ঠিক করা হয়েছে।

পঞ্চাশ বছরের বিরতির পর নাসা আবার চাঁদে মানুষ পাঠানোর জন্য এই উচ্চাভিলাষী কর্মসূচি নিয়েছিল। নাসার আর্টেমিস মিশন মানুষের মহাকাশ অভিযানে এক নতুন যুগের সূচনা করবে বলে আশা করা হচ্ছিল। নাসা দীর্ঘদিন ধরে এ দিনটির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কিন্তু এই এসএলএস বা স্পেস লঞ্চিং সিস্টেমের ট্যাঙ্কে একটি ফাটল পাওয়া গিয়েছিল। ফলে যে সময়ে লঞ্চ হওয়ার কথা ছিল, তাতে দেরী হয়।

এসএলএসের ইন্টার ট্যাংক হচ্ছে রকেটের একটি অংশ যা তরল হাইড্রোজেন এবং তরল অক্সিজেন ট্যাঙ্কগুলিকে সংযুক্ত করে। এছাড়া এসএলএস-এর যে চারটি বিশাল আরএস-২৫ ইঞ্জিন রয়েছে তার একটিতেও একটি সমস্যা দেখা দিয়েছিল। রকেট ছোঁড়ার যে সময়টি ঠিক করা হয়েছিল সেই কাউন্ট ডাউনের আগে নাসার ইঞ্জিনিয়াররা সেটা মেরামতের প্রাণান্তকর চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু তা সফল হয়নি।

এরপরই নাসার রকেট লঞ্চ বিষয়ক পরিচালক চার্লি ব্ল্যাকওয়েল-থম্পসন ইঞ্জিনের সমস্যার কারণ দেখিয়ে আর্টেমিস-ওয়ানের পরিকল্পিত লঞ্চটি বাতিল করেন। তবে এই মুহূর্তে নাসার সামনে দুটি বিকল্প তারিখ রয়েছে, ২ এবং ৫ সেপ্টেম্বর৷ এই লঞ্চ উইন্ডোগুলি মূলত রকেটের ফ্লাইট টার্মিনেশন সিস্টেম (এফটিএস) দ্বারা পরিচালিত।

এই এফটিএস রয়েছে একটি ব্যাটারি যা ২০ দিন ধরে চলে। গত ১৮ আগস্ট এসএলএস-এর ইনস্টলেশনের সাথে সাথে এই এফটিএস কাজ করতে শুরু করে। সোমবার যেহেতু রকেট লঞ্চিংটি বাতিল করতে হয়েছে, তাই এখন এই এফটিএস সরিয়ে ফেলতে হবে এবং একে নতুন করে চালু করতে হবে।

আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকাল আটটা তেত্রিশ (বাংলাদেশ সময় সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৩৩) মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপণের সময় নির্ধারিত ছিল। এসএলএস নাসার তৈরি এপর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী মহাকাশ যান। চাঁদে মানবজাতির অবতরণের পঞ্চাশ বছর পর আবার মানুষকে চন্দ্রপৃষ্ঠে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার এই প্রকল্পটির নাম আর্টেমিস।

এই রকেট একটি ক্যাপসুল বহন করবে। এই ক্যাপসুলের নাম ওরাইয়ন। এই ওরাইয়ন চাঁদের চারপাশে পরিভ্রমণ করবে। তবে এই যাত্রায় কোন মানুষ থাকবে না। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চলে পরবর্তী মিশনগুলোতে মহাকাশচারীরা যোগ দেবেন। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ